দ্বিতীয় টোয়েন্টিতেও ইংল্যান্ডকে হারাল ওয়েস্ট ইন্ডিজ

ব্যাটে-বলে অসাধারণ পারফরম্যান্স করে প্রথম ম্যাচে জয়ের নায়ক ছিলেন আন্দ্রে রাসেল। কিন্তু এদিন পারলেন না কিছুই করতে। তবে সতীর্থদের সম্মিলিত পারফরম্যান্সে সে অভাব টের পাওয়া যায়নি। ওপেনার ব্রান্ডন কিংয়ের সঙ্গে গর্জে ওঠে অধিনায়ক রভম্যান পাওয়েলের ব্যাট। এরপর আকিল হোসেন ও আলজেরি জোসেফের দাপটে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

বৃহস্পতিবার গ্র্যানাডার সেইন্ট জর্জ ন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডকে ১০ রানে হারিয়েছে ক্যারিবিয়ানরা। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৭৬ রান করেন স্বাগতিক দলটি। জবাবে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৬৬ রানের বেশি করতে পারেনি ইংলিশরা।

এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অথচ গত নয় বছরে কোনো দ্বিপাক্ষিক টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুটি ম্যাচে জিতেনি তারা। ২০১৪ সালে এই ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই শেষবার সেই কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন ক্যারিবিয়ানরা।

এদিন টস জিতেছিল ইংল্যান্ডই। ক্যারিবিয়ানদের ব্যাটিংয়ে পাঠায় তারা। কাইল মেয়ার্সের সঙ্গে ৪৩ রানের ওপেনিং জুটি গড়ে ভালো জবাবই দিচ্ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু এরপর ঘুরে দাঁড়ায় ইংল্যান্ড। এ জুটি ভেঙে দ্রুত আরও তিনটি উইকেট তুলে নেয় তারা। মূলত আদিল রশিদের ঘূর্ণিতেই ম্যাচে ফেরে তারা।

কিন্তু এরপর কিংয়ের সঙ্গে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক পাওয়েল। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৪৬ বলে ৮০ রানের জুটি গড়েন তারা। যেখানে ২৮ বলে ৩টি চার ও ৫টি ছক্কায় ৫০ রান করেন অধিনায়ক। এরপর স্যাম কারানের স্বীকার হয়ে মাঠ ছাড়েন পাওয়েল। তার বিদায়ের পর রাসেলের সঙ্গে ৪২ রানের জুটি গড়েন কিং। যেখানে ১৩ বলে ২৭ রান করেন এই ওপেনার। তাতেই লড়াইয়ের পুঁজি পায় স্বাগতিকরা।

শেষ পর্যন্ত ৮২ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন কিং। ৫২ বলে নিজের ইনিংসটি সাজান ৮টি চার ও ৫টি ছক্কায়। ইংল্যান্ডের হয়ে দারুণ বোলিং করেন রশিদ। ৪ ওভার বল করে মাত্র ১১ রানের খরচায় পান ২টি উইকেট। এছাড়া ৩০ রানের বিনিময়ে ২টি শিকার টাইমাল মিলসের।

লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি ইংল্যান্ডের। দলীয় ৯ রানেই ভাঙে ওপেনিং জুটি। ব্যক্তিগত ৫ রানে আকিল হোসেনের শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলার। এরপর উইল জ্যাকের সঙ্গে ৪৬ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক চাপ সামলে ভালো জবা দিচ্ছিলেন ফিল সল্ট। তবে ১০ রানের ব্যবধানে এ দুই সেট ব্যাটার ফিরে গেলে ফের চাপে পড়ে যায় ইংল্যান্ড।

এরপর স্যাম কারান এক প্রান্ত আগলে খেলতে থাকলেও অপর প্রান্ত থেকে তেমন কোনো সহায়তা মিলেনি। ফলে হয়নি বড় কোনো জুটি। দলীয় ১৩৪ রানে কারানও বিদায় নিলে ভাগ্য স্পষ্ট হয়ে যায় ইংলিশদের। তখন ১৭ বলে প্রয়োজন ছিল ৪৩ রানের। চেষ্টা করেছিলেন মঈন আলী। তবে ১৯তম ওভারে মাত্র তিন রান দিয়ে তাদের যাবতীয় আশা শেষ করে দেন জেসন হোল্ডার। ফলে ১০ রান দূরেই থামে তারা।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫০ রান করেন জোসেফের শিকার হন কারান। ৩২ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। এছাড়া সল্ট ২৫ ও জ্যাক ২৪ রান করেন। ক্যারিবিয়ানদের হয়ে ৩৯ রানের খরচায় তিনটি উইকেট পান জোসেফ। ২৪ রান দিয়ে দুটি উইকেট নেন আকিল।

Comments

The Daily Star  | English
future of bangladesh after banning awami league

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

17h ago