ঘরে-বাইরে যাদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ

Litton Das
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নামার আগে অনুশীলনে বাংলাদেশ দল। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কখনো টি-টোয়েন্টি সিরিজ জেতেনি বাংলাদেশ। এর আগে একবার সিরিজ ড্র করাই এখন অবধি সেরা সাফল্য। অবাক হলেও এটাই বাস্তব। শনিবার লঙ্কনাদের হারাতে পারলে তাই নতুন ইতিহাসই রচনা করবেন নাজমুল হোসেন শান্তরা। কুড়ি ওভারের সংস্করণে বড় আসরে বরাবরই ব্যর্থ বাংলাদেশের দ্বি-পাক্ষিক সিরিজগুলোতে এমনিতে অবশ্য আছে কিছু সাফল্য।

দেশ ও বিদেশ মিলিয়ে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে আয়ারল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, জিম্বাবুয়ে, আফগানিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে।  ২০০৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে প্রথম টি-টোয়েন্টি খেলে জেতে বাংলাদেশ। কেবল একটাই ম্যাচ থাকায় সেটাকে সিরিজ বলার উপায় নেই। অন্য সংস্করণের সিরিজের মাঝে এরকম এক ম্যাচের লড়াই আরও কয়েকটি আছে।  যেমন ২০১১ সালে ঘরের মাঠে একমাত্র টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ২০১৫ সালে পাকিস্তানকে হারায় বাংলাদেশ।

প্রথম দ্বি-পাক্ষিক টি-টোয়েন্টি সিরিজ বাংলাদেশ দল জেতে ২০১২ সালে। আয়ারল্যান্ড সফরে গিয়ে ৩-০ ব্যবধানে জয় নিয়ে ফেরে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। ২০১৫-১৬ মৌসুমে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টানা দুটি হোম সিরিজ খেলে বাংলাদেশ। দুটোই হয়েছিলো ড্র। দ্বি-পাক্ষিক টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশের জয় ধরা দিয়েছে এরপর আর ২০১৮ সালে। সেবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজ বাংলাদেশ জেতে ২-১ ব্যবধানে।

২০১৯ সালে জিম্বাবুয়েকে ঘরের মাঠে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে আসে আরেক জয়। ২০২১ সালে একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে সিরিজ জয় ২-১ ব্যবধানে। অর্থাৎ বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই। এই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ২০২২ সালে তাদের দেশে গিয়ে ২-১ ব্যবধানে হারের অভিজ্ঞতাও আছে।

২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে মন্থর ও নিচু বাউন্সের উইকেট বানিয়ে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডকে ধরাশায়ী করে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। এই দুটি জয়কে বেশ বড় করে প্রচার করতে থাকে বিসিবি।

অস্ট্রেলিয়াকে ৪-১ ও নিউজিল্যান্ডকে হারায় ৩-২ ব্যবধানে। দুটি দলই অবশ্য বাংলাদেশ সফরে আসে সেরা বেশ কয়েকজন তারকাকে ছাড়া। এই সাফল্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গিয়ে হয় বুমেরাং। বিবর্ণ পারফর্ম করে ঘরে ফেরেন সাকিব আল হাসানরা, অন্যদিকে দ্বিতীয় সারির দল নিয়ে বাংলাদেশে হারলেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে নেয় অজিরা।

২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতে স্বাগতিক দলের বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় আছে বাংলাদেশের। তবে ২০২২ বিশ্বকাপও চরম হতাশায় কাটে সাকিবদের।

টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের জন্য সেরা বছর বলতে হয় ২০২৩ সালকে। নড়বড়ে অবস্থা থেকে অ্যাপ্রোচ বদলে খেলতে দেখা যায় লিটন দাসদের। গত বছর ঘরের মাঠে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ হারান সাকিবরা। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রত্যাশিত জয়ের পর আফগানিস্তানের বিপক্ষেও আসে ২-০ ব্যবধানের জয়। বছরের শেষে নিউজিল্যান্ডে গিয়ে ১-১ ব্যবধানে সিরিজ ড্র করে আসাও সাফল্য ভাবতে পারেন নাজমুল হোসেন শান্তরা।

নতুন বছরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ জিততে পারলে বাড়তি আত্মবিশ্বাস যোগ হবে। আসছে জুনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে জিম্বাবুয়ে ও যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে দুটি সিরিজ আছে। অপেক্ষাকৃত ছোট দলের বিপক্ষে সাফল্য প্রত্যাশিতই। সেখানে জিতলে তেমন আলোচনা হবে না। এদিক থেকে লঙ্কানদের বিপক্ষে এই সিরিজ জয় অনেক বেশি টনিকের কাজ করতে পারে বাংলাদেশ দলের জন্য।

Comments

The Daily Star  | English

Sheikh clan’s lust for duty-free cars

With an almost decimated opposition and farcical elections, a party nomination from the ruling Awami League was as good as a seat in the parliament.

7h ago