সাকিবের আটে নামার কারণ জানালেন রংপুর কোচ
বিপিএলে ফেরার ম্যাচে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে আট নম্বরে নামলেন সাকিব আল হাসান। অবাক করার মতোই ব্যাপার। বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডারের এত পরে ক্রিজে যাওয়ার ব্যাখ্যা ম্যাচের পর দিলেন রংপুর রাইডার্সের কোচ সোহেল ইসলাম। সঙ্গে ইঙ্গিত দিলেন, চোখের রেটিনার সমস্যায় ভুগতে থাকা সাকিবকে আরও কিছুদিন ব্যাটিংয়ে এমন পজিশনেই দেখা যাবে।
শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে এবারের বিপিএলের সিলেট পর্ব। দিনের প্রথম ম্যাচে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে খুলনার কাছে ২৮ রানে হেরেছে রংপুর। ১৬১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় দলটি ৮ বল বাকি থাকতে গুটিয়ে গেছে ১৩২ রানে। দলের হারের দিনে বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিবও ছিলেন সাদামাটা। বল হাতে ৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে পাননি কোনো উইকেট। এরপর ব্যাট হাতে ৪ বলে ২ রান করে আউট হন তিনি।
চোখের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখিয়ে গত বুধবার সিঙ্গাপুর থেকে বাংলাদেশে ফেরেন সাকিব। এরপর গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি সিলেটে যোগ দেন দলের সঙ্গে। রংপুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, সাকিবের খেলা নির্ভর করছে একান্তই তার উপর। তিনি নিজে যদি শারীরিকভাবে স্বস্তি বোধ করেন, কেবল তবেই মাঠে নামবেন। সংশয় উড়িয়ে এদিন মাঠে নামলেও নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি সাকিব। কিন্তু পারফরম্যান্স ছাপিয়ে আলোচনায় এসেছে তার আট নম্বরে ব্যাট করার বিষয়টি।
হারের পর রংপুরের কোচ সোহেল মুখোমুখি হন গণমাধ্যমের। তিনি ব্যাখ্যা দেন, 'অবশ্যই (সাকিবের চোখের সমস্যা এখানে ভূমিকা রেখেছে)। ব্যাটিং করার জন্য যে ফিটনেসটা দরকার, সেই ছন্দটা এখনও ওর আসেনি। অনুশীলন করতে হবে। ওর একটু সময় লাগবে। বোলিংটা সে করতেই পারে যে কোনো সময়। কিন্তু ব্যাটিংটা করতে গেলে তার কিছু সেশন করতে, (সেখানে) কিছু বল মারতে হবে। সেই সময়টা তাকে দিতে হবে। এটার জন্যই ব্যাটিংটা পেছনের দিকে করেছে।'
বোলিংয়ের পাশাপাশি পুরোদমে ব্যাটিংয়ের জন্য আরও সময় লাগবে সাকিবের। সোহেল এই প্রসঙ্গে বলেন, 'এটা নির্ভর করবে সাকিবের (শারীরিক) অবস্থার ওপর। এটা এখনই বলা সম্ভব না। এটা লম্বা সময় লাগতে পারে, আবার দুই-চার সেশনের মধ্যেও (ঠিক) হয়ে যেতে পারে। আগামীকাল থেকে সে অনুশীলন শুরু করবে। করার পর আমরা বুঝতে পারব যে কত সময় লাগবে।'
সাকিব বাঁ চোখে এক্সট্রাফোভিয়্যাল সেন্ট্রাল সেরস কোরিওরেটিনোপ্যাথি সমস্যায় ভুগছেন। রেটিনার এই ধরনের সমস্যায় সাধারণত ঠিকমতো দেখতে ব্যাঘাত ঘটে। চোখ যেহেতু শরীরের একটি স্পর্শকাতর অংশ, তাই এই সমস্যা দূর করতে কোনো তীব্র চিকিৎসা পদ্ধতিতে যাবে না বিসিবির মেডিকেল বিভাগ। সময় নিয়ে রক্ষণশীল প্রক্রিয়ায় এগিয়ে যাওয়া হবে।
Comments