টি-টোয়েন্টি ইনিংসে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ছয়ের রেকর্ড গড়লেন জাকের

টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের পক্ষে এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ছক্কা মারার রেকর্ড এখন জাকেরের।
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের মাত্র চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতেই নজর কাড়লেন জাকের আলী। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে জয়ের জন্য সামনে থাকা কঠিন সমীকরণ মিলিয়ে ফেলার সম্ভাবনা জাগালেন তিনি। যদিও শেষটা রাঙাতে পারলেন না। তবে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের একটি রেকর্ড ঠিকই নিজের করে নিলেন ২৬ বছর বয়সী ব্যাটার।

সোমবার সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ সিরিজের রোমাঞ্চকর প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৩ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। টাইগারদের লক্ষ্যের কাছাকাছি পৌঁছানোর পেছনে বড় ভূমিকা রাখে জাকেরের আগ্রাসী ইনিংস। শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে তিনি করেন দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৮ রান। দুইশ স্ট্রাইক রেটে মাত্র ৩৪ বল মোকাবিলায় তিনি মারেন চারটি চার ও ছয়টি ছয়। বাংলাদেশের জার্সিতে এটি তার প্রথম ফিফটি।

টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের পক্ষে এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ছক্কা মারার রেকর্ড এখন জাকেরের। তার আগে কোনো ইনিংসে পাঁচটি করে ছয় হাঁকিয়ে যৌথভাবে শীর্ষে ছিলেন ছয়জন। তারা হলেন নাজিমউদ্দিন (২০০৭ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে নাইরোবিতে), জিয়াউর রহমান (২০১২ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বেলফাস্টে), তামিম ইকবাল (২০১৬ সালে ওমানের বিপক্ষে ধর্মশালায়), লিটন দাস (২০১৮ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কলম্বোতে), মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (২০১৯ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চট্টগ্রামে) ও সৌম্য সরকার (২০২০ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মিরপুরে)।

টস হেরে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ২০৬ রানের বড় পুঁজি পায় লঙ্কানরা। লক্ষ্য তাড়ায় নেমে রানে ভরা উইকেটেও খাবি খেতে থাকে বাংলাদেশ। টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় নবম ওভারে ৬৮ রানে পতন হয় দলের চতুর্থ উইকেটের। তখন ক্রিজে গিয়ে শুরুতে মাহমুদউল্লাহকে সঙ্গ দেন জাকের। ১৮ মাস পর টি-টোয়েন্টিতে নামা মাহমুদউল্লাহও পান ফিফটি। তিনি ৩১ বলে ৫৪ করে বিদায় নিলে জাকের নিজের একার কাঁধে তুলে নেন দায়িত্ব। বাউন্ডারির বন্যা বইয়ে দিয়ে মাত্র ২৫ বলে ফিফটি স্পর্শ করেন তিনি।

জাকেরের তাণ্ডবে ম্যাচের শেষ ওভারে জয়ের জন্য বাংলাদেশের দরকার পড়ে ১২ রান। কিন্তু তৃতীয় বলে দাসুন শানাকাকে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে লং-অফে ধরা পড়েন তিনি। তার ক্যাচ নেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কা। এরপর অল্পের জন্য সমীকরণ মেলাতে না পেরে হারের আক্ষেপে পুড়তে হয় স্বাগতিকদের।

Comments