আইপিএল খেলতে পারছেন না মোহাম্মদ শামি

ইংল্যান্ড সিরিজে ফিরতে না পারলেও আইপিএল দিয়ে মাঠে ফিরতে চেয়েছিলেন মোহাম্মদ শামি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা আর হয়ে উঠছে না। গোড়ালির চোট সেরে না ওঠায় অস্ত্রোপচার করাতে হবে তাকে। ফলে বেশ বড় ধাক্কাই খেলেন এই ভারতীয় পেসার। খুব শীগগিরই অস্ত্রোপচারের জন্য ইংল্যান্ডে পাঠানো হতে পারে শামিকে। এমন সংবাদই প্রকাশ করেছে ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআই।

শামিকে না পাওয়া বড় ধাক্কা তার দল গুজরাট টাইটান্সেরও। গত দুই মৌসুমে দলের সাফল্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন এই পেসার। গত আসরে ফাইনালে ওঠার পথে ১৭ ম্যাচ খেলে ২৮ উইকেট নিয়ে ছিলেন দলের সর্বাধিক উইকেট শিকারি। আর ২০২২ সালে ২০ উইকেট নিয়ে গুজরাটকে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন তিনি।

তার উপর এবার গুজরাটে নেই হার্দিক পান্ডিয়াও। শামি না খেলার কারণে একজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড়কেও মিস করতে চলেছে তারা। জানা গেছে শামির জায়গায় অন্য পেসারকে অন্তর্ভুক্ত করতে চায় দলটি। যদিও উমেশ যাদব, কার্তিক তিয়াগিরাও রয়েছেন দলে। তারপরও শামির অভাব পূরণ করা সম্ভব নয় তাদের জন্য।

এর আগে ২০১৫ সালে চোট নিয়ে বিশ্বকাপ খেলেছিলেন শামি। ৭ ম্যাচে ১৭টি উইকেট নিয়ে হয়েছিলেন ভারতের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি। আর বিশ্বকাপে চোট নিয়ে খেলা চালিয়ে যাওয়ার কারণে পরে আইপিএলে খেলতে পারেননি। তবে আর্থিক দিক দিয়ে বিশেষ ক্ষতি হয়নি সেবার। দেশের স্বার্থে চোট পেয়েছেন বলে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ২ কোটি ২৩ লক্ষ রূপি পেয়েছিলেন বিসিসিআইয়ের কাছ থেকে।

এবারও বিশ্বকাপের মঞ্চেই চোট পান শামি। এবার শুধু ভারতীয় দলের নয়, টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী হন তিনি। ৭ ম্যাচে নেন ২৪টি উইকেট। আর আহমেদাবাদে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ফাইনালের পর থেকেই মাঠের বাইরে আছেন তিনি। এখন দেখার বিষয় যে, এবারও তাকে আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে দেয় কি-না। গুজরাটে এবার তার চুক্তি ৬ কোটি ২৫ লক্ষ রূপির।

তবে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন শামিকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাওয়া নিয়ে। আগামী জুনেই আমেরিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। অস্ত্রোপচার শেষে এ সময়ের মধ্যে টাকা পাওয়া নিয়ে বড় সংশয় রয়েছে তাদের। চোট সেরে উঠলেও ম্যাচ ফিটনেস পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে তার জন্য ফলে শামিকে ছাড়াই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নামতে হতে পারে ভারতকে।

Comments

The Daily Star  | English

Over 45 lakh cases pending in courts

Each HC judge is burdened with 6,552 cases, while Appellate Division judges are handling 4,446 cases each, and lower court judges 1,977 cases each.

1d ago