বিদায়ী ম্যাচে এবারের আসরের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ স্কোর শান্তর

শেষ ম্যাচে জয় দিয়ে শেষ করেছে সিলেট স্ট্রাইকার্স

এবারের বিপিএলে প্রথম ম্যাচে ৩৬ রানের ইনিংস খেলেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এরপর মাঝে আরও ১০টি ম্যাচ খেললেও নিজের সেই ইনিংসকে আর টপকাতে পারেননি তিনি। মাঝে তো টানা পাঁচ ম্যাচে দুই অঙ্কও স্পর্শ করতে পারেননি। তবে নিজেদের শেষ ম্যাচে এসে চলতি আসরে নিজের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোরটি করেন এই ব্যাটার। আর তার জ্বলে ওঠার দিনে জয় মিলেছে সিলেটেরও।

শুক্রবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে খুলনা টাইগার্সকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১২৮ রান করে খুলনা। জবাবে ১২ বল বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছায় গত আসরের ফাইনালিস্ট সিলেট।

এদিনের প্রথম ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে ফরচুন বরিশালের জয়ের পরই বিদায় নিশ্চিত হয়ে যায় খুলনা টাইগার্সের। শেষ ম্যাচে এদিন জয় পেলেও কাজ হতো না। আর সিলেটের বিদায় নিশ্চিত হয় আরও আগেই। ম্যাচটি নিছকই আনুষ্ঠানিকতার। তবে জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের জন্য ছিল নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার সুযোগ।

বিশেষ নজরে ছিলেন শান্ত। বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক তিনি। আসরে আবার তার ব্যাট প্রচণ্ড রকম শান্তই ছিল। তবে বিদায়ী ম্যাচে কিছুটা হলেও জ্বলে ওঠার ইঙ্গিত দিয়েছেন অধিনায়ক। লক্ষ্য তাড়ায় নেমে এদিন তিন নম্বরে নেমে ৩৯ রানের ইনিংস খেলেন শান্ত। এরজন্য খেলতে হয়েছে ৩৭টি বল। যেখানে বাউন্ডারি ছিল কেবল দুটি।

অথচ ব্যাটিং লাইনআপে সিলেটের মূল ভরসার নাম ছিলেন শান্ত। কিন্তু পুরো আসরে হতাশ করেছেন তিনি। ১২ ম্যাচের ১২ ইনিংসে ব্যাট করে ১৪.৫৮ গড়ে শেষ পর্যন্ত করেছেন ১৭৫ রান। নেই কোনো ফিফটিও। স্ট্রাইক রেটও হতাশাজনক। ৯৩.৫৮।

শান্ত ছাড়াও এদিন রান পেয়েছেন ইয়াসির আলী রাব্বি। খেলেন ৪৬ রানের ইনিংস। ৪৩ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় সাজান নিজের ইনিংস। শেষ দিকে বেনি হাওয়েলকে নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন মোহাম্মদ মিঠুন।

এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে খুলনা। বলার মতো কোনো জুটিই গড়ে তুলতে পারেনি তারা। দলীয় ২৫ রানে ভাঙে ওপেনিং জুটি। এই ওপেনিং জুটিই ছিল তাদের ইনিংসের সর্বোচ্চ। ফল সাদামাটা স্কোর নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় খুলনাকে।

তবে এক প্রান্ত আগলে দলকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন ওপেনিংয়ে নামা আফিফ হোসেন। দারুণ ব্যাটিংয়ে ফিফটিও তুলে নিয়েছিলেন তিনি। নাজমুল হোসেন শান্তর বলে ছক্কা মেরে ফিফটি স্পর্শ করার পর আর একটি সিঙ্গেল নিয়েই আউট হন সামিত প্যাটেলের বলে। ৩৫ বলে ৫২ রানের ইনিংস খেলেন আফিফ। নিজের ইনিংসটি সাজাতে ৩টি চার ও ৪টি ছক্কা মেরেছেন এই ব্যাটার। এছাড়া ২১ রান করেন ওয়াইন পারনেল।

সিলেটের পক্ষে ৪ ওভার বল করে মাত্র ১৫ রানের খরচায় ৩টি উইকেট নেন বেনি হাওয়েল। ৪ ওভার বলে করে ২০ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট পান শফিকুল ইসলাম। এছাড়া ২টি উইকেট নেন তানজিম হাসান সাকিবও।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

10h ago