যুবরাজের বিশ্ব রেকর্ড ভেঙে দিলেন নেপালের দিপেন্দ্র, রোহিত-মিলারদের রেকর্ড ভাঙলেন কুশাল
এক ম্যাচে যেন বিশ্ব রেকর্ডের ছড়াছড়ি। প্রথম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলতে নামা মঙ্গোলিয়াকে পেয়ে চার-ছক্কার উৎসবে মাতল নেপাল। তাতে হয়ে গেল অবিশ্বাস্য সব কীর্তি। যুবরাজ সিংয়ের ১২ বলে ফিফটির রেকর্ড ভেঙে মাত্র ৯ বলে ফিফটি করে ফেললেন দিপেন্দ্র সিং। রোহিত শর্মা, ডেভিড মিলারের রেকর্ড ছাড়িয়ে ৩৪ বলে সেঞ্চুরি করে ফেলেন কুশাল মাল্লা। এছাড়া আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রান, সবচেয়ে বেশি ছক্কা, সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়ের রেকর্ডও হয়েছে।
চীনের হাংজুতে জেহজাং বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে এশিয়ান গেমসের ম্যাচে ঘটে এমন কাণ্ড। পুরুষ ক্রিকেটের ইভেন্টে মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে ৩ উইকেটে ৩১৪ রান করেছে নেপাল। ছক্কা মেরেছে ২৬টি। আফগানিস্তানের ২৭৮ ছাড়িয়ে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রান ও সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড হয়ে যায় তাতে।
প্রথম আন্তর্জাতিক দল হিসেবে কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে তিনশো ছাড়ানোর নজির গড়ে তারা। ৩১৪ রান করে প্রতিপক্ষকে মাত্র ৪১ রান্র গুটিয়ে ২৭৩ রানে ম্যাচ জিতছে নেপাল। যাও রেকর্ড। এর আগের রেকর্ড ছিল চেক প্রজাতন্ত্রের। তুরস্ককে ২৫৭ রানে হারিয়েছিল তারা।
আগে ব্যাটিং নিয়ে তিনে নেমে ৮ চার, ১২ ছক্কায় ৫০ বলে ১৩৭ করেন মাল্লা। এই রানের পথে ৩৪ বলে সেঞ্চুরি করেন তিনি। ভেঙে দেন ২০১৭ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে করা ডেভিড মিলারের ৩৫ বলে সেঞ্চুরির রেকর্ড। ৩৫ বলে সেঞ্চুরির রেকর্ড আছে আরও দুজনের। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে রোহিত শর্মা ও চেক প্রজাতন্ত্রের বিপক্ষে সুদেশ বিক্রমাসাকেরা করেছিলেন এই কীর্তি।
শেষ দিকে নেমে ঝড় তুলেন দিপেন্দ্র। ৯ বলে মধ্যে ৮টাই মারেন ছক্কা। ২০০৭ বিশ্বকাপে যুবরাজের ১২ বলে ফিফটির রেকর্ড গুঁড়িয়ে ৯ বলে ফিফটি করে ইতিহাসে নাম উঠান তিনি। ১০ বলে তিনি অপরাজিত থাকেন ৫২ রানে।
এই ম্যাচে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি তো বটেই স্বীকৃত পর্যায়ের কোন টি-টোয়েন্টি ম্যাচেরও অভিজ্ঞতা হয় মঙ্গোলিয়ার খেলোয়াড়দের।
Comments