জড়তায় ভুগে বিপদ ডেকে এনেছেন ব্যাটাররা

Mahmudul Hasan Joy
আউট হয়ে ফিরছেন মাহমুদুল হাসান জয়। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

ছয় বিশেষজ্ঞ ব্যাটার মিলে করেছেন ৭৪ রান, তিন বোলারের ব্যাটিংয়ে সম্মিলিত অবদান তারচেয়ে ১০ বেশি। অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজকে ধরলেও ব্যাটারদের রান থাকছে ৮৫। বোঝাই যাচ্ছে সিলেট টেস্টে কতটা বিবর্ণ ছিলো বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। দ্বিতীয় দিনে তাইজুল ইসলাম যেখানে টিকে থাকার নিবেদন দেখিয়েছেন মূল ব্যাটারদের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি তার কিছু। ব্যাটিং কোচ ডেভিড হেম্প অনুসন্ধান করেছেন ব্যর্থতার কারণ।  

বিশেষ করে দ্বিতীয় দিনে দুই তরুণ ব্যাটারের আউটের ধরণের মাঝে সমস্যা খুঁজে পেয়েছেন তিনি। সিলেট টেস্টে এখন যা অবস্থা তাতে বাংলাদেশের পিছিয়ে থাকার বড় দায় ব্যাটারদের।

শ্রীলঙ্কাকে ২৮০ রানে আটকে রাখার পর নিজেরা গুটিয়ে যায় ১৮৮ রানে। দ্বিতীয় দিন শেষে সফরকারীরা আরও ৫ উইকেটে ১১৯ রান যোগ করায় তাদের লিড হয়ে গেছে ২১১ রানের।

বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের সর্বোচ্চ স্কোর তাইজুল ইসলামের, ৪৭ রান। তিনি মূলত নেমেছিলেন প্রথম দিন শেষ বিকেলে নাইট ওয়াচম্যান হিসেবে। দ্বিতীয় দিনে তাকে রেখেই একে একে বিদায় নেন মাহমুদুল হাসান জয়, শাহাদাত হোসেন দিপু ও লিটন দাস। তিনজনকেই আউট করেন লাহিরু কুমারা। এরমধ্যে লিটন ভেতরে ঢোকা দারুণ ডেলিভারিতে বোল্ড হলেও বাকি দুজন কিছুটা আলগা শটে স্লিপে দেন ক্যাচ।

দিনের খেলা শেষে পর্যালোচনা করতে এসে বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ ডেভিড হেম্প ব্যাটারদের কিছু সমস্যা খুঁজে পেয়েছেন, 'আমার মনে হয় শ্রীলঙ্কার তিন পেসার সত্যিই খুব ভালো বল করেছে। যদি খেয়াল করে থাকেন, তারা গুড লেন্থে বল করেছে। একটা অ্যাঙ্গেল তৈরি করেছে, স্টাম্পকে চ্যালেঞ্জে রেখেছে। আমার মনে হয় তারা (জয় ও দিপু) ক্রিজে জমে গিয়ে যেসব বল স্টাম্পে হিট করত না, সেসব তাড়া করেছে। এজন্য অনুশোচনায় ভুগবে। এটা এমন কিছু যেটা আজ রাতে আমরা আলাপ করব যাতে করে আমরা তাদের বোলারদের কাল সামলাতে পারি।'

হেম্পের মতে কেবল ক্রিজ আঁকড়ে পড়ে থাকার চিন্তায় ব্যাটারদের খেলায় প্রভাব পড়েছে। রান না পেয়ে তারা চাপ এড়াতে হুট করে বাইরের বল তাড়া করতে গিয়ে বিপদ বাড়িয়েছেন। দ্বিতীয় ইনিংসে তাই সারাক্ষণ স্কোরবোর্ড সচল রাখার চিন্তায় হাঁটবে দল,  'আমরা রান করার চেষ্টা করব। আমরা সম্ভবত ক্রিজে আড়ষ্ট হয়ে গিয়েছিলাম কিছুটা। এবং পরে অনেক বাইরের বল তাড়া করে বিপদ ডেকে এনেছি। যেসব বল সহজে রক্ষণ করা যেত।'

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের আগে লাল বলের খুব বেশি অনুশীলন হয়নি। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডের বাইরের ক্রিকেটাররা ব্যস্ত ছিলেন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে। তবে এসবকে প্রস্তুতি ঘাটতির কারণ মানতে নারাজ কোচ,  'তারা ডিপিএলে খেলছিল, যেটা ওয়ানডে আসর। তারা টেস্টে নামার আগে লাল বলে কিছু অনুশীলন করেছে। যেটার উপর আস্থা রাখতে পারেন। তারা ক্রিকেটই খেলছিল। আমার কাছে সাদা বল, লাল বল স্রেফ রঙ। দীর্ঘ পরিসরে খেলতে হলে ব্যাটারকে জানতে হবে তার অফ স্টাম্প কোথায়। আরও সময় নিয়ে রান করার ব্যাপার আছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Israel welcomes 'all help' in striking Iran

Israel hits nuclear sites, Iran strikes hospital as conflict escalates

1d ago