এশিয়ান গেমস

শেষ ওভারের রোমাঞ্চে মালয়েশিয়াকে হারিয়ে সেমিতে বাংলাদেশ

এশিয়ান গেমসের সেমিফাইনালে বাংলাদেশ
ভীরেন্দিপ সিং ভয় ধরিয়ে দিয়েছিলেন

কঠিন উইকেটে অল্প পুঁজি নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছিল বাংলাদেশ। ভীরেন্দর সিংয়ের ঝড়ে এক পর্যায়ে হারের শঙ্কাই ছিল প্রবল।  শক্তিতে অনেক পিছিয়ে থাকা মালয়েশিয়ার কাছে হেরে গেলে দেশের ক্রিকেটে লাগত বড় ধাক্কা। ভয় ধরানো এমন পরিস্থিতিতে শেষ ওভারে আফিফ হোসেন স্নায়ু ধরে রেখে দারুণ বল করে দলকে এনে দেন স্বস্তির জয়।

বুধবার চীনের হাংঝোতে এশিয়ান গেমসের কোয়ার্টার ফাইনালে মালয়েশিয়াকে মাত্র ২ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। আগে ব্যাটিং বেছে সাইফ হাসানের ফিফটিতে মাত্র ১১৬ রানের পুঁজি পেয়েছিল লাল সবুজের প্রতিনিধিরা।

রান তাড়ায় এক পর্যায়ে ৩৮ রানে ৪ উইকেট হারালেও ভীরেন্দিপের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় আইসিসি সহযোগি দেশ মালয়েশিয়া। মাত্র ৩৫ বলে ফিফটি তুলে দলকে জেতার কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।

শেষ ওভারে জেতার জন্য দরকার ছিল কেবল ৫ রান। আফিফ প্রথম ৩ বল ডট দেয়ার পর চতুর্থ বলে ফেরান ভীরেন্দিপকে। ৪ ছক্কা, ৩ চারে থামে তার ৫২ রানের ইনিংস।

 

এই জয়ের পর এবার সেমিফাইনালে শক্তিশালী ভারতকে পাচ্ছে বাংলাদেশ। 

শক্তি-সামর্থ্য, ক্রিকেট ঐতিহ্য সব বিচারেই মালয়েশিয়া যোজন যোজন পিছিয়ে। অথচ সমান তালে লড়ে বাংলাদেশকে তারা দিল কঠিন সময়, এমনকি ম্যাচ জেতার মতো ফেভারিট অবস্থানও তৈরি ছিল তাদের। 

বাংলাদেশের দলটি যদিও দ্বিতীয় সারির। তবু মালয়েশিয়ার বিপক্ষেও এভাবে জিততে হবে কে ভেবেছিল। 

১১৭ রান তাড়ায় ১৮ রানে ৩ উইকেট তুলে প্রতিপক্ষকে চাপ দিয়েছিল সাইফের দল। কিন্তু সৈয়দ আজিজ প্রতিরোধ গড়লে ম্যাচে ফেরে মালয়েশিয়া। বিজয় উন্নি নিয়ে তিনি গড়েন জুটি। উন্নি ফিরতে দলকে একাই টানছিলেন ভিরেন্দিপ। কিপার আইনুল হাফিজকে সঙ্গী পেয়ে খেলা নিয়ে আসেন মুঠোয়। শেষ ৩ ওভারে তাদের দরকার ছিল ১৬, শেষ দুই ওভারে ১০। ম্যাচে তখন মালয়েশিয়ারই দাপট। শেষ ওভারে ৫ রানের প্রয়োজন যদিও আর মেটাতে পারেনি তারা। 

শুরু ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই মাহমুদুল হাসান জয় হয়ে যান রান আউট। নন স্ট্রাকিং প্রান্তে রান আউট হয়ে ডায়মন্ড ডাক পান তিনি। মালয়েশিয়ানদের স্পিনে কাবু হয়ে পারভেজ হোসেন ইমন ফেরেন দ্বিতীয় ওভারে, তৃতীয় ওভারে তার সঙ্গি হন জাকির হাসান। 

৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়া দলকে ভরসা দিচ্ছিলেন আফিফ-সাইফ। আফিফ যদিও ১৪ বলে ২৩ করে ধরা দেন বাউন্ডারি লাইনে। পরে শাহাদাত হোসেন দিপুকে নিয়ে এগিয়ে যান সাইফ। ২৬ বলে ২১ করে শাহাদাত বিদায় নেওয়ার পর জাকির আলি অনিনকে নিয়ে একশো পার করান সাইফ। ৫২ বলে তিনি অপরাজিত থাকেন ৫০ রানে। ইনিংসের শেষ ওভারে জাকের আলি গুরুত্বপূর্ণ দুই বাউন্ডারি এনেছিলেন, ম্যাচ শেষে সেটা এখন মনে হচ্ছে মহা মূল্যবান। 

Comments

The Daily Star  | English

JnU protests called off

Students and teachers of Jagannath University called off their protest last night after receiving assurances from the government that their demands would be met.

1h ago