প্রশ্নবিদ্ধ ব্যাটিংয়ের পর সৈকত বললেন ‘চেষ্টা করেছি’
২১২ রানের লক্ষ্যে নেমে একজন ওপেনার যখন ২২ বলে ১২, ২৫ বলে ১৫ কিংবা ২৯ বলে থাকেন ১৭ রানে তখন তার মতিগতি বোঝা দুষ্কর। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে ওপেন করতে নেমে সৈকত আলি করলেন এমন প্রশ্নবিদ্ধ ব্যাটিং। প্রথম ১১ ওভারে তিনি কোন বাউন্ডারি মারতে পারেননি। এরপরে হাত খুলে ছয় ছক্কায় করেন ৬৩, তবে তার অনেক আগেই ম্যাচের ফল নিয়ে উবে যায় সব সংশয়।
শনিবার মিরপুরে বিপিএলের ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের খেলার তালগোল পাওয়া যায়নি। মাত্র ৪ স্পেশালিষ্ট ব্যাটার নিয়ে খেলতে নামে তারা। নিয়মিত ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম একাদশে রাখা হয়নি। তানজিদের জায়গায় ওপেন করতে নেমে ৪৫ বলে ৬৩ করেন সৈকত। স্কোর দেখে মনে হতে পারে বেশ ভালো খেলেছেন তিনি। আসলে দলের চাহিদা মেটানোর ধারেকাছেও ছিলো না তার অ্যাপ্রোচ। ১১ ওভার শেষে ২৯ বলে ১৭ রানে খেলছিলেন সৈকত। ১২তম ওভারে গিয়ে ইমরান তাহিরকে ছক্কা মেরে পান প্রথম বাউন্ডারির দেখা।
এরপর ইতিবাচক খেললেও বিশাল রান তাড়ায় ম্যাচ ততক্ষণে নাগালের বাইরে। তারা পরে ম্যাচ হারে ৫৪ রানে। অদ্ভুত অ্যাপ্রোচে ব্যাটিং করা নিয়ে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে আত্মপক্ষ সমর্থন করে তিনি বলেন, 'আমাদের প্রথম পরিকল্পনা ছিল জশ ব্রাউন যদি ভালো খেলে। আমি তো আজকেই প্রথম ওপেন করলাম। আমি শুধু একটা মোমেন্টাম খুঁজছিলাম। ওই সময়টাতে সাকিব ভাই এবং মেহেদী খুবই ভালো বোলিং করেছে, বিশেষ করে প্রথম ৬ ওভারে। আমাদের যখন জশ এবং টম (ব্রুস) আউট হয়েছে তখন ভেবেছি নিজের উইকেট না দিয়ে চেষ্টা করি। একটা মোমেন্টাম যদি পেয়ে যাই….। ইমরান তাহিরকে যখন একটা ছয় মারলাম তখন ভাবলাম এখন আমার মোমেন্টামটা চলে আসছে। আমি চেষ্টা করেছি, শুরুতেও চেষ্টা করেছি কিন্তু ওরা খুবই ভালো বোলিং করেছে। সাকিব ভাই, শেখ মেহেদী সবাই ভালো বোলিং করেছে।'
Comments