অভিজ্ঞতা আর অলরাউন্ড সামর্থ্যে ফেরানো হয়েছে সৌম্যকে
বিশ্বকাপের আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে একটা ওয়ানডেতে সুযোগ পেয়ে রান করতে পারেননি সৌম্য সরকার। অনেকদিন জাতীয় দলের বাইরে থেকে এসে এমন পারফর্ম্যান্সের পর তার ইতি টেনে ফেলেছিলেন কেউ কেউ। তবে বিশ্বকাপের পর নিউজিল্যান্ড সফরের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দুই সংস্করণের দলেই ফিরলেন সৌম্য। তাকে আবার ফেরানোর পেছনে কিউই কন্ডিশনে খেলার অভিজ্ঞতা আর অলরাউন্ড সামর্থ্য নেওয়া হয়েছে বিবেচনায়।
শুক্রবার সিলেট টেস্টের চতুর্থ দিনের খেলা চলাকালীন গণমাধ্যমে কথা বলেন নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন। সৌম্যকে দলে নেওয়ার ব্যাখ্যা দেন তিনি।
সাদা বলের ক্রিকেটে সাম্প্রতিক সময়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে কোন খেলা ছিল না। সৌম্যকে তবে কি দেখে নেওয়া হলো এই প্রশ্ন উঠতে পারে। এই সময়ে প্রথম শ্রেণীর আসর জাতীয় লিগে ১১ ইনিংসে ৪৮ ব্যাটিং গড়ে ৪ ফিফটিতে ৪৩৬ রান আর বল হাতে ১৫ উইকেট নেন তিনি।
লাল বলের মাঝারি পারফরম্যান্স দিয়েই কি তবে সাদা বলে ডাক পেলেন সৌম্য? হাবিবুল জানান আসলে এই ক্রিকেটারকে দলে নিতে কাজ করেছে একাধিক ফ্যাক্টর, 'সৌম্য দলে এসেছে… এবার আসলে আমাদের কিছু বাধ্যতামূলক পরিবর্তন করতে হয়েছে। মাহমুদউল্লাহ নেই, সাকিব আল হাসানকে পাওয়া যাচ্ছে না, অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের সংখ্যা আমাদের কমে গেছে। নিউ জিল্যান্ড সফর আমাদের জন্য সবসময়ই একটু কঠিন হয়। সেখানে আমরা সাধারণত অনেক সংগ্রাম করি। নতুন কাউকে দেখার থেকে আমাদের মনে হয়েছে, এমন কাউকে নেই যে এই কন্ডিশনে আগে খেলেছে। পাশাপাশি ওর একটু অলরাউন্ড সামর্থ্যও আছে। এই ভাবনা থেকে তাকে নেওয়া হয়েছে।'
জাতীয় লিগের সৌম্যের পারফরম্যান্স তার দলে ফেরার পেছনে তেমন ভূমিকা রাখেনি। বাঁহাতি ব্যাটার ফিরেছেন কিউই কন্ডিশনে খেলার অভিজ্ঞতা থেকে। নিউজিল্যান্ডের মাঠে টি-টোয়েন্টি ও টেস্টে কিছু ভালো ইনিংস আছে সৌম্যের। নির্বাচকদের বিবেচনায় ছিল তা, 'এবার প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে খুব ভালো পারফর্ম যে করেছে, তা নয়। তবে ৪৮ গড় খুব খারাপ নয়, যদিও তার কাছ থেকে আরও বেশি কিছু আশা করার থাকে। চিন্তা করা হয়েছে যে, যেহেতু এই কন্ডিশনে আগে খেলেছে ও পারফর্ম করেছে, অলরাউন্ড সামর্থ্যও আছে, সব মিলিয়ে নেওয়া হয়েছে।'
ঢাকা টেস্ট শেষ হওয়ার পর পরই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে রওয়ানা দেবে বাংলাদেশ দল।
Comments