বর্ষসেরা ওয়ানডে ক্রিকেটারের দৌড়ে ভারতের আধিপত্য, অস্ট্রেলিয়ার কেউ নেই

ছবি: সংগৃহীত

বর্ষসেরা পুরুষ ক্রিকেটার নির্বাচন করতে চার জনের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করেছে আইসিসি। সেই লড়াইয়ে মনোনয়ন পেয়েছেন ভারতেরই তিনজন। দলটির শুবমান গিল, বিরাট কোহলি ও মোহাম্মদ শামির সঙ্গে আছেন নিউজিল্যান্ডের ড্যারিল মিচেল। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার কোনো খেলোয়াড় নেই এই তালিকায়।

বৃহস্পতিবার বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ২০২৩ সালের বর্ষসেরা পুরুষ ও নারী ওয়ানডে ক্রিকেটার নির্বাচনের জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকা দিয়েছে।

শুবমান গিল (ভারত):
২৯ ওয়ানডেতে ১৫৮৪ রান

ওয়ানডে সংস্করণের ক্রিকেটে গত বছরটা স্বপ্নের মতো কাটে ভারতের ওপেনার গিলের। ২৯ ম্যাচে ৬৩.৩৬ গড়ে তিনি করেন ১৫৮৪ রান। এক পঞ্জিকা বর্ষে ভারতের হয়ে ওয়ানডেতে পঞ্চম সর্বোচ্চ রানের কীর্তি এটি।

ঘরের মাঠে রানার্সআপ হওয়া ভারতের পক্ষে বিশ্বকাপে ৪৪.২৫ গড়ে গিল করেন ৩৫৪ রান। কোনো সেঞ্চুরি না পেলেও চারটি হাফসেঞ্চুরি আসে তার ব্যাট থেকে। তবে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার কারণে আসরের শুরুর দিকে খেলতে পারেননি তিনি।

২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে ওয়ানডের সর্বকনিষ্ঠ ডাবল সেঞ্চুরিয়ান হওয়ার রেকর্ড গড়েন গিল। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২০৮ রানের স্মরণীয় ইনিংস খেলেন তিনি। ১৪৯ বল মোকাবিলায় তিনি মারেন ১৯ চারের সঙ্গে ৯ ছক্কা।

আগ্রাসী ডাবল সেঞ্চুরির পথে আরেকটি রেকর্ড গড়েন গিল। ওয়ানডেতে দ্রুততম এক হাজার রানের যৌথ মালিক হন তিনি। সেদিন ৩৪৯ রান তুলে ১২ রানে জিতেছিল ভারত।

বিরাট কোহলি (ভারত):
২৭ ম্যাচে ১৩৭৭ রান

ভারতের তারকা ব্যাটার কোহলি ২০২৩ সাল শেষ করেন ৭২.৪৭ গড়ে ১৩৭৭ রান নিয়ে। ২৭ ম্যাচের ২৪ ইনিংসে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়ে আটটি হাফসেঞ্চুরির সঙ্গে ছয়টি সেঞ্চুরি হাঁকান তিনি। বিশ্বকাপে অনবদ্য পারফরম্যান্সের কারণে তিনি জেতেন আসরের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার।

বিশ্বকাপে ৯৫.৬২ গড়ে ও ৯০.৩১ স্ট্রাইক রেটে ৭৬৫ রান করেন কোহলি। প্রতিযোগিতার ইতিহাসে এক আসরে কোনো ক্রিকেটারের সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড এটি। তিনি ভেঙে দেন ২০০৩ সালে স্বদেশি তারকা শচীন টেন্ডুলকারের গড়া ৬৭৩ রানের কীর্তি।

বিশ্বমঞ্চে ১১ ইনিংসের নয়টিতেই অন্তত ৫০ রানের ইনিংস খেলেন কোহলি। সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করে শচীনের আরেকটি রেকর্ড পেরিয়ে যান তিনি। ওই সেঞ্চুরিটি ছিল ওয়ানডেতে তার ৫০তম। কিংবদন্তি সাবেক ক্রিকেটার শচীনের নামের পাশে আছে ৪৯ সেঞ্চুরি।

মোহাম্মদ শামি (ভারত):
১৯ ম্যাচে ৪৩ উইকেট

২০২৩ সালের প্রথম অংশটা যতটা সাদামাটা ছিল শামির জন্য, দ্বিতীয় অংশে সেটার চেয়ে অনেক বেশি উজ্জ্বল ছিলেন ভারতের পেসার। বিশ্বকাপে স্রেফ ১০.৭০ গড়ে ২৪ উইকেট নেন তিনি। এতে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হিসেবে তিনি আসর শেষ করেন।

বিশ্বকাপের শুরুর দিকে একাদশে জায়গা না মিললেও হার্দিক পান্ডিয়া চোট পেয়ে মাঠের বাইরে ছিটকে যাওয়ায় কপাল খোলে শামির। সাত ম্যাচ খেলে তিনবার ৫ উইকেট ও একবার ৪ উইকেট দখল করেন তিনি। সেমিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চোখ ধাঁধানো পারফরম্যান্সে পান ৫৭ রানে ৭ উইকেট।

বিশ্বকাপে ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক এখন রোহিত। ১৮ ম্যাচে তার নামের পাশে রয়েছে ৫৫ উইকেট। সব মিলিয়ে মাত্র সাত বোলার ওয়ানডে বিশ্বকাপে ৫০ বা তার চেয়ে বেশি উইকেট নিয়েছেন। তবে কেউই শামির চেয়ে কম ম্যাচে (১৭) ওই মাইলফলক স্পর্শ করতে পারেননি।

ড্যারিল মিচেল (নিউজিল্যান্ড):
২২ ম্যাচে ১২০৪ রান ও ৯ উইকেট

২০২৩ সালে ১২০৪ রান করেন মিচেল। নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসে এক বর্ষপঞ্জিতে ওয়ানডেতে তৃতীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড এটি। বিশ্বকাপে দুটি সেঞ্চুরিসহ ৬৯ গড়ে ৫৫২ রান আসে তার ব্যাট থেকে।

বিশ্বমঞ্চে মিচেলের দুটি সেঞ্চুরিই আসে ভারতের বিপক্ষে। কিন্তু কোনো ম্যাচেই নিউজিল্যান্ড জিততে পারেনি। এতে বিফলে যায় প্রথম পর্বে তার ১২৭ বলে ১৩০ ও সেমিফাইনালে ১১৯ বলে ১৩৪ রানের ইনিংস।

২০২৩ সালের বর্ষসেরা নারী ওয়ানডে ক্রিকেটারের চারজনের সংক্ষিপ্ত তালিকায় আছেন শ্রীলঙ্কার চামারি আতাপাত্তু, অস্ট্রেলিয়ার অ্যাশলি গার্ডনার, ইংল্যান্ডের ন্যাট সিভার-ব্রান্ট ও নিউজিল্যান্ডের অ্যামেলিয়া কার।

প্রতিটি বিভাগের সংক্ষিপ্ত তালিকা থেকে বিজয়ী শনাক্ত করা হবে আইসিসি ভোটিং একাডেমি ও সমর্থকদের ভোটের মাধ্যমে।

Comments

The Daily Star  | English

4 hurt in RU clashes

The confrontations took place in four separate incidents, spanning from last night and today

5h ago