সিলেট থেকে

নিজেদের স্পিনারদের নিয়ে বড় স্বপ্ন দেখছেন সাউদি

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

উপমহাদেশের বাইরের কোনো দল আসছে বাংলাদেশে, স্পিনের কথা আসবে অবধারিতভাবেই। চেনা কন্ডিশনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের স্পিনাররা বড় কিছুর আশা নিয়েই বসে থাকবেন। তবে বাংলাদেশ একাই স্পিন দিয়েই প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করবে, সেই স্বপ্ন সত্যি নাও হতে পারে। কিউই দলপতি টিম সাউদিও জানিয়ে রাখলেন উপমহাদেশের মাটিতে তাদের স্পিনারদের দক্ষতা দেখতে মুখিয়ে থাকার কথা।

দুই দলের প্রথম টেস্টের আগের দিন সোমবার সিলেটে সংবাদ সম্মেলনে উইকেট নিয়েই থাকল বাড়তি আগ্রহ। পিচ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সাউদি বলেন, 'আমরা একটু দেখেছি উইকেট। এখানে অনেক বেশি টেস্ট ম্যাচ হয়নি। তাই অনেক তথ্য ও পরিসংখ্যানে তাকানো যাচ্ছে না। আমরা একটি ভালো পিচেরই আশা করছি। অবশ্যই স্পিন বড় ভূমিকা রাখবে ম্যাচে। আমরা চলতি বছরে এর আগে পাকিস্তানে খেলেছি। আমাদের দলের খেলোয়াড়দের এখন উপমহাদেশে অনেক অভিজ্ঞতা আছে।'

নিউজিল্যান্ড স্কোয়াডে আছেন পাঁচজন স্পিনার। অভিজ্ঞ দুই বাঁহাতি স্পিনার মিচেল স্যান্টনার ও আজাজ প্যাটেলের সঙ্গে আছেন আরেক তরুণ রাচিন রবীন্দ্র। বিশেষজ্ঞ লেগ স্পিনার ইশ সোধির পাশাপাশি সাদা পোশাকের দলে আছেন অফ স্পিনে সম্প্রতি দারুণ দক্ষতা দেখানো গ্লেন ফিলিপস। নিউজিল্যান্ডের স্পিনারদের দিকে বাড়তি আশা নিয়ে তাকিয়ে আছেন অধিনায়ক, 'পেস বড় ভূমিকা রাখে নিউজিল্যান্ডে। ঐতিহাসিকভাবে স্পিন বড় ভূমিকা রাখে এখানে। আমাদের স্পিনাররা টেস্টে দারুণ কিছু করেছে। আমরা তাদের দক্ষতার প্রদর্শনী দেখতে মুখিয়ে আছি।'

দেশের মাটিতে বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশের টেস্ট পারফরম্যান্সের বেহাল দশা। তবে পূর্ণ শক্তির নিউজিল্যান্ড দল নিয়ে আসা সাউদি প্রতিপক্ষকে মোটেও হালকাভাবে নিচ্ছেন না। ডানহাতি এই পেসার বলেন, 'যতটা সহজে বলা যায়, ততটা সহজ নয় পয়েন্ট অর্জন করা। আমরা জানি, বাংলাদেশ এমন কন্ডিশনে ভালো একটা দল। আমি প্রতিদ্বন্দিতাপূর্ণ সিরিজের কথাই ভাবছি।'

উপমহাদেশে পেসারদের জন্য সহায়তা বরাদ্দ থাকে তুলনামূলক কমই। অনেক চ্যালেঞ্জিং সময়ই তাই পার করতে হয় গতিময় বোলারদের। তবে সামগ্রিকভাবেই বোলারদের অবদান রাখতে হবে মনে করেন সাউদি। পেসের কথা বলতে গিয়ে আবারও তিনি চলে আসেন স্পিনেই, 'নিউজিল্যান্ডে যেমন কাজ থাকে আমাদের, এখানে তার চেয়ে ভিন্ন। আমাদের তিনজন পেসার আছে, যারা ভিন্ন ভিন্ন শক্তির জোগান দিবে। এটা সমষ্টিগত বোলিং আক্রমণ যেখানেই খেলেন না কেন। সবাই ভিন্ন উপায়ে অবদান রাখে। স্পিন নিউজিল্যান্ডে অত বেশি ভূমিকা রাখে না, কিন্তু বাংলাদেশে তারা সেটার চেয়ে বড় ভূমিকাই রাখবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Eid meat: Stories of sacrifice, sharing and struggle

While the well-off fulfilled their religious duty by sacrificing cows and goats, crowds of people -- less fortunate and often overlooked -- stood patiently outside gates, waiting for a small share of meat they could take home to their families

4h ago