বৃথা গেল ফারজানার সেঞ্চুরি

বাংলাদেশকে হারিয়ে সিরিজে সমতা ফেরাল দক্ষিণ আফ্রিকান মেয়েরা

বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটারদের হয়ে প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরিটি করেছিলেন ফারজানা হক। সেই ফারজানা করলেন দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। তাতে লড়াইয়ের পুঁজি পায় বাংলাদেশ। কিন্তু তার সেঞ্চুরিও যথেষ্ট হয়নি। জ্বলে উঠতে পারেননি বোলাররা। ফলে লড়াইটাও জমাতে পারেনি টাইগ্রেসরা। হারতেই হয় তাদের।

বুধবার পচেফস্ট্রুমে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৪ উইকেটে ২২২ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে ২৯ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে নোঙ্গর করে প্রোটিয়ারা। 

এদিন টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। শামিমা সুলাতানা সঙ্গে দারুণ এক ওপেনিং জুটি গড়েন ফারজানা। দলীয় ৪৮ রানে ভাঙে তাদের উদ্বোধনী জুটি। মাসাবাতা ক্লাসের বলে ব্যক্তিগত ২৮ রানে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ওপেনার শামীমা সুলতানা। তিনে নেমে আজ অবশ্য কিছু করতে পারেননি আগের ম্যাচে নায়িকা মুর্শিদা খাতুন। ব্যক্তিগত ৮ রানে মারিজান ক্যাপের শিকার হন তিনি।

এরপর ফারজানার সঙ্গে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা। তৃতীয় উইকেটে ৫৮ রানের জুটি গড়েন এ দুই ব্যাটার। তবে খুব বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি অধিনায়ক। ক্যাপের বলে খোঁচা মেরে উইকেটরক্ষক সিনালো জাফতার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান ব্যক্তিগত ১০ রানে।

তবে একপ্রান্ত আগলে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন ফারজানা। ফাহিমা খাতুনের সঙ্গে আরও একটি দারুণ জুটি গড়েন তিনি। চতুর্থ উইকেটে ৯৩ রান যোগ করেন এ দুই ব্যাটার। ইনিংসের শেষ ওভারে রানআউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন ফারজানা। শেষ পর্যন্ত খেলেন ১০৭ রানের ইনিংস। ১৬৭ বলে ১১টি চারের সাহায্যে এই রান করেন তিনি। প্রোটিয়াদের হয়ে মারিজান ক্যাপ ২১ রানের খরচায় পান ২টি উইকেট।

লক্ষ্য তাড়ায় দারুণ সূচনা পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ওপেনিং জুটিতেই ১০৬ রান যোগ করেন ওপেনার টাজমিন ব্রিটজ ও অধিনায়ক লরা ওলভার্ডট। তাতেই জয়ের ভিত মিলে যায় দলটির। এরপর ব্রিটজকে ফিরিয়ে এ জুটি ভাঙেন রিতু মনি। পরের ওভারে প্রথম বলে প্রোটিয়া অধিনায়ক লরাকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান ফাহিমা খাতুন।

তবে এরপর সুনে লুসকে নিয়ে দলের হাল ধরেন আন্নিকে বোসচ। অবিচ্ছিন্ন ১১৭ রানের জুটি গড়ে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন তারা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৫ রান করে অপরাজিত থাকেন আন্নিকে। ৬৩ বলে ৭টি চারের সাহায্যে এই রান করেন তিনি। ৫৭ বলে ১টি চারের সাহায্যে হার না মানা ৪৭ রান করেন লুস। অধিনায়ক লরার ব্যাট থেকে আসে ৫৪ রান। ৬৭ বলে ৩টি চারের সাহায্যে এই রান করেন তিনি। ৮৪ বলে ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ৫০ রান করেন ব্রিটজ।

Comments