প্রথম সেশনেই ব্যাকফুটে বাংলাদেশ
কুয়াশায় ঢাকা সকালে টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেওয়ার সাহস দেখিয়ে স্বস্তিতে নেই বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের দুই বাঁহাতি স্পিনার এজাজ প্যাটেল আর মিচেল স্যান্টনারের তোপে টপ অর্ডার ধসে যাওয়ার পর ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় আছে স্বাগতিক দল।
বুধবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম সেশন পুরোটাই নিউজিল্যান্ডের। ২৮ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৮০ রান তুলে লাঞ্চ বিরতিতে গেছে স্বাগতিকরা।
৪৭ রানে ৪ উইকেট পড়ার পর পঞ্চম উইকেটে প্রতিরোধ গড়েছেন মুশফিকুর রহিম আর শাহাদাত হোসেন দিপু। পঞ্চম উইকেটে অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ৩৩ রান এনেছেন তারা। মুশফিক ১৮ আর শাহাদাত খেলছেন ১৪ রান নিয়ে।
সকালে থেকে আলো কম থাকায় জ্বালাতে হয় ফ্লাড লাইট। এমন পরিস্থিতিতে টিম সাউদি আর কাইল জেমিসন স্যুয়িং পেলেও তাদের লম্বা সময় আক্রমণ দেখা যায়নি। প্রথম পাঁচ ওভার পরই স্পিনারদের আক্রমণে নিয়ে আসে নিউজিল্যান্ড। ৬ষ্ঠ ওভার করতে এসেই সুযোগ তৈরি করতে থাকেন এজাজ প্যাটেল। তার বলে বারবার ভুগে অস্থিরতা দেখান মাহমুদুল হাসান জয়।
একবার এলবিডব্লিউ হতে হতে বেঁচে গিয়ে রান আউট থেকেও অল্পের জন্য রক্ষা পান। তবে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি।
তার আগে অবশ্য জাকির হাসান। কাভার ড্রাইভে এক চারে জাকির হাসান নিজেকে থিতু প্রমাণ দিতে পারেননি। রান বের করতে না পারায় হাঁসফাঁস করছিলেন। অস্থিরতা কাল হয়েছে তার। স্যান্টনারের বলে এগিয়ে এসে উড়াতে গিয়ে টাইমিং পাননি। মিড অনে সহজ ক্যাচ নেন কেইন উইলিয়ামসন। ২৪ বলে ৮ করে থামেন বাঁহাতি ওপেনার।
পরের ওভারেই সংগ্রামের ইতি টানেন জয়। সেই এজাজই তার হন্তারক। শর্ট লেগে লোপ্পা ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৪০ বলে ১৪ করে। ২৯ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ।
দুই ওপেনারের বিদায়ের পর নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে জুটি গড়তে পারেননি মুমিনুল হক। সাবেক অধিনায়ককে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানান এজাজ।
পরের ওভারেই শান্তকে শিকার ধরেন স্যান্টনার। বাঁহাতি স্পিনারের বলে রিভার্স সুইপে আগে বাউন্ডারি পেলেও ফের একই শটের চেষ্টায় বিপদে পড়েন তিনি। লাইন মিস করে পরাস্ত হলে জোরালো এলবিডব্লিউর আবেদন করেন বোলার। আম্পায়ার আউট না দিলে রিভিউ নিয়ে তাকে ফেরায় কিউইরা। ৪৭ রানে পড়ে যায় ৪ উইকেট। এরপর ক্রিজে রান বের করতে বেশ কিছুটা সময় লাগে মুশফিক-শাহাদাতের।
আড়ষ্ট অবস্থা কাটিয়ে দুজনেই পান একাধিক বাউন্ডারি। স্পিনাররা শার্প টান পেলেও এই দুজন বাংলাদেশকে দিচ্ছেন ভরসা।
Comments