নিউজিল্যান্ডকে ৯৮ রানে অলআউট করে দিল বাংলাদেশ

Shoriful Islam

টস জিতে উইকেটে ঘাস থাকায় বোলিং বেছে নেন নাজমুল হোসেন শান্ত। অধিনায়কের সিদ্ধান্তের প্রমাণ দিতে শুরুতেই জোড়া আঘাত দেন তানজিম হাসান সাকিব। পরে উইকেট টানা তিন শিকার ধরেন শরিফুল ইসলাম। আগের ম্যাচে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করা সৌম্য সরকারও এবার বল হাতে দেখাল ঝলক। কিউইরা গুটিয়ে যায় একশোর আগে।

শনিবার নেপিয়ারে সিরিজের শেশ ওয়ানডেতে বাংলাদেশে চার পেসারের তোপে স্বাগতিকরা টিকেছে স্রেফ ৩১.৪ ওভার। দলের সবচেয়ে সফল তানজিম। ১৪ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। সৌম্য ১৮ রানে পান ৩ উইকেট। শরিফুল ইসলামের দখলে যায় ২২ রানে ৩ উইকেট। তুলনায় মোস্তাফিজ ছিলেন বিবর্ণ। ৩৬ রান দিয়ে ১ উইকেট পান তিনি। 

নিউজিল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ২৬ রান আসে উইল ইয়ংয়ের ব্যাট থেকে। বাংলাদেশের বিপক্ষে এটাই নিউজিল্যান্ডের সর্বনিম্ন পুঁজি। আগের সর্বনিম্ন মিরপুরে ১৬২। 

 

চতুর্থ ওভারে প্রথম সাফল্য পায় বাংলাদেশ। তানজিমের বেরিয়ে যাওয়া বলে এজড হয়ে কিপারের হাতে জমা পড়েন রাচিন রবীন্দ্র। 

উইল ইয়ং প্রতিরোধের চেষ্টায় ছিলেন, কিন্তু তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি হেনরি নিকোলস। তানজিমের বলে সরে গিয়ে পুল করে সহজ ক্যাচ তুলে দেন তিনি। 

২২ রানে ২ উইকেট হারানোর পর একটা জুটি পায় স্বাগতিকরা। ইয়ংয়ের সঙ্গে দাঁড়িয়ে যান অধিনায়ক টম ল্যাথাম। মেঘলা আকাশের নিচে দুই পাশে স্যুয়িং হতে থাকায় কন্ডিশন ছিলো ভীষণ চ্যালেঞ্জের। 

পরিস্থিতি দেখে শরিফুলকে  আক্রমণে ১৭তম ওভারে আবার সাফল্য পান শান্ত। শরিফুলের দুর্দান্ত ভেতরে ঢোকা বল কেড়ে নেয় ল্যাথামের স্টাম্প। ইয়ং ড্রাইভ করে দেন সহজ ক্যাচ। খানিক পর মার্ক চামম্যানকেও বোল্ড করে দেন বাঁহাতি পেসার। 

৭০ রানে ৫ উইকেট হারানো নিউজিল্যান্ড তানজিমের বলে টম ব্ল্যান্ডেলকে হারালে ওই রানেই হারায় ৬ উইকেট।

এরপর মিডিয়াম পেসে বিষাক্ত স্যুইং ঢেলে উইকেট নেওয়ায় যোগ দেন সৌম্য। জশ ক্লার্কসেন আর অ্যাডাম মিলনেকে পর পর দারুণ ভেতরে ঢোকানো দুই বলে বোল্ড করে দেন তিনি। 

পরে আদিত্য অশোকও শিকার হন সৌম্যের। তিন পেসারের তোপে ব্যতিক্রম দেখাচ্ছিল মোস্তাফিজকে। বেশ খরুচেও ছিলেন তিনি। তবে   স্বাগতিকের ইনিংস মুড়ে দিয়ে স্কোরবোর্ডে উইকেট শিকারে নিজের নামটাও তুলেন তিনি। 

 

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh RMG sector

RMG sector on edge as tariff talks make no headway

The diverging outcomes threaten to create a multi-tiered tariff landscape in Asia, placing nations like Bangladesh at a serious disadvantage in the US market.

12h ago