জুনিয়র তামিমে সিনিয়র তামিমের প্রতিচ্ছবি দেখছেন সুজন
বাংলাদেশ জাতীয় দলে যখন অভিষেক হয় তামিম ইকবালের, তখন ড্যাশিং ওপেনার হিসেবে জানতো সবাই। ২০০৭ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে তার আগ্রাসী ব্যাটিং এখনও চোখে লেগে আছে ভক্তদের। সময়ের পরিবর্তনে তামিম বদলেছেন অনেকটাই। তবে সেই সময়ের তামিমের মতোই আজকের তরুণ ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমকে দেখছেন বিসিবি পরিচালক ও সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন।
বয়সভিত্তিক দল থেকে উঠে আসলেও জুনিয়র তামিম নির্বাচকদের নজর কাড়েন ইমার্জিং এশিয়া কাপে। চার ম্যাচের তিনটিতেই করে ফিফটি। তাও আগ্রাসী ঢঙ্গে। শ্রীলঙ্কা 'এ' দলের বিপক্ষে ৩৯ বলে ৫১, ওমানের বিপক্ষে ৪৯ বলে ৬৮ এবং ভারতের বিপক্ষে ৫৬ বলে ৫১ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। তাতেই তার জায়গা মিলে এশিয়া কাপের ১৭ জনের স্কোয়াডে।
তবে রাজশাহীর বাংলা ট্র্যাক একাডেমি থেকে বয়সভিত্তিক দলে জায়গা মিলে জুনিয়র তামিমের। যে একাডেমি পরিচালনায় আছেন সুজন। তাই এই তরুণ সম্পর্কে খুব ভালো করেই জানেন তিনি। তার কাছে নিজের প্রত্যাশা জানিয়ে বিসিবি পরিচালক বলেন, 'আমি তাদের (ওপেনার) থেকে কী আশা করি? দারুণ একটা সূচনা। ও (তানজিদ তামিম) ওরকমই প্লেয়ার। আমি সিনিয়র তামিমের ছোট বেলা যদি মনে করি, ও যেরকম ব্যাটিং করতো জুনিয়র তামিম এরকমই ব্যাটিং করে। তানজিদ তামিমের এটাই স্টাইল।'
ক্যারিয়ারের শুরুতে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করলেও নিজেকে সেভাবে ধরে রাখতে পারেননি তামিম ইকবাল। তাতে তাকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা অনেকই হয়েছে। জুনিয়র তামিম যেন বদলে না যান এমনটাই চাওয়া সুজনের, 'ও যদি এটা ধরে রাখে, আমি চাই ও রাখুক। ও যেন খুব একটা না বদলায়। আমরা যেন চাপ তৈরি না করি বাইরে থেকে। ক্রিকেট এমন একটা খেলা সফল হবেন বা ব্যর্থ হবেন। আমি মনে করি এই ছেলের লম্বা পথ পাড়ি দেওয়া, বড় ক্রিকেটার হওয়ার সামর্থ্য আছে।'
তবে আগ্রাসী মেজাজে ব্যাটিং করলে ব্যর্থতার ঝুঁকিও থেকে যায়। যেখানে আবার এশিয়া কাপে প্রতিপক্ষ সব দলই দারুণ শক্তিশালী। তবে ব্যর্থ হলেও হতাশ হবেন না সুজন, 'এশিয়া কাপে যদি ও ব্যর্থ হয়, আমি একটুও চিন্তা করবো না। কারণ এ দল, হাই পারফরম্যান্সের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বিস্তর একটা ফারাক আছে। এটা আমাদের মানতেই হবে। তারপরও আমি মনে করি তানজিদ ওই কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেবে। সেখানে যদি ও নিজের খেলাটা খেলে, বাংলাদেশকে দারুণ একটা সূচনা এনে দেবে।'
২০১৭-১৮ সালে উত্তরা স্পোর্টিংয়ের হয়ে ঢাকার প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ শুরু জুনিয়র তামিমের। পরের বছর ৩৭১ রান করে আলোয় আসেন। যুব বিশ্বকাপের পর কাঁধের চোটের কারণে ঠিক নিজেকে মেলে ধরতে পারছিলেন না। তবে গত প্রিমিয়ার লিগ আবার কক্ষে ফেরায় তাকে। আর ইমার্জিং এশিয়া কাপে আগ্রাসী তিন ফিফটি তাকে করে দেয় জাতীয় দলে ঢোকার পথ।
Comments