প্লে অফ থেকে বিদায় নিলেও সব মিলিয়ে সন্তুষ্ট শুভাগত
টুর্নামেন্টের আগে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে সেভাবে কেউ গোনায় ধরেনি। খুব বড় তারকার ভিড় না থাকায় দলটি সেরা চারে থাকতে পারবে বলে বিশ্বাসীর সংখ্যাও তাই ছিল কম। তবে মাঠের খেলায় বদলে যায় সমীকরণ। মাঝারি মানের দল নিয়েও তারা পৌঁছে যায় প্লে অফে। এরপর আর এগুতে না পারলেও সব মিলিয়ে এবারের আসরকে ইতিবাচক দেখছেন অধিনায়ক শুভাগত হোম।
সোমবার মিরপুরে এলিমিনিটের ম্যাচে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে পাত্তাই পায়নি চট্টগ্রাম। ব্যাট করার জন্য বেশ ভালো উইকেটে স্রেফ ১৩৫ রান করে ৬ উইকেটে হেরে বিদায় নেয় তারা।
নিজেদের হারের পেছনে ব্যাটিংকে দায় দিয়েছেন চট্টগ্রাম অধিনায়ক, 'হ্যাঁ (বড় রান না করতে পারা)। অবশ্যই যতটা দেখেছি শুরুর দিকে, দেখলাম উইকেট খুব ভালো ছিল, শক্ত ছিল। আমরা সেভাবে কাজে লাগাতে পারিনি। আমাদের টপ অর্ডার যারা ছিল তারা ওইভাবে পাওয়ারপ্লেটা কাজে লাগাতে পারেনি। আমরা উইকেটও হারিয়েছি কিছু। এটা আমাদের জন্য হতাশাজনক যে এরকম উইকেটেও একটা ভালো সংগ্রহ পাইনি।'
চট্টগ্রামের জন্য হতাশার ছিলো কিছু খেলোয়াড়ের ইনজুরি। আসর জুড়ে দলের পথচলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা পেসার শহিদুল ইসলাম প্লে অফের আগে চোটে পড়ে ছিটকে যান। বিদেশিদের মধ্যে আফগান নাজিবুল্লাহ জাদরানকে চোটের কারণে আবার ফেরানো যায়নি। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড ছাড়পত্র না নেওয়ায় টুর্নামেন্টের শুরুর দিকে দারুণ করা আভিশকা ফার্নান্দো আসতে পারেননি।
এসব কারণে মোমেন্টাম হারানোর কথা মনে হচ্ছে শুভাগত, 'এসবে কিছুটা হয়ত মোমেন্টাম আমরা হারিয়েছি। শহিদুল টুর্নামেন্টজুড়ে খুব ভালো করেছে। প্রতি ম্যাচেই ব্রেক থ্রু দিয়েছে। সে না থাকায় আমাদের বোলিং ইউনিট কিছুটা (ক্ষতিগ্রস্ত) হয়েছে। বিদেশিও আমরা সেরকম আনতে পারেনি এনওসি (জটিলতার কারণে) অনেক ঝামেলায়। আরেকটু যদি ক্যালকুলেটিভ ক্রিকেট খেলতে পারতাম তাহলে হয়ত ভালো কিছু হত।'
প্লে অফের ম্যাচটা ছাড়া গোটা টুর্নামেন্টে নিজেদের সার্বিক পথচলা নিয়ে বেশ সন্তুষ্ট শুভাগত, 'আমি টুর্নামেন্টজুড়ে বলব যে আমি সন্তুষ্ট। আমরা যেভাবে ক্রিকেট খেলেছি, প্লে-অফে খেলেছি। প্লে-অফে হয়ত ভালো করতে পারিনি। ছেলেরা যেভাবে খেলেছে যেভাবে পারফর্ম করেছে আত্মবিশ্বাসের সাথে মোমেন্টাম এনে দিয়েছে, আমি খুশি।'
Comments