নাহিদুলের ঘূর্ণির পর জয়-আফিফের ব্যাটে জিতল খুলনা

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

নাহিদুল ইসলামের ঘূর্ণিজালে ভেঙে যায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের টপ অর্ডার। আর মিডল অর্ডার ধসিয়ে দেন পাকিস্তানি পেসার ফাহিম আশরাফ। তাতে লক্ষ্যটা হাতের নাগালেই ছিল খুলনা টাইগার্সের। তবে ছোট পুঁজি নিয়েও দারুণ লড়াই করে চট্টগ্রাম। তবে শেষ পর্যন্ত পেরে ওঠেনি। মাহমুদুল হাসান জয় ও আফিফ হোসেনের ব্যাটে কাঙ্ক্ষিত জয় পায় খুলনা।

শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে খুলনা টাইগার্স। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৯.৫ ওভারে ১২১ রানে গুটিয়ে যায় চট্টগ্রাম। জবাবে ১০ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে নোঙ্গর করে খুলনা।

লক্ষ্য তাড়ায় খুলনার সূচনাটা ভালো হয়নি। আল-আমিন হোসেনের তোপে তাদের দুই ক্যারিবিয়ান ব্যাটার সাজঘরে ফেরেন। যদিও দুই ছক্কা মেরে ভালো কিছুর ইঙ্গিতই দিয়েছিলেন এভিন লুইস। তবে এর ঠিক পরপরই উইকেটরক্ষক ইমরান উজ্জামানের হাতে ক্যাচ তুলে আল-আমিনের বলে। আর শেই হোপকে বোল্ড করেন দেন এই পেসার।

এর আগে খুলনা অধিনায়ক এনামুল হককে আফগান রিক্রুট নজিবউল্লাহ জাদরানের তালুবন্দি করে ফেরান শহিদুল ইসলাম। ৩২ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে খুলনা। এরপর আফিফ হোসেনের সঙ্গে দলের হাল ধরেন মাহমুদুল হাসান জয়। চতুর্থ উইকেটে ৪৬ রানের জুটি গড়েন এ দুই ব্যাটার।

আফিফকে ফিরিয়ে এ জুটি ভাঙেন নিহাদুজ্জামান। তাকে বোল্ড করে দেন এই স্পিনার। স্কোরবোর্ডে ৬ রান যোগ হতে ফিরে যান হাবিবুর রহমান সোহানও। ফলে ফের চাপে পরে যায় খুলনা। তবে জয়ের ব্যাটে শেষ পর্যন্ত কোনো বিপদ হয়নি। তাকে ভালো সহায়তা করেন ফাহিম আশরাফ।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৯ রানের ইনিংস খেলেন জয়। ৪৪ বলে ১টি করে চার ও ছক্কায় সাজান নিজের ইনিংস। ২৮ বলে ২৬ রান করেন আফিফ। ৮ বলে ৩টি চারে ১৫ রানের ক্যামিও খেলেন ফাহিম। চট্টগ্রামের পক্ষে ২টি করে উইকেট পান আল-আমিন ও শহিদুল।

এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ফলে গড়ে ওঠেনি বলার মতো কোনো জুটি। অষ্টম উইকেটে নিহাদুজ্জামানের সঙ্গে শহিদুল ইসলামের ২৯ রানের জুটিটি ইনিংসে সর্বোচ্চ। মূলত শহিদুলের ব্যাটে একশ রান পার করতে পারে চট্টগ্রাম।

এক প্রান্তে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪০ রানের ইনিংস খেলেন শহিদুল। ৩১ বলে ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় সাজান নিজের ইনিংস। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৪ রান করেন আফগান ব্যাটার নজিবউল্লাহ জাদরান। এ দুই ব্যাটার ছাড়া দুই অঙ্ক স্পর্শ করতে পারেন কেবল তানজিদ হাসান। ১৯ রান আসে তার ব্যাট থেকে।

মূলত নাহিদুল ইসলামের ঘূর্ণিতে পড়ে ব্যাটিং লাইনআপে ধস নামে চট্টগ্রামের। চার ওভার বল করে মাত্র ১২ রান খরচ করে ৪টি উইকেট তুলে নেন এই অলরাউন্ডার। দারুণ বোলিং করেছেন পাকিস্তানি পেসার ফাহিম আশরাফও। চার ওভার বল করে ২০ রানের বিনিময়ে ৩টী উইকেট নেন তিনি। ২টি উইকেট পান ওশেন থমাস।  

Comments

The Daily Star  | English

Parties agree on chief justice appointment, limiting emergency powers

Manifesto provision allows top-two judge choice; cabinet to approve emergency declaration

36m ago