রুট-বেয়ারস্টো-ক্রলির ব্যাটে ইংলিশদের বড় লিড

কেভিন পিটারসেনকে পেছনে ফেলে অ্যাশেজের এক সিরিজে সর্বাধিক ছক্কা মারার রেকর্ডটি নিজের করে নেন জো রুট। কিন্তু দারুণ ব্যাটিং করেও তিন অঙ্কের দেখা পেলেন না। নার্ভাস নাইন্টিজে আউট হলেও দলকে বড় লিড এনে দিতে রেখেছেন কার্যকরী ভূমিকা। তার সঙ্গে দারুণ ভূমিকা রাখেন জনি বেয়ারস্টো ও জ্যাক ক্রলিও।

ওভালে শনিবার ওভালে অ্যাশেজ সিরিজের পঞ্চম ও শেষ টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৯ উইকেটে ৩৮৯ রান তুলেছে ইংল্যান্ড। এরমধ্যেই লিড ছাড়িয়েছে ৩৭৭ রানে। স্টুয়ার্ট ব্রড ২ ও জেমস অ্যান্ডারসন ৮ রানে ব্যাট করছেন।

১০৬ বলে ৯১ রানের ইনিংসে এদিন ১টি ছক্কা মারেন রুট। তাতেই পিটারসেনকে ছাড়িয়ে যান তিনি। চলতি অ্যাশেজে এনিয়ে ১৫টি ছক্কা মারলেন তিনি। এর আগে ২০০৫ অ্যাশেজে ১৪ ছক্কা মেরেছিলেন পিটারসেন। ২০১৯ অ্যাশেজে স্টোকস মেরেছিলেন ১৩ ছক্কা।

প্রথম ইনিংসে ১২ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৭৯ রানের ওপেনিং জুটি গড়েন দুই ওপেনার জ্যাক ক্রলি ও বেন ডাকেট। ডাকেটকে উইকেটরক্ষক আলেক্স ক্যারির ক্যাচে পরিণত করে এ জুটি ভাঙেন মিচেল স্টার্ক। তার ব্যাট থেকে আসে ৪২ রান। এরপর অধিনায়ক বেন স্টোকসের সঙ্গে ৬১ রানের আরও একটি জুটি গড়ে প্যাট কামিন্সের শিকার হন ক্রলি। ৭৬ বলে ৯টি চারের সাহায্যে ৭৩ রান করেন এ ওপেনার। 

ক্রলি বিদায় নিলে জো রুটের সঙ্গে ৭৩ রানের জুটি গড়েন স্টোকস। তাতেই বড় লিডের ভিত পেয়ে যায় দলটি। এরপর অবশ্য দ্রুত দুটি উইকেট তুলে ম্যাচে ফিরেছিল অজিরা। স্টোকস খেলেন ৪২ রানের ইনিংস। তার বিদায়ের পর হ্যারি ব্রুককেও ফেরায় তারা। তবে জনি বেয়ারস্টোর সঙ্গে দারুণ এক জুটি গড়ে তাদের হতাশা উপহার দেন রুট। পঞ্চম উইকেটে স্কোরবোর্ডে ১১০ রান যোগ করেন এ দুই ব্যাটার।

রুটকে নার্ভাস নাইন্টিজে শিকার করে এ জুটি ভাঙেন টড মার্ফি। তাকে বোল্ড করে দেন তিনি। এরপর খুব বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি বেয়ারস্টোও। স্টার্কের বলে উইকেটরক্ষক ক্যারির হাতে ক্যাচ তুলে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ১০৩ বলে ১১টি চারের সাহায্যে ৭৮ রান করেন বেয়ারস্টো। লেজের ব্যাটাররা তেমন কোনো প্রতিরোধ গড়তে পারেননি। ১৯ রানের ব্যবধানে হারায় চারটি উইকেট। মঈন আলী করেন ২৯ রান।

অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ৯৪ রানের খরচায় ৪টি উইকেট পান স্টার্ক। ১১০ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট নেন মার্ফি।