‘নার্ভাস’ ছিলেন তামিম, এখনো আছে ‘অস্বস্তি’
সর্বশেষ কোন ম্যাচ খেলেছিলেন জুলাই মাসে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডের পরদিন আচমকা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরও নিয়ে ফেলেছিলেন তামিম ইকবাল। নানান ঘটনাপ্রবাহে অধিনায়কত্ব ছেড়ে আড়াই মাস পর আবার খেলতে নামার দিন স্নায়ুচাপে ভুগেছেন এই ওপেনার। জানালেন পীঠের চোট কাটিয়ে ফিরলেও এখনো সেখানে রয়ে গেছে অস্বস্তি।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ফেরার ম্যাচে ৫৮ বলে ৪৪ রান করেন তামিম। আউট হন ১৯তম ওভারে। এর আগে ফিল্ডিং করেন প্রায় ৫০ ওভার।
একদিনের মধ্যে অবসর ভেঙে ফিরলেও মাঠে নামার অপেক্ষা তার বাড়ছিল। পীঠের চোটের জন্য ইংল্যান্ডে গিয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। পুনর্বাসনে থাকায় খেলতে পারেননি এশিয়া কাপে। তার আগে ছেড়ে দেন নেতৃত্ব। বিশ্বকাপের আগে তাই নিউজিল্যান্ড সিরিজ ছিল তার নিজের অবস্থা বোঝার মঞ্চ।
২৫৫ রান তাড়ায় দল ৮৬ রানে ম্যাচ হারলেও নিজের ব্যাটিং নিয়ে খুশি তামিম। খেলায় ফিরতে পারা তাকে দিচ্ছে তৃপ্তি। তবে চোটের সমস্যা থেকে যাওয়ায় এখনো অস্বস্তিবোধটাও রয়ে গেছে, 'মাঠে নেমে ভালো লাগছে। ফিল্ডিংয়ের ৫০ ওভার আর ব্যাট হাতে ২০ ওভার, ভালোই লাগছিল। তবে এখনও অস্বস্তি রয়েছে। স্টিল লটস অব ডিসকমফোর্ট ইন মাই ব্যাক। ফিজিও এবং আমিও চেষ্টা করছি কাটিয়ে ওঠার। তবে এটা সত্যি, এখনও কিছুটা অস্বস্তি আছে।'
লম্বা সময় পর ফেরা। মাঝে অবসর ও অবসর ভাঙা। এরপর অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়া। সব মিলিয়ে তামিমকে যেতে হয়েছে নানান ঘটনা প্রবাহের মধ্য দিয়ে। এসব কারণেই এদিন ব্যাট করতে নেমে কিছুটা স্নায়ু চাপে ভুগেছেন অভিজ্ঞ এই তারকা, 'সত্যি বলতে আমি নার্ভাস ছিলাম। যদি বলি সাধারণ একটা ম্যাচ, সত্যি কথা বলা হবে না। গত কয়েক মাস যা হয়েছে, আমি যখন ব্যাট করতে নামছিলাম, অবশ্যই নার্ভাস লাগছিল। তবে প্রথম ওভারের পরই কেটে গেছে।'
'ব্যাটিং বা ফিল্ডিং হোক, মাঠে সময় কাটানোর দরকার ছিল। বডি কীভাবে রিঅ্যাক্ট করছে এটা বোঝার জন্য। ডিফিকালিটিজ ছিল, এখনও আছে। সামনে কীভাবে কী করব এটা সেই প্রশ্ন যার উত্তর খোঁজা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক ম্যাচে যখন ব্যাট করছি, আমাকে নিজের সেরাটা দিতে হবে। আমি সেই চেষ্টাই করেছি। এমন না যে মাঠে নামলাম আর খেললাম। এটা মানসম্পন্ন বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধে একটা ম্যাচ। আমি নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি।'
একদিন আগে জিজ্ঞেস করলেও সংশয় থাকত মনে, এদিন ব্যাট করে এতটাই আত্মবিশ্বাস পেয়েছেন তামিম, 'ভালো লাগছে। কাল প্রশ্ন করলে হয়ত উত্তর অন্যরকম হতো। ৪৪ রান করার জন্য না, ২০ রান করলেও। নতুন বল মোকাবেলা করা, কোয়ালিটি বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধে খেলা, অবশ্যই ভালো বোধ হচ্ছে।'
এখন তার যা কিছু অস্বস্তি তা দূর করতে মেডিকেল দলের সঙ্গে বসবেন তিনি। কীভাবে এই চোট সামলে খেলা চালিয়ে যাওয়া যায় সেই পথই বাছবেন এই বাঁহাতি ওপেনার।
Comments