সিলেটকে উড়িয়ে দিয়ে শীর্ষে উঠল রংপুর
টানা পাঁচ হারের পর আগের ম্যাচেই দুর্দান্ত ঢাকাকে হারিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। তবে আবারও হারের বৃত্তে ঢুকে গিয়েছে দলটি। রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে জমিয়ে লড়াইটাও করতে পারেনি তারা। আরও একবার ব্যাটারদের ব্যর্থতায় বড় ব্যবধানেই হারল তারা। তাদের হারিয়ে টানা তৃতীয় জয় তুলে নিল নুরুল হাসান সোহানের দল।
শনিবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ৭৭ রানে হারিয়েছে রংপুর রাইডার্স। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৬২ রান করে তারা। জবাবে ১৬.৫ ওভারে ৮৫ রানে গুটিয়ে যায় দলটি।
এই জয়ে ৮ ম্যাচে চারটি জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার শীর্ষে উঠল রংপুর। অবশ্য তাদের সমান ৮ পয়েন্ট খুলনা টাইগার্স ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সেরও। তবে রান রেটে এগিয়ে আছে রংপুর। খুলনা অবশ্য একটি ম্যাচ কম খেলেছে।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে দলীয় ৪৭ রানেই ৭ উইকেট হারিয়ে হার দেখতে শুরু করে সিলেট। এরপর নাঈম হাসানকে নিয়ে নিয়ে অষ্টম উইকেটে ৩৬ রানের জুটি গড়েন। তাতে কেবল হারের ব্যবধানই কমেছে। শেষ পর্যন্ত ৭৭ রান দূরেই থামে তারা।
ওপেনিংয়ে নামা হ্যারি টেক্টর তেমন কিছুই করতে পারেননি। এক বাউন্ডারি পেলেও প্রথম ওভারেই আউট হয়েছেন। আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের বলে বোল্ড হয়ে যান তিনি। আর ব্যর্থতার ধারাবাহিকতা ধরে রেখে এদিনও শুরুতেই বিদায় নিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ব্যক্তিগত ১ রানে শেখ মেহেদী হাসানের শিকার হন।
ব্যর্থ হয়েছেন জাকির হাসানও। আগের ম্যাচের নায়ক অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুনও ব্যর্থ। উইকেটে সেট হলেও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি সামিত প্যাটেল। তবে তার ১১ রানই ইনিংসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান। সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন রায়ান বার্ল। ৩২ বলে সমান ৩টি করে চার ও ছক্কা মারেন এই ব্যাটার।
রংপুরের পক্ষে তিন ওভার বল করে ১৩ রানের খরচায় ৩টি উইকেট নেন শেখ মেহেদী। ১৭ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট পান মোহাম্মদ নবি। ১৮ রানে ২টি উইকেট সাকিব আল হাসানের।
এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে শুরুটা ভালো করতে পারেনি রংপুরও। ওপেনিংয়ে আবারও ব্যর্থ হয়েছেন ব্রান্ডন কিং। তবে আরেক ওপেনার বাবর আজম খেলেন ৩৭ বলে ৪৭ রানের ইনিংস। ৭টি চারের সাহায্যে এই রান করে সামিতের বলে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়েন।
পাঁচ নম্বরে নেমে জ্বলে ওঠেন অধিনায়ক সোহান। ৩০ বলে ৪৬ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় সাজান নিজের ইনিংস। আর ১৪ বলে ১টি চার ও ২টি ছক্কায় ২২ রানের ক্যামিও খেলেন ওমরজাই। তাতেই লড়াইয়ের পুঁজি পায় রংপুর। দুটি করে উইকেট নেন ট্যাক্টর ও সামিত।
Comments