৩৭.১ ওভারে জিতলে সুপার ফোরে খেলবে আফগানিস্তান
বাংলাদেশের বিপক্ষে বড় হারের পর এশিয়া কাপে টিকে থাকা বেশ কঠিন হয়ে গেছে আফগানিস্তানের জন্য। সুপার ফোরে উঠতে হলে রীতিমতো তাণ্ডব চালাতে হবে তাদের। শ্রীলঙ্কার দেওয়া ২৯২ রানের লক্ষ্য পাড়ি দিতে হবে ৩৭.১ ওভারে। অর্থাৎ ওভার প্রতি আটের কাছাকাছি রান তুলতে হবে তাদের।
মঙ্গলবার লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৯১ রান করেছে শ্রীলঙ্কা। জিতলে তো বটেই ৩৭.১ ওভারের আগে নিজেদের হার এড়াতে পারলেই সুপার ফোরে খেলবে তারা। একই সঙ্গে লঙ্কানদের এই পুঁজিতে বাংলাদেশ নিরাপদ স্থানে রয়েছে। অর্থাৎ ফলাফল যাই হোক সুপার ফোরে উঠতে কোনো বাধাই নেই টাইগারদের।
এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ভালো সূচনা পায় শ্রীলঙ্কা। ৬৩ রানের ওপেনিং জুটি গড়েন দুই ওপেনার পাথুম নিসাঙ্কা ও দিমুথ করুনারত্নে। এরপর হঠাৎ গুলবাদিন নাইবের তোপে পড়ে দলটি। ২৩ রানের ব্যবধানে এ দুই ওপেনার সহ সাদিরা সামারাবিক্রমাকেও ফেরান তিনি। তাতে কিছুটা হলেও চাপে পড়ে লঙ্কানরা।
এরপর চারিথ আসালাঙ্কাকে নিয়ে দলের হাল ধরেন কুশল মেন্ডিস। চতুর্থ উইকেটে ১০২ রানের জুটি গড়েন তারা। আসালাঙ্কাকে ফিরিয়ে এ জুটি ভাঙেন রশিদ খান। নিজেই তার ক্যাচ লুফে নেন এই লেগস্পিনার। এরপর মেন্ডিসের সঙ্গে ৩৩ রানের জুটি গড়ে মুজিব উর রহমানের বলে বোল্ড হয়ে যান ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা।
তবে এক প্রান্ত ধরে সেঞ্চুরির পথে এগিয়ে যাচ্ছিলেন কুশল মেন্ডিস। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে রানআউট হয়ে যান তিনি। তবে দুনিথ ওয়ালালাগে ও মহেশ থিকসানার ব্যাটে তিনশর কাছাকাছি পুঁজি পায় দলটি। অষ্টম উইকেটে ৬৪ রান যোগ করেন এ দুই ব্যাটার।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৯২ রানের ইনিংস খেলেন মেন্ডিস। ৮৪ বলে ৬টি চার ও ৩টি ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান তিনি। ৪১ রান করেন নিসাঙ্কা। আসালাঙ্কার ব্যাট থেকে আসে ৩৬ রান। শেষ দিকে ওয়ালালাগে ৩৩ ও থিকসানা হার না মানা ২৮ রানের দুটি কার্যকরী ইনিংস খেলেন। আফগানদের পক্ষে ৬০ রানের খরচায় ৪টি উইকেট নেন গুলবাদিন। ২টি শিকার রশিদের।
Comments