উইকেটের কথা ভেবেই আমিরাতের লিগ বাদ দিয়ে বিপিএলে এসেছেন নাজিবুল্লাহ
এবারের বিপিএলের উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য আদর্শ না বলে মন্তব্য করেছেন সাকিব আল হাসান। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক বাবর আজমও সিলেট পর্বে বিপিএলের উইকেটের ধরণ নিয়ে জানিয়েছেন হতাশা। তবে আফগানিস্তানের নাজিবুল্লাহ জাদরান ভাবছেন একদম ভিন্ন। বরং মন্থর উইকেটে খেলতেই নাকি আমিরাতের আইএল টি-টোয়েন্টির প্রস্তাব ফিরিয়ে বিপিএলে এসেছেন তিনি।
বিপিএলে এবার চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে খেলছেন আফগান বিস্ফোরক বাঁহাতি ব্যাটার। একাধিক ম্যাচে চট্টগ্রামকে জেতাতেও বড় ভূমিকা রেখেছেন। ৬ ম্যাচে ৫ ইনিংস ব্যাট করে ৪৮.৬৬ গড় আর ১৩৭.৭৩ স্ট্রাইকরেট বলছে মন্থর উইকেটে বেশ ভালো প্রভাব রাখছেন নাজিবুল্লাহ।
রোববার মিরপুরে দলের অনুশীলন শেষে আফগান ব্যাটার জানালেন, একই সময়ে হওয়া আইএল টি-টোয়েন্টিতে খেলারও প্রস্তাব ছিল তার, বিপিএল বেছে নিয়েছেন আসছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কথা ভেবে। তার মতে ওয়েস্ট ইন্ডিজে যেসব মাঠে বিশ্বকাপ হবে সেসব উইকেটের সঙ্গে অনেক মিল বাংলাদেশের। একই রকম মন্থরতা সেখানেও দেখা দিতে পারে। বিপিএল খেলে তাই বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হয়ে যাবে তার, 'আমি আইএল টি-টোয়েন্টি বাদ দিয়ে এখানে খেলতে এসেছি। কারণ আমার লক্ষ্য হচ্ছে…আমরা বিশ্বকাপ খেলতে যাব। এখানকার উইকেটের সঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজের উইকেটের মিল আছে। এজন্য আমি আমিরাতে না গিয়ে বাংলাদেশে আসা বেছে নেই।'
'এখানকার উইকেটের মতন ওয়েস্ট ইন্ডিজের উইকেটও স্লো হবে, সিপিএলেও তেমনই দেখি। খুব বেশি তফাৎ নেই। এটা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করার খুব ভালো সুযোগ।'
আসছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অবশ্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও হবে। সেখানকার উইকেট কেমন আচরণ করে তা এখনি ধারণা করা কঠিন। আফগান বাঁহাতি ব্যাটার ধরেই নিয়েছেন, পুরো বিশ্বকাপে উইকেটের মন্থরতা ভোগাবে ব্যাটারদের। সেদিক থেকে নিজেকে আগেভাগে প্রস্তুত করা জরুরী।
গত বিপিএলে বড় রানের দেখা পাওয়া গেলেও এবার ২০ ম্যাচ হয়ে গেলেও এখনো দুইশো রান করতে দেখা যায়নি কোন দলকে। বেশিরভাগ ম্যাচে দেড়শোর কাছাকাছি পুঁজি নিয়ে চলছে লড়াই। উইকেট নিয়ে হতাশা আড়াল করছেন না অনেক ব্যাটারই। তবে নাজিবুল্লাহর মতে এরকম উইকেট মন্দ নয়, 'উইকেট খারাপ না। আমার মনে হয় ১৫০-১৬০ টি-টোয়েন্টিতে ভালো পুঁজি যেকোনো মাঠে। উইকেট এতটা খারাপ না। আশা করছি সবাই ইতিবাচক ক্রিকেট খেলতে পারবে। আমি এখানে খেলতে পছন্দ করি। ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে খেলছি।'
Comments