অস্ট্রেলিয়ায় বিধ্বস্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজ
সিরিজ আগেই খুইয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ ওয়ানডে ম্যাচটা তাদের জন্য ছিল মর্যাদা রক্ষার। কিন্তু সেই ম্যাচে রীতিমতো বিধ্বস্ত হয়েছে ক্যারিবিয়ানরা। লড়াইটাও করতে পারেনি। ১০০ ওভারের ম্যাচ শেষে হয়েছে মাত্র ৩১ ওভারে। ফলে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করেই ছাড়ল অজিরা।
মঙ্গলবার ক্যানবেরার মানুকা ওভালে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২৪.১ ওভারে মাত্র ৮৬ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। জবাবে মাত্র ৩৫ বল খেলেই লক্ষ্যে পৌঁছায় বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
এদিন অস্ট্রেলিয়ার জয়ের মূল নায়ক ছিল ২৫ বছর বয়সী পেসার জ্যাভিয়ার কলিন বার্টলেট। দুর্দান্ত বোলিংয়ে এদিনও তুলে নেন ৪টি উইকেট। ৭.১ ওভার বল করে খরচ করেন ২১ রান। এর আগে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচেও ১৮ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট নিয়েছেন এই পেসার। এই সিরিজ দিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় তার।
তবে বার্টলেটকে দারুণভাবে সহায়তা করেছেন এই সিরিজেই অভিষেক হওয়া আরেক পেসার ল্যান্স মরিস। ৪.৩ ওভার বল করে ১৩ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট নেন তিনি। ৫ ওভার বল করে ১৪ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন লেগস্পিনার অ্যাডাম জ্যাম্পাও।
অজি বোলারদের দাপটে এদিন শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ক্যারিবিয়ানরা। ফলে গড়ে ওঠেনি বলার মতো কোনো জুটি। পঞ্চম উইকেটে আলিক অ্যাথানাজে ও রোস্টন চেজের গড়া ২৭ রানের জুটিটি ইনিংসের সর্বোচ্চ।
মাত্র তিন ব্যাটার দুই অঙ্ক ছুঁতে পেরেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের। সর্বোচ্চ ৩২ রান করেন অ্যাথানজে। এছাড়া চেজ ১২ ও কার্টি ১০ রান করেন।
লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকেই চার-ছক্কার ফুলঝুরি ছোটাতে থাকেন দুই ওপেনার জ্যাক ফ্রেসার-ম্যাকগার্ক ও জস ইংলিস। ২৭ বলেই ৬৭ রানের জুটি গড়েন এ দুই ব্যাটার। ফ্রেসার-ম্যাকগার্ককে ফিরিয়ে এ জুটি ভাঙেন আলজেরি জোসেফ। এরপর অ্যারন হার্ডিকে ফিরিয়ে দেন ওশান থমাস। তবে বাকি কাজ স্টিভ স্মিথকে নিয়ে শেষ করেন ইংলিস।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪১ রানের ইনিংস খেলেন ফ্রেসার-ম্যাকগার্ক। ১৮ বলে ৫টি চার ও ৩টি ছক্কায় সাজান এই ইনিংস। ১৬ বলে ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ৩৫ রান করেন ইংলিস।
Comments