সাকিব-লিটনের অনুপস্থিতিতে বাংলাদেশের অন্যদের সুযোগ দেখছেন সাউদি
চোটের কারণে খেলতে পারছেন না নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ব্যক্তিগত কারণে ছুটি নেওয়ায় নেই সহ-অধিনায়ক লিটন দাস। তাদের অনুপস্থিতি বাংলাদেশ দল অনুভব করবে বলে মনে করেন টিম সাউদিও। নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক অবশ্য এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের বাকিদের জন্যও সুযোগ দেখছেন নিজেদেরকে মেলে ধরার।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাঁহাতি সাকিবের টেস্ট পারফরম্যান্স রীতিমতো চোখ ধাঁধানো। ৮ ম্যাচে তিনি করেছেন ৭৬৩ রান। ব্যাট হাতে তার ৬৩.৫৮ গড় আলাদাভাবে নজরে পড়ার মতো। দুটি সেঞ্চুরির সঙ্গে চারটি হাফসেঞ্চুরি আছে তার। বল হাতেও কম যাননি তারকা অলরাউন্ডার। ২৮.৯২ গড়ে দুবার ৫ উইকেটসহ ২৬ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। ক্যারিয়ারসেরা ৩৬ রানে ৭ উইকেট কিউইদের বিপক্ষেই নিয়েছেন।
লিটনের নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৪ টেস্টে ৩৭.১৪ গড়ে সংগ্রহ ২৬০ রান। গত বছর দুই দলের সবশেষ দেখায় সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন তিনি। সাদা পোশাকের ক্যারিয়ারের তিনটি শতকের ওই একটিই করেছেন বিদেশের মাটিতে। বাংলাদেশ হারলেও ১১৪ বলে ১০২ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি।
সাকিব-লিটন না থাকায় অন্তর্বর্তীকালীন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তসহ অপেক্ষাকৃত কম অভিজ্ঞ ও নতুনদের কাঁধে থাকবে বাড়তি দায়িত্ব। সাকিবের ঘাটতি পূরণ করা অবশ্য ভীষণ কঠিনই। কারণ ব্যাটে-বলে দুই ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তিনি।
সোমবার সংবাদ সম্মেলনে নিউজিল্যান্ড দলনেতা ও অভিজ্ঞ পেসার সাউদি বলেন, 'অবশ্যই, সাকিব লম্বা সময় ধরে দারুণ একজন খেলোয়াড়। অনেক বছর ধরে সে বাংলাদেশের জন্য দুর্দান্ত খেলোয়াড়। লিটনও মানসম্পন্ন খেলোয়াড়। সে অতীতে আমাদের বিপক্ষে ভালো করেছে। আমি মনে করি, তাদেরকে না পাওয়ার অভাব বাংলাদেশ বোধ করবে। একইসঙ্গে এটা অন্য অনেকের জন্য এগিয়ে এসে শূন্যস্থান পূরণ করার ভালো সুযোগ। কারণ ওই জায়গাগুলো অনেকদিন ধরে দখলে রেখেছে ওই দুজন।'
আগামীকাল মঙ্গলবার শুরু হবে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ডের দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট। ম্যাচের ভেন্যু সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম। ১০ বছরের ব্যবধানে ফের বাংলাদেশের মাটিতে কোনো টেস্টে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে দল দুটি। এই সিরিজ দিয়ে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তৃতীয় চক্রে যাত্রা শুরু করবে তারা।
Comments