‘শতভাগ নিশ্চিত না হয়ে তথ্য ছড়ানো উচিত নয়’, উপলব্ধি ওলঙ্গার

এমন একটি স্পর্শকাতর খবর যে শতভাগ নিশ্চিত না হয়ে ছড়িয়ে দেওয়া ঠিক হয়নি তা এখন বুঝতে পারছেন সাবেক এই পেসার।
henry olonga and heath streak
খেলোয়াড়ী জীবনে ওলঙ্গা ও স্ট্রিক। ফাইল ছবি- সংগ্রহ

ভুলটা করেছিলেন হেনরি ওলঙ্গাই, ভুলটা ভাঙিয়েও দেন তিনি। তবে ততক্ষণে বিশ্বের বড় বড় গণমাধ্যমে খবর রটে যায় মারা গেছেন হিথ স্ট্রিক! এমন একটি স্পর্শকাতর খবর যে শতভাগ নিশ্চিত না হয়ে ছড়িয়ে দেওয়া ঠিক হয়নি তা এখন বুঝতে পারছেন সাবেক এই পেসার।

১৯৯৫ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত জিম্বাবুয়ের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন ওলঙ্গা। সেসময় তার সতীর্থ ছিলেন স্ট্রিক।  এরপর রবার্ট মুগাবে সরকারের সমালোচনা করায় নির্বাসিত হন তিনি। এখন বসবাস করেন অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেডে। ক্রিকেট ছেড়ে সেখানে মজে আছেন সঙ্গীতে।

বুধবার তার এক্স পোস্টের(সাবেক টুইটার) সূত্র ধরে স্ট্রিকের মৃত্যুর খবর রয়টার্স, দ্য গার্ডিয়ান সহ বড় সংবাদ মাধ্যম খবর প্রকাশ করে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের সূত্রে ধরে সেই খবর প্রচার করে বাংলাদেশের গণমাধ্যমও।  পরে ওলঙ্গাই আগের টুইট সরিয়ে জানান, স্ট্রিক বেঁচে আছেন, তার সঙ্গে কথাও হয়েছে।  স্ট্রিক নিজেও ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে সাক্ষাতকারে পরে দিয়েছেন প্রতিক্রিয়া। স্বাভাবিকভাবেই সবাইকে ভুল খবর সরিয়ে নিতে হয়।

অস্ট্রেলিয়ার এবিসি রেডিওকে এই সাবেক ক্রিকেটার নিজের ভুল বুঝতে পারার কথা জানিয়েছেন,  'এই ঘটনাকে আমি সতর্কবার্তা হিসেবে দেখতে চাই। এটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল শতভাগ নিশ্চিত না হয়ে কোন তথ্য ছড়ানো উচিত নয়।'

তবে ওলঙ্গার দাবি, তার আগেই স্ট্রিকের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়েছিল, তিনি কেবল তাতে প্রভাবিত হয়েছিলেন,  'আমি মূল চরিত্র হয়ে গেলাম। এমন না যে এটা আমিই শুরু করেছি, আরও কয়েকজন লিখেছিল। কেন জানি আমার বার্তাগুলোই সবার নজরে এসেছে। লোকজন ভাবল আমি নাটের গুরু।'

ওলঙ্গা এই খবর পান 'জিম্বাবুইয়ান স্পোর্টিং ফোরাম' নামের একটি ফেসবুক পেজে। পরে আরও এক সতীর্থের সঙ্গে কথা বলেও একই খবর পান। কিন্তু স্ট্রিকের পরিবারের সদস্যদের কাছে বার্তা পাঠিয়েও কোন জবাব পাননি। একাধিক জায়গা থেকে খবর পাওয়ায় ঘটনা সত্য মনে করে শোকবার্তা দিয়ে আবেগঘন পোস্ট দিয়েছিলেন।

খোদ স্ট্রিকের কানে এই খবর যাওয়ার পর তিনিই হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করেন তার সঙ্গে। জানান, 'আমি বেঁচে আছি, দয়া করে পোস্টগুলো সরাও।'

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

5h ago