আসছে বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বোলিং অন্যতম শক্তিশালী দেখছেন মালিঙ্গা

lasith malinga and nuwan thushara
নুয়ান তুশারার সঙ্গে লাসিথ মালিঙ্গা

মাথিশা পাথিরানা ছিটকে যাওয়া মনে হয়েছিলো সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে ধাক্কা লাগবে শ্রীলঙ্কার বোলিং আক্রমণে। কিন্তু নুয়ান তুশারা এসে মাথিশাকেও একদম ছাপিয়ে গেলেন। বাংলাদেশকে ধসিয়ে দেখালেন একাদশে শুরু থেকে জায়গা পাওয়ার দাবিদার বরং ছিলেন তিনিই। স্পিন আক্রমণে বরাবরই ধারালো লঙ্কানরা, পেসাররাও জ্বলে উঠায় লাসিথ মালিঙ্গার মনে হচ্ছে আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অন্যতম শক্তিশালী থাকবে শ্রীলঙ্কার বোলিং।

শনিবার শ্রীলঙ্কার ১৭৪ রানের জবাবে ২৪ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। যার মধ্যে হ্যাটট্রিকসহ চার উইকেটই নেন তুশারা। পরে স্বাগতিকদের ১৪৬ রানে গুটিয়ে ২৮ রানে জিতে সিরিজ নিশ্চিত করে শ্রীলঙ্কা। ২০ রানে ক্যারিয়ার সেরা ৫ উইকেট নিয়ে আলো কাড়েন তুশারা।

মাথিশা ও তুশারা দুজনেই লাসিথ মালিঙ্গার অনুসারি। স্লিংগি অ্যাকশনের বলে তাদের দুজনকেই নানান সময়ে ছোট মালিঙ্গা হিসেবে ডাকা হয়েছে। মাথিশার আগেই তুশারার আন্তর্জাতিক অভিষেক, যদিও আইপিএলে আলো ছড়ানোর পর মাথিশাই লঙ্কানদের প্রথম পছন্দে চলে আসেন।

এই দুজনকেই বিশ্বকাপ দলে নিশ্চিতভাবে দেখছেন লঙ্কান কিংবদন্তি মালিঙ্গা। বাংলাদেশকে হারানোর পর এক্স প্লাটফর্মে তেমনই লিখেছেন তিনি, 'জেতার জন্য বাহবা, পুরো দল! নুয়ান তুশারার হ্যাটট্রিক এবং তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্স বিশ্বকাপে মাতিশার সঙ্গে তার জায়গা নিশ্চিত করে ফেলেছে। আসন্ন বিশ্বকাপে আমাদের বোলিং অন্যতম শক্তিশালী হয়ে গেছে।'

আইপিএলেও মালিঙ্গার দুই অনুসারীকে দেখা যাবে। চেন্নাই সুপার কিংসে আগে থেকেই আছেন মাথিশা। এবার নিলাম থেকে প্রায় ৫ কোটি রুপিতে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স দলে নিয়েছে তুশারাকে। এতে ভূমিকা আছে মালিঙ্গারই। তিনিই যে দলটির বোলিং কোচ। 

এই দুই পেসার ছাড়াও দিলশান মাধুশঙ্কা, প্রমোদ মধুশান আছেন। আছেন অভিজ্ঞ দুশমন্ত চামিরা। স্পিন আক্রমণে মাহেশ থিকসেনা, ভানিন্দু হাসারাঙ্গা তো আছেনই। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে সবাইকে পেলে শ্রীলঙ্কার বোলিং আসলেই বেশ শক্তিশালী।

মাথিশা ছিটকে যাওয়ার পর তুশারা খেলবেন, এমনটা অনুমিত ছিলো। তবু নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, সৌম্য সরকাররা যেভাবে কাবু হয়েছেন, মনে হয়েছে অনেকটা অপ্রস্তুত তারা। স্লিঙ্গি অ্যাকশনের সঙ্গে লেইট স্যুইং মিলিয়ে তুশারার বল বিষাক্ত লেগেছে তাদের। শান্তর মতে হ্যাটট্রিকের ওই ওভারেই মূলত শেষ হয়ে গেছে ম্যাচ।

বাংলাদেশ অধিনায়ক স্বীকার করে নিচ্ছেন এমন অ্যাকশনের বোলার না খেলার কারণে চ্যালেঞ্জটা বাড়তি লেগেছে তাদের,  'ওর তো অবশ্যই অ্যাকশনটা একটু অন্যরকম আমরা খুব বেশি খেলি না এমন। আগের দুই ম্যাচে পাথিরানাকে ভালোভাবেই সামলেছি। আমার মনে হয় শুরুর দিকে বলটা সুইং ও করছিল। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এরকম চ্যালেঞ্জ মেনে নিতে হবে এবং কীভাবে আমরা আরও ভালো করতে পারি সেটা নিয়ে প্ল্যান করতে হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Parties agree on chief justice appointment, limiting emergency powers

Manifesto provision allows top-two judge choice; cabinet to approve emergency declaration

42m ago