বেডিংহ্যামের সেঞ্চুরিতে লড়াই জমালো দক্ষিণ আফ্রিকা
প্রথম ইনিংসে লিড নেওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে একটা জুতসই পুঁজি দরকার ছিলো দক্ষিণ আফ্রিকার। শুরুতে দ্রুত উইকেট হারানোর পরও লড়াইয়ের একটা পুঁজি তারা পেয়ে গেছে। আর সেটা পাইয়ে দিতে বড় ভূমিকা ডেভিড বেডিংহ্যামের। প্রথম সেঞ্চুরিতে নিজেকে রাঙিয়েছেন তিনি।
হ্যামিল্টন টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে নিউজিল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে লড়াই বেশ জম্পেশ। ২৬৭ রান তাড়ায় ১ উইকেটে ৪০ তুলে দিন শেষ করেছে কিউইরা। ম্যাচ জিততে এখনো তাদের চাই ২২৭ রান, দক্ষিণ আফ্রিকার দরকার ৯ উইকেট। চতুর্থ ইনিংসে আড়াইশর বেশি রান তাড়া করে জেতাটা খুব সহজ না।
৩১ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই বিপদে পড়ে প্রোটিয়ারা। ৩৯ রানে পড়ে যায় ৩ উইকেট। যার দুটি উইকেটই নেন উইলিয়াম ও'রর্কি। জুবায়ের হামজাকে নিয়ে পরে ইনিংস মেরামতে নামেন বেডিংহ্যাম। ৬৫ রানের জুটির পর হামজা নেইল ওয়েগনারের বলে বিদায় নিলে আবার ধাক্কা খায় তারা।
তবে এরপরই বড় জুটি পেয়ে যায় সফরকারীরা। কিগান পিটারসেনকে নিয়ে শক্ত প্রতিরোধ গড়েন বেডিংহ্যাম। ১৩৭ বলে দুজনে যোগ করেন ৯৮ রান। ৭৯ বলে ৪৩ করে ম্যাট হেনরির বলে পিটারসেন ফিরলে ফের ভাটার টান পড়ে তাদের ইনিংসে।
এক প্রান্ত আগলে অবশ্য সেঞ্চুরি তুলে নেন বেডিংহ্যাম। ১৪১ বলে ১২ চার, ২ ছক্কায় ১১০ রান করেন থামেন তিনি। ভারতের বিপক্ষে গত ডিসেম্বরে অভিষেকের পর ২৯ পেরুনো ব্যাটার চতুর্থ টেস্টেই পেলেন সেঞ্চুরি। তার বিদায়ের পর দ্রুতই ২৩৫ রানে থামে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস।
শেষ বিকেলে ২৬৭ রানের লক্ষ্যে নেমে নিউজিল্যান্ডের শুরুটা হয় ভালো। থিতু হয়ে একদম শেষ বেলায় বিদায় নেন ডেভন কনওয়ে। প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেওয়া অফ স্পিনার ডান পিডিট এলবিডব্লিউতে থামান থাকে। এই আউটের পর দিনের খেলার ইতি টানা হয়।
Comments