হায়দরাবাদের নেতৃত্ব পেলেন কামিন্স

তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটার এইডেন মার্করামের স্থলাভিষিক্ত হলেন।
ছবি: সংগৃহীত

আইপিএলে আগে কখনও কোনো দলকে নেতৃত্ব দেননি প্যাট কামিন্স। শুধু তা-ই নয়, শীর্ষ পর্যায়ের ঘরোয়া বা আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে কখনোই দলনেতার ভূমিকায় দেখা যায়নি তাকে। তবে তার ওপরই এবার আস্থা রাখছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।

সোমবার ৩০ বছর বয়সী ডানহাতি পেসার কামিন্সকে অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে হায়দরাবাদ। আগামী আইপিএলে তার নেতৃত্বে খেলবে ২০১৬ সালের আসরের চ্যাম্পিয়নরা। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটার এইডেন মার্করামের স্থলাভিষিক্ত হলেন।

গত মৌসুমের আইপিএলে ভীষণ হতাশাজনক ছিল হায়দরাবাদের পারফরম্যান্স। ১৪ ম্যাচের স্রেফ চারটিতে জিতেছিল তারা। লিগ পর্বের পয়েন্ট তালিকায় তাদের অবস্থান ছিল ১০ দলের মধ্যে সবার নিচে।

টি-টোয়েন্টিতে নেতৃত্ব না দিলেও বাকি দুই সংস্করণে অধিনায়ক হিসেবে ইতোমধ্যে নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ রেখেছেন কামিন্স। সাফল্যে ঠাসা গত বছরে অস্ট্রেলিয়াকে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ও ওয়ানডে বিশ্বকাপ জেতান তিনি। দুটি প্রতিযোগিতাতেই ফাইনালে ভারতকে হারায় অজিরা।

গত ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত নিলামে চেন্নাই সুপার কিংস, মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে হারিয়ে কামিন্সকে দলে টানে হায়দরাবাদ। তার জন্য খরচ করতে হয় ২০ কোটি ৫০ লাখ রুপি। সেসময় তিনি ছিলেন নিলাম থেকে আইপিএলের ইতিহাসের সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার। সেই রেকর্ড পরে ভেঙে যায় তারই স্বদেশি বাঁহাতি পেসার মিচেল স্টার্ককে কলকাতা নাইট রাইডার্স দলে নিলে।

সবশেষ তিন মৌসুমে কামিন্স হলেন হায়দরাবাদের তৃতীয় অধিনায়ক। ২০২২ সালের আসরে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটার কেইন উইলিয়ামসনের নেতৃত্বে অষ্টম হয়েছিল হায়দরাবাদ। পরের আসরের আগে উইলিয়ামসনকে ছেড়ে দেয় তারা। তার বদলে মার্করাম দায়িত্ব পেয়ে পারফরম্যান্সের চাকা সঠিক দিকে ঘোরাতে ব্যর্থ হন। বরং আরও নাজুক হয়ে ২০২৩ সালে দশম স্থান পেয়েছিল হায়দরাবাদ।

শুধু অধিনায়ক নয়, কোচিং প্যানেলেও এবার পরিবর্তন এনেছে হায়দরাবাদ। ব্রায়ান লারার পরিবর্তে প্রধান কোচ হয়েছেন ড্যানিয়েল ভেট্টোরি। ডেল স্টেইনের জায়গায় বোলিং কোচের ভূমিকায় থাকবেন জেমস ফ্রাঙ্কলিন।

আগামী ২৩ মার্চ ইডেন গার্ডেন্সে কলকাতার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আইপিএলের ২০২৪ সালের আসর শুরু করবে হায়দরাবাদ। এরপর ঘরের মাঠে ২৭ মার্চ তাদের প্রতিপক্ষ মুম্বাই।

Comments