তারুণ্যের তেজে ভারতের বড় জয়

নিজেদের মধ্যেই যেন প্রতিযোগিতায়ই নেমেছিলেন ভারতের ব্যাটাররা। প্রথম তিন ব্যাটারই পেলেন ফিফটি। তারসঙ্গে রিঙ্কু সিংয়ের ক্যামিওতে ভারত গড়ল ২৩৫ রানের পাহাড়। তা পেরিয়ে যাওয়া অসাধ্যই সাধন হত অস্ট্রেলিয়ার জন্য। রবি বিষ্ণই ও প্রসিধ কৃষ্ণার তোপে ভারত পেল ৪৪ রানের জয়। পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে তাই ভারত এগিয়ে গেল ২-০ ব্যবধানে।

রবিবার ত্রিভান্ড্রামে লক্ষ্য তাড়ায় প্রথম দুই ওভারেই অজিরা তুলে ফেলে ৩১ রান। সূর্যকুমার আক্রমণে স্পিনের আগমন ঘটিয়ে এরপর ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন। পরের চার ওভারে আসে মাত্র ২২ রান। তাতে অজিরা তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে পড়ে যায় বিপদে। বিষ্ণইয়ের বলে ইনসাইড এজে বোল্ড হয়ে যান ম্যাথু শর্ট। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকানো জশ ইংলিসও ফিরে যান মাত্র দুই রান করে। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ৮ বলে এক চার ও এক ছয়ে কেবল ১২ রানই আনতে পারেন।

পাওয়ারপ্লেতে ৫৩ রান আনার পর স্টিভেন স্মিথও আউট হয়ে গেলে দুই ওপেনারই ফিরে যান ১৯ রান করে। ৫৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পথ হারিয়েই ফেলে অজিরা। এরপর তাদের ম্যাচে ফিরিয়ে আনে পঞ্চম উইকেট জুটি। নবম ওভারে মার্কাস স্টয়নিস দুটি ছক্কা মারেন বিষ্ণইকে। ওই ওভারে ১৫ রানের পর টিম ডেভিডের সাথে মিলে মুকেশ কুমারের ওভারে আনেন ২২ রান।

৮ ওভারে ১০৫ রানের প্রয়োজনে তারা চলে আসে একসময়। আবার বিষ্ণই হাজির হন উইকেট নিয়ে। ২২ বলে ৪টি চার ও ২ ছক্কায় ৩৭ রানে আউট হয়ে যান ডেভিড ১৪তম ওভারে। ২৩ রানে জীবন পাওয়া স্টয়নিসও ফিরে যান পরের ওভারেই। ২৫ বলে ২ চার ও ৪ ছক্কায় ৪৫ রানে ফিরে যান স্টয়নিস। একে একে দুই পাওয়ার হিটারকে হারিয়ে দ্রুতই পাওয়ার ডাউন হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়ার। ১৪৮ রানে ষষ্ট উইকেট হারিয়ে ৭ রানেই পরের তিন উইকেট হারায় অজিরা। ১৫৫ থেকে এরপর ম্যাথু ওয়েড ২৩ বলে ৪২ রানের ইনিংস খেলে নিয়ে যান ১৯১ রানে।

টস হেরে ব্যাটিং পাওয়া ভারতের প্রথম দুই ওভারে আসে ১৩ রান। এরপর শুরু হয় বাউন্ডারি বৃষ্টি। পরের দুই ওভারেই আসে ৮টি বাউন্ডারি। তৃতীয় ওভারে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে একটি চার মারেন রুতুরাজ গায়কোয়াড়। ওই ওভারে যসভি জ্যাসওয়াল মারেন আরও দুটি চার। এরপর শন অ্যাবটের টানা তিন বলে পাঠান বাউন্ডারিতে, পরপর দুই বলে আরও দুটি ছক্কা মেরে এক ওভারেই আনেন ২৪ রান। জ্যাসওয়াল ঝড় চলতে থাকে পাওয়ারপ্লেতে। ২৪ বলেই পেয়ে যান ফিফটি। ফিফটির পরের বলেই যদিও আউট হয়ে যান। ২৫ বলে ৫৩ রানের ছোট্ট সে ইনিংসেই মারেন ৯টি চার ও ২ ছক্কা।

জ্যাসওয়ালকে হারিয়ে ফেলার পর ৬ ওভারে ৭৭ রান এনে ফেলা ভারতের ইনিংসে গতি কমে আসে। পরের চার ওভারে আসে মোটে ২৪ রান। ইশান কিশান এসে টাইমিং নিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়ে যান। একটা সময় ২১ বলে করতে পারেন মাত্র ২২ রান। এরপরই ডানা মেলে উড়াল দেন তরুণ এই তারকা। একের পর এক বাউন্ডারিতে পরের ৮ বলেই ২৯ রান এনে ফেলেন, ২৯ বলে ফিফটি পেয়ে যাওয়ার পর যদিও তিনিও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ৩২ বলে ৩ চার ও ৪ ছক্কায় ৫২ রানের ইনিংস খেলে ফিরে যান দলকে ১৬৪ রানে রেখে।

রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের ফিফটি পেতে লেগে যায় ৩৯ বল। শেষমেশ ৪৩ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৫৮ রান করে আউট হয়ে যান। সূর্যকুমারও এসে ১০ বলে দুই ছক্কার ১৯ রানের ক্যামিও খেলে বিদায় নেন। রিঙ্কু সিং এসে এরপর তুফান তুলেন। স্রেফ অসহায় বানিয়ে ছাড়েন অজি বোলারদের। ৯ বলে ৪টি চার ও ২ ছক্কায় খেলেন ৩১ রানের ইনিংস। তিলক ভার্মা ২ বল পেয়েই এক ছক্কায় ৭ রান এনে দেন। শেষ সাত ওভারেই ১১১ রান এনে ফেলে ভারত।

Comments

The Daily Star  | English

'Appalling' to see civilians treated as 'collateral damage' by Iran, Israel: UN

Iran and Israel traded further air attacks on Thursday as Trump kept the world guessing about whether the US would join Israel's bombardment of Iranian nuclear facilities.

19h ago