শান্ত-মুমিনুলের ব্যাটে শতরান ছাড়িয়ে বাংলাদেশের লিড

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

দ্বিতীয় সেশনের শুরুর দিকে দুই ওপেনারের বিদায়ে বিপাকে পড়ল বাংলাদেশ। তবে বাজে পরিস্থিতিতে পড়ার শঙ্কা তারা এড়িয়ে গেল অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হকের ব্যাটে। আস্থার সঙ্গে ব্যাট করে আর কোনো বিপদ ঘটতে দিলেন না দুই বাঁহাতি। নিউজিল্যান্ডের স্পিনারদের পাল্টা চ্যালেঞ্জ জানিয়ে চা বিরতি পর্যন্ত দলের লিড ১০৪ রানে নিয়ে গেলেন তারা।

বৃহস্পতিবার সিলেট টেস্টের তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশন শেষে বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ১১১। ক্রিজে ফিফটির সুবাস ছড়িয়ে শান্ত আছেন ৯২ বলে ৪৮ রানে। তার সঙ্গে ৬০ বলে ৩৮ রান নিয়ে খেলছেন মুমিনুল। তাদের অবিচ্ছিন্ন তৃতীয় উইকেট জুটির রান ১৪৪ বলে ৮৫। 

মধ্যাহ্ন বিরতির আগে ১০ ওভারে কোনো উইকেট পড়েনি বাংলাদেশের। নিউজিল্যান্ডের বোলিং আক্রমণকে আস্থার সঙ্গে মোকাবিলা করেছিলেন দুই ওপেনার। কিন্তু দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই ধাক্কা। পরপর দুই ওভারে সাজঘরে ফেরেন জাকির হাসান ও মাহমুদুল হাসান জয়। বাঁহাতি জাকির দারুণ এক ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউ হলেও জয় ছিলেন দুর্ভাগা।

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

এই টেস্টে দ্বিতীয়বারের মতো এজাজের শিকার হন বাঁহাতি জাকির। অফ স্টাম্পের বাইরে পড়ে তীক্ষ্ণ টার্ন করে ভেতরে ঢোকে বল। ব্যাকফুটে গিয়ে ফ্লিক করার চেষ্টায় ব্যর্থ হন জাকির। নিউজিল্যান্ডের খেলোয়াড়দের জোরালো আবেদনে আম্পায়ার সাড়া দিলে রিভিউ নেওয়ার পথে হাঁটেননি। ক্যারিয়ারের আগের তিন টেস্টেই অন্তত একটি পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। সেই ধারায় পড়ল ছেদ। প্রথম ইনিংসে ১২ করার পর এবার জাকির ফেরেন ৩০ বলে ১৭ করে।

পরের ওভারেই রানআউটে কাটা পড়েন জয়। শান্তর স্ট্রেইট ড্রাইভে ফলো থ্রুতে বলে হাত ছোঁয়ান সাউদি। এরপর বল গিয়ে লাগে নন-স্ট্রাইক প্রান্তের স্টাম্পে। জয় তখন ছিলেন ক্রিজের বাইরে। তৃতীয় আম্পায়ার বেশ কয়েক দফা রিপ্লে দেখে নিশ্চিত হয়ে আউটের সংকেত দেন। ৪৬ বলে ৮ রানে থামে জয়ের ইনিংস।

১৪ ওভারে ২৬ রানে ২ উইকেট পড়ে যাওয়ায় জাগে ধসের শঙ্কা। শান্ত ও মুমিনুল সেসময় ধরেন হাল। উইকেটে মানিয়ে নিতে সময় লাগেনি তাদের। নিউজিল্যান্ডের বোলারদের জেঁকে বসতে না দিয়ে পাল্টা আক্রমণ করেন তারা। ২১তম ওভারে এজাজে মুমিনুল দুটি ও শান্ত একটি চার মারেন। আগের ৮ ওভারে ২১ রান দেওয়া বাঁহাতি স্পিনার ওই ওভারে দিয়ে ফেলেন ১৫ রান।

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

স্বাচ্ছন্দ্যে খেলে ৬২ বলে শান্ত-মুমিনুলের জুটির রান স্পর্শ করে ৫০। এর আগে একবার মুমিনুলের বিপক্ষে এলবিডব্লিউয়ের আবেদনে অন-ফিল্ড আম্পায়ারের সাড়া না পেয়ে রিভিউ নেয় কিউইরা। কিন্তু হক-আইতে দেখা যায়, স্টাম্প অক্ষতই থাকত। ফলে নষ্ট হয় রিভিউটি। মুমিনুল তখন ছিলেন ৩ রানে।

২১তম ওভারে দলীয় পঞ্চাশ রান ছোঁয়া বাংলাদেশের সংগ্রহ শতরান ছাড়ায় ৩২তম ওভারে। এরপর ৩৫তম ওভারে তাদের লিড ছাড়ায় একশ। শান্ত ও মুমিনুলকে আলাদা করতে উইকেটের খোঁজে থাকা সফরকারী অধিনায়ক টিম সাউদি লেগ স্পিনার ইশ সোধির আগেই আক্রমণে আনেন গ্লেন ফিলিপসকে। প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট নেওয়া অফ স্পিনার অবশ্য এখনও পাননি সাফল্যের দেখা।

Comments

The Daily Star  | English

Netanyahu says Israel close to meeting its goals in Iran

JD Vance says US at war with Iran's nuclear programme, not Iran

19h ago