আবারও ফারুকির ওভারে আফগানিস্তানের জয় ছিনিয়ে নিলেন সেই নাসিম
গত টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপে ফজল হক ফারুকির শেষ ওভারে দুই ছক্কা মেরে সমীকরণ মিলিয়ে ফেলেছিলেন নাসিম শাহ। জেতার কাছ থেকে সেদিন হেরে গিয়েছিল আফগানিস্তান। প্রায় একই কাণ্ড তিনি করলেন আবার, এবার সেটা ওয়ানডেতে। আফগানিস্তানের মুঠোয় চলে আসা ম্যাচ শেষ ওভারে দুই বাউন্ডারি মেরে ছিনিয়ে নিলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটায় সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে পাকিস্তান জিতেছে ১ উইকেটে। তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই তারা জিতে নিল ২-০ ব্যবধানে। আগে ব্যাট করে রাহমানুল্লাহ গুরবাজের দারুণ সেঞ্চুরিতে ৩০০ রান করে আফগানিস্তান। ১ বল আগে সেই রান পেরিয়ে জিতেছে পাকিস্তান।
ম্যাচ জিততে শেষ ওভারে দরকার ছিল ১১ রান। ৩৫ বলে ৪৮ করে পাকিস্তানকে খেলায় ফেরানো শাদাব খান তখন নন-স্ট্রাকিং প্রান্তে। ফারুকি প্রথম বল করতে আসতেই বল ছাড়ার আগে বেরিয়ে গেলেন শাদাব। সুযোগ নিয়ে তাকে 'মানকাড়' আউট করে দেন ফারুকি।
নবম উইকেটের পতন, সবচেয়ে বড় কথা থিতু ব্যাটার শাদাবের বিদায়ে ম্যাচ তখন একদম নাগালে আফগানদের। কিন্তু এরপরেই জ্বলে উঠলেন নাসিম। প্রথম বলটা লং অফ দিয়ে সীমানা ছাড়া করলেন।
পরের বল ডট। তৃতীয় বল থেকে এলো এক রান। চতুর্থ বলে মিস ফিল্ডিংয়ের সুবাদে ৩ রান নিয়ে নিলেন ব্যাটাররা। পঞ্চম বলে আউটসাইড এজড হয়ে থার্ড ম্যান দিয়ে বাউন্ডারি হতেই বুনো উল্লাসে মাতেন নাসিম। এই নিয়ে দুইবার তিনি যন্ত্রনাবিদ্ধ করলেন ফারুকিকে।
রান তাড়ায় জুতসই শুরু পাওয়া পাকিস্তান ফখর জামানের আউটে ৫২ রানে হারায় প্রথম উইকেট। দ্বিতীয় উইকেটে এরপর ১১৮ রানের জুটি পান বাবর আজম-ইমাম উল হক।
বাবর ফেরেন ৫৩ করে। মোহাম্মদ রিজওয়ান, আগা সালমানরা থিতু হতে পারেননি। ইমাম-উল হককও সেঞ্চুরির কাছে (৯১) গিয়ে ফিরলে পথ হারায় পাকিস্তান। ২৫৮ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে জেতার রাস্তা থেকে অনেকটা দূরে সরে গিয়েছিল তারা। এরপর শাদাবের ঝড় ফের খেলায় আনে তাদের। শেষ ওভারে ৫ বলে ২ চারে ১০ রান করে খেল দেখান নাসিম।
এদিন টস জিতে আগে ব্যাটিং বেছে দারুণ শুরু পায় হাসমতুল্লাহ শহিদির দল। ইব্রাহিম জাদরানকে নিয়ে গুরবাজ টানতে থাকেন দলকে। কদিন আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে আড়াইশ পেরুনো জুটি পাওয়া এই ওপেনিং জুটি এবার শাহীন আফ্রিদি, হারিস রউফদের বিপক্ষেও পেরিয়ে যায় দুইশোর ঘর।
৮০ রান করে জাদরানের বিদায়ে ২২৭ রানে ভাঙে জুটি। পরে তিনে নামা মোহাম্মদ নবিকে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন গুরবাজ। একদম স্লগ ওভারে গিয়ে কিপার ব্যাটার আউট হয়েছে দেড়শো পেরিয়ে। ১৫১ বলে ১৪ চার, ৩ ছক্কায় ১৫১ রান করে শাহিনের বলে ফেরেন তিনি। শেষ দিকে শহিদির ব্যাটে তিনশো স্পর্শ করে দলের পুঁজি।
বড় সংগ্রহ নিয়ে ম্যাচ মুঠোয় এনেও শেষ পর্যন্ত তালগোল পাকিয়ে পাকিস্তানের কাছে আবার আক্ষেপে পুড়ল তারা।
Comments