অবসর ভেঙে বিশ্বকাপে খেলার ভাবনা নেই স্টোকসের

বেন স্টোকস। ছবি: এএফপি

২০১৯ সালের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের শিরোপা জয়ের অন্যতম কারিগর ছিলেন বেন স্টোকস। কিন্তু শারীরিক ও মানসিক ধকল কমাতে গত বছর তিনি ঘোষণা দেন ওয়ানডে থেকে অবসরের। সেই সিদ্ধান্ত পাল্টে আগামী বিশ্বকাপে তার খেলার সম্ভাবনা দেখছিলেন অনেক ইংলিশ ক্রিকেটপ্রেমী। তবে তাদেরকে হতাশ করে এই তারকা অলরাউন্ডার জানালেন, অবসর ভাঙার কোনো ইচ্ছা নেই তার।

৫০ ওভারের ক্রিকেট ছাড়লেও স্টোকস টেস্টে ইংল্যান্ডের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন। তার নেতৃত্বে ঘরের মাঠে চলমান অ্যাশেজে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লড়ছে থ্রি লায়ন্সরা। তারা পিছিয়ে আছে ২-১ ব্যবধানে। ওভালে বৃহস্পতিবার শুরু হতে যাওয়া সিরিজের পঞ্চম ও শেষ টেস্টের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন ৩২ বছর বয়সী স্টোকস। সেখানে মাত্র দুটি শব্দে তিনি তুলে ধরেন ওয়ানডেতে আর না ফেরার বিষয়টি, 'আমি অবসরপ্রাপ্ত (ওয়ানডে থেকে)।'

গত বছর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে ফাইনালে ফিফটি করেছিলেন স্টোকস। এরপর তিনি আভাস দিয়েছিলেন, পরিস্থিতির চাহিদায় যে কোনো কিছুই ঘটতে পারে। অর্থাৎ আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতে অনুষ্ঠেয় ওয়ানডে বিশ্বকাপে দেখা মিলতে পারে তার উপস্থিতির। কিন্তু সেরকম ভাবনা এখন নেই স্টোকসের, 'এই ম্যাচের (ওভাল টেস্ট) পর আমি ছুটিতে যাচ্ছি। আপাতত আমি কেবল এটাই ভাবছি।'

এবারের অ্যাশেজের আগে স্টোকসের অনুরোধেই অবসর ভেঙে টেস্ট ক্রিকেটে ফেরেন আরেক ইংলিশ অলরাউন্ডার মঈন আলি। স্টোকসের কাছেও যদি এমন অনুরোধ রাখা হয় সেক্ষেত্রে তিনি কী করবেন? জবাবে তার কণ্ঠে ছিল কৌতুক, 'আমি নিশ্চয়ই নিজেকে নিজে ফোন করতে পারি না!'

পরের বছরের জানুয়ারিতে ভারত সফরে গিয়ে পাঁচটি টেস্ট খেলবে ইংল্যান্ড। এর আগে আর কোনো টেস্ট নেই তাদের। এই লম্বা বিরতিতে সতীর্থদের মিস করবেন স্টোকস, 'এটা অনেক বড় একটি ছুটি। আমার মনে হয়, চোট বাদ দিলে এটাই আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বিরতি হবে। এমন কিছু সময় আসে যখন বিরতি পেলে ভালো লাগে... কিন্তু এতদিন ধরে ক্রিকেট খেলার পর আমি অবশ্যই এভাবে ছেলেদের কাছে থাকার সময়টা মিস করব।'

২০১১ সালে ওয়ানডে অভিষেকের স্বাদ নেওয়া স্টোকস অবসরের আগে ১০৫টি ম্যাচ খেলেন। ব্যাট হাতে তিনটি সেঞ্চুরিসহ ৩৮.৯৮ গড়ে তার সংগ্রহ ২৯২৪ রান। বল হাতে একবার ৫ উইকেটসহ ৪২.৩৯ গড়ে ৭৪ উইকেট নেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh transition from autocracy to democracy

Transitioning from autocracy to democracy: The four challenges for Bangladesh

The challenges are not exclusively of the interim government's but of the entire political class.

6h ago