লিপুকে প্রধান নির্বাচক করায় বিস্মিত সুজন

আলোচনার একদম বাইরে থেকে গাজী আশরাফ হোসেন লিপুকে প্রধান নির্বাচক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ায় বিস্মিত খালেদ মাহমুদ সুজন।
Khaled mahmud
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

আলোচনার একদম বাইরে থেকে গাজী আশরাফ হোসেন লিপুকে প্রধান নির্বাচক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ায় বিস্মিত খালেদ মাহমুদ সুজন। লিপুর বিচক্ষণতা নিয়ে প্রশ্ন না তুললেও  ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে এই সিদ্ধান্ত না জানা তার কাছে 'সারপ্রাইজিং'। এই পদে তার থাকার প্রয়োজন কি এমন প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। সাবেক এই অধিনায়ক জানান, তিনি আশা করেছিলেন হাবিবুল বাশার সুমনকেই করা হবে প্রধান নির্বাচক।

সোমবার বিসিবির বোর্ড সভায় নেওয়া হয় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। অনেকটা চমক হিসেবে মিনহাজুল আবেদিন নান্নুর জায়গায় প্রধান নির্বাচক করা হয় বাংলাদেশের প্রথম ওয়ানডের অধিনায়ক লিপুকে। এক সময় বিসিবির পরিচালক ও ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগেরও দায়িত্ব পালন করা ৬৩ বছরের লিপুর নিয়োগের খবর গণমাধ্যম থেকেই জেনেছেন সুজন।

বোর্ড পরিচালক হলেও সভায় সোমবার উপস্থিত ছিলেন না সুজন। বিপিএলের দল দুর্দান্ত ঢাকার কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে তিনি আছেন চট্টগ্রামে। সেখানেই মঙ্গলবার গণমাধ্যমের সামনে হাজির হয়ে বলেন,  'লিপু ভাই নির্বাচক হতে পারেন বা এমন কিছু আমি আগে শুনিনি। খুবই চমকপ্রদ সিদ্ধান্ত এসেছে বিসিবি থেকে। আমি সেখানে ছিলাম না, বলতেও পারব না।'

'উনার ক্রিকেট মেধা, বিচক্ষণতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকতে পারে না, দ্বিমত থাকতে পারে না। তবে আমার জন্য খুবই সারপ্রাইজিং ছিল। আমি নামটা শুনিনি। বাতাসে অনেক নামই ভাসছিল, গুঞ্জন ছিল। আমার জন্য অবাক করা কারণ আমি ক্রিকেট অপারেশন্সের ভাইস চেয়ারম্যান অথচ আমি জানিই না। এটা আমার খুব অবাক লাগল।'

লম্বা সময় ক্রিকেট খেলায়, দেশকে, আবাহনীকে নেতৃত্ব দেওয়ায় লিপুর মেধা, যোগ্যতা নিয়ে কোন সংশয় নেই সুজনের। তবে মাঝের সময়টায় একটা লম্বা গ্যাপ হয়ে গেছে বলে তার ধারণা।

নান্নুর নেতৃত্বাধীন কমিটিতে টানা আট বছর কাজ করেছেন হাবিবুল বাশার সুমন। সুজনের প্রত্যাশা ছিলো নান্নুর বদলে এবার তাকেই করা হবে প্রধান নির্বাচক, 'হ্যাঁ আমি আশা করেছিলাম সুমনই হবে। কেন হয়েছে, যারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বা সিদ্ধান্তের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন তারাই বলতে পারবেন। আমি অবশ্যই মনে করি সুমন যোগ্য ছিল। ও বাংলাদেশের সফল ক্যাপ্টেন ছিল, সফল ক্রিকেটার ছিল। এত বছর দলের সাথে কাজ করেছে। আমি আশা করেছিলাম নান্নু ভাইকে না রাখা হলে ও-ই প্রধান নির্বাচক হবে। যে সিদ্ধান্ত বোর্ড দিয়েছে, আমাদের সম্মান জানাতে হবে।'

জাতীয় দলের নির্বাচক কমিটি কাজ করে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের অধীনে। সেই বিভাগেওই ভাইস চেয়ারম্যান পদে আছেন সুজন। কিন্তু নির্বাচক কাজে করা হচ্ছে তা নিয়ে একদম অন্ধকারে থাকায় এই পদে আর তার থাকার প্রয়োজন আছে কিনা বুঝতে পারছেন না তিনি,  'আমি তো পরিস্কার করলাম আমি জানি না কিছু। আমি ক্রিকেট অপারেশন্সের ভাইস চেয়ারম্যান আমি জানিই না, ক্রিকেট অপারেশন্স সিলেক্টর নিচ্ছে, কে হচ্ছে। খুবই অবাক করার মতো। আমার এই পজিশনে থাকার প্রয়োজন কি সেটাও জানি না আসলে।।'

২০১৩ সালে বিসিবির নির্বাচনে খেলোয়াড় কোটা থেকে পরিচালক পদে লড়াই করেছিলেন সুজন ও লিপু। সেবার লিপুকে হারিয়ে প্রথমবার বোর্ড পরিচালক হন সুজন।

Comments

The Daily Star  | English

DMCH doctors threaten strike after assault on colleague

A doctor at Dhaka Medical College Hospital (DMCH) was allegedly assaulted yesterday after the death of a private university student there, with some of his peers accusing the physicians of neglecting their duty in his treatment

5h ago