মোসাদ্দেকের কাছে যা ‘লজ্জাজনক ব্যাপার’

Mosaddek Hossain Saikat

নাঈম শেখের ঝড়ে দুর্দান্ত ঢাকার শুরুটা আসলেই হয়েছিল 'দুর্দান্ত'। দুইশো রানের কাছাকাছি যাওয়ার আভাস ছিল স্পষ্ট। কিন্তু ওপেনিং জুটি ভাঙতেই আচমকা ধসে সব এলোমেলো। বিপিএলে নিজেদের এমন অস্বাভাবিক ধসকে 'লজ্জাজনক' বলে আখ্যা দিয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।

সিলেটে সোমবার রাতে আগে ব্যাটিং বেছে দারুণ শুরু আনেন নাঈম ও সাইম আইয়ুব। পাকিস্তানি সাইম এক প্রান্ত আগলে রাখলেও নাঈম উত্তাল করেন চার-ছক্কায়। পাওয়ার প্লে কাজে লাগিয়ে বড় পুঁজির দিকেই ছুটতে থাকে ঢাকা। নবম ওভারে ২১ বলে ২ চার, ৪ ছক্কায় ৪১ করে নাঈমের আউটের পর বদলে যায় প্রেক্ষাপট। সাইম ফেরেন ৩৭ বলে ৩৫ করে।

এরপর একের পর এক উইকেট। গুলবদিন নাইব, এসএম মেহরুব, ইরফান শুক্কুর, মোসাদ্দেক কেউই টিকতে পারেননি। ওপেনারদের পর দুই অঙ্কে যেতে পেরেছেন আর দুজন। মাত্র ১৩০ রানে গুটিয়ে যায় ঢাকা। কোন উইকেট না হারিয়ে ওই রান তাড়া করে টানা চতুর্থ জয় তুলে নেয় খুলনা টাইগার্স। 

খেলাধুলোর ক্ষেত্রে 'লজ্জা' শব্দটা বেমানান। যেকোনো সময় যেকোনো ফলই হতে পারে। তবু ম্যাচ শেষে দলের হয়ে কথা বলতে এসে মোসাদ্দেক জানান নিজেদের এমন বিধ্বস্ত হওয়াকে কঠোর শব্দেই প্রকাশ করতে চাইলেন, 'আসলে এর কোন ব্যাখ্যাই নেই আমার কাছে। লজ্জাজনক ব্যাপার আমাদের জন্য। এরকম একটা শুরুর পর আমরা আশা করছিলাম ১৮০-১৯০ হবে। ওই জায়গা থেকে ৫০ রানের মধ্যে অলআউট হয়ে যাওয়া এটা আসলেই হতাশাজনক।'

এখন পর্যন্ত বিপিএলে চার ম্যাচ খেলে স্রেফ একটি জিততে পেরেছে ঢাকা। খালেদ মাহমুদ সুজনের কোচিংয়ে দলটির কাছে প্রত্যাশা যদিও বেশি। মোসাদ্দেক জানালেন এভাবে চলতে থাকলে তাদের জন্য এগিয়ে যাওয়া কঠিন,  'শুধু মিডল না, ওপেনারের পর থেকে সবাই আমিসহ ব্যর্থ । এত বাজে সময় যাচ্ছে এটা ব্যাখ্যা করার মতন না। আশা করতে পারি সামনের ম্যাচে ভালো হবে।'

'এরকম ব্যাট করলে আমাদের জন্য কঠিন হবে(সামনে এগুনো)।'

প্রশ্ন উঠতে পারে তাদের এমন তালগোল পাকানো ব্যাটিংয়ে উইকেট কি রেখেছে কোন ভূমিকা? মোসাদ্দেক জানান, উইকেট ছিল বেশ ভালো। তারাই পারেননি,  'এত ভালো উইকেট, বলও কিছু হচ্ছিল না। এত সহজ পরিস্থিতিতে আমরা ভালো ব্যাট করতে পারিনি।'

Comments

The Daily Star  | English

JP central office vandalised, set ablaze

A group of unidentified people set fire to the central office of Jatiyo Party in Dhaka's Kakrail area this evening

43m ago