'ক্যালকুলেটিভ রিস্ক' নিয়েই সফল হৃদয়-শামিমরা
দলীয় ৬৪ রানে সাকিব আল হাসান যখন বিদায় নেন, তখন ম্যাচটা হেলে ছিল আফগানিস্তানের দিকেই। চার উইকেট হারিয়ে ক্রিজে তখন তরুণ দুই ব্যাটার। আফগানদের শক্তিশালী বোলিং লাইনআপের বিপক্ষে তারা কতোটুকু কার্যকরী হবেন তা নিয়ে সন্দিহান ছিলেন অনেকেই। কিন্তু মাঠে দেখা যায় রশিদ-মুজিব-ফারুকিদের দারুণভাবেই সামলে নিয়েছে শেষ পর্যন্ত দলকে জয় এনে দিয়েছেন তারা।
মূলত তাওহিদ হৃদয়ের ব্যাটেই জয় মিলে বাংলাদেশের। তাকে দারুণভাবে সাহায্য করেন শামিম পাটোয়ারি। এ দুই ব্যাটার গড়েন ৭৩ রানের জুটি। যা এসেছে ৪৩ বলে। অর্থাৎ রানের গতির সঙ্গেও আপোষ করেননি তারা। নিয়মিত বাউন্ডারি মেরে ঝুঁকিটা তারা নিয়েছেন। হৃদয়ের ভাষায় যা ছিল 'ক্যালকুলেটিভ রিস্ক'। আর তাতে দারুণভাবে সফল বাংলাদেশ।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে হৃদয় বললেন, 'আমাদের একটা পরিকল্পনা ছিল। বিশ্বের সেরা স্পিন দল ওরা। ওদের সঙ্গে রান করাটা কঠিন। তার পরও আমরা চেষ্টা করেছি, যতটুকু ক্যালকুলেটিভ রিস্ক নিয়ে আমাদের যে প্ল্যান ছিল, সেগুলো ভালোভাবে বাস্তবায়ন করতে। আমি মনে করি, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রতিটি ম্যাচই চ্যালেঞ্জিং থাকে। যে কোনো প্রতিপক্ষের কারও না কারও ভালো দিক থাকেই। আমরা যেভাবে পরিকল্পনা করেছিলাম, তা বাস্তবায়ন করেছি।'
তবে শেষ ওভারে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল তাতে মনে হয়েছিল ম্যাচ হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে বাংলাদেশের। এমন উদাহরণও ভুরিভুরি তাদের। তবে হৃদয় সবসময়ই ছিলেন আত্মবিশ্বাসী। দুই এক ওভারে মোমেন্টাম পেয়ে গেলেই ম্যাচ ঘুরে যাবে বলে বিশ্বাস ছিল তার, 'শামিমকে একটি কথাই বলেছিলাম, এরকম ম্যাচ আমরা অনেক জিতিয়েছি। হতে পারে সেটা ঘরোয়াতে। যেহেতু আমরা মিডল অর্ডারে ব্যাট করি, এরকম পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছি অনেক। ওকে এটাই বলেছিলাম যে একটি-দুটি ওভারে মোমেন্টাম আনতে পারলেই খেলাটা ঘুরে যাবে। আমরা সেটিই করতে পেরেছি। মাঝে দুটি ওভারেই মোমেন্টাম বদলে গেছে।'
হৃদয়-শামিমের সঙ্গে আগের জয়ের অন্যতম নায়ক ছিলেন শরিফুল ইসলাম। এই তিন খেলোয়াড়ই একই সঙ্গে উঠেছেন বয়সভিত্তিক দল থেকে। তবে দলের জয়ে শুধু তাদের নয় দলের সবার অবদান দেখছেন হৃদয়, 'আমার মনে হয়, আজকের ম্যাচটিতে সবাই অবদান রেখেছি। শুধু আমি, শরিফুল, শামিম, আমরা নই। আমরা তিনজন একসঙ্গে বিশ্বকাপ (যুব) খেলেছি, এজন্যই নয়। শুরু থেকে যদি দেখেন, তাসকিন ভাই…প্রতিটি বোলার, সাকিব ভাই থেকে শুরু করে সবাই খুব ভালো শুরু এনে দিয়েছে। সবার অবদান ছিল। ফিল্ডিংয়ে হোক বা সব দিক থেকে অবদান রেখেছে।'
'আমাদের প্রতিটি খেলোয়াড় যারা দলে আছে, সবাইকে সবাই সাপোর্ট করি। আমরা জানি আমাদের সম্ভাবনা কতটুকু আছে। সত্যি বলতে, আমরা অনেক ইতিবাচক পথে এগোচ্ছি। যাদের বিপক্ষেই খেলি, আমরা সবসময় ফোকাস করি আমাদের শক্তির জায়গায়। দল হিসেবে আমাদের বন্ডিং অনেক ভালো এবং এটা আমাদের সহায়তা করে। কোচ আমাদের ভালো একটা পরিকল্পনা দেয় এবং আমরা তা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করি,' যোগ করেন হৃদয়।
Comments