শান্তর ক্যারিয়ারসেরা ইনিংসে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ

শুরুর নড়বড়ে অবস্থা কাটিয়ে বাংলাদেশের অধিনায়কের ব্যাট থেকে আসে ১২৯ বলে ১২২ রান।
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

শ্রীলঙ্কার দিলশান মাদুশঙ্কার তোপে ২৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ভীষণ চাপে পড়া বাংলাদেশের উদ্ধারকর্তার ভূমিকায় আবির্ভূত হলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। প্রথমে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে পঞ্চাশোর্ধ্ব জুটিতে চাপ সামাল দিলেন। এরপর মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে রেকর্ড জুটি গড়ে দলকে শেষমেশ অনায়াসে জয় পাইয়ে দিয়েই মাঠ ছাড়লেন বাঁহাতি ব্যাটার।

বুধবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রথম ওয়ানডেতে লঙ্কানদের ৬ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নামা সফরকারীদের ছুঁড়ে দেওয়া ২৫৬ রানের লক্ষ্য স্বাগতিকরা পেরিয়ে গেছে ৩২ বল হাতে রেখে। ফলে তিন ম্যাচের সিরিজে তারা এগিয়ে গেছে ১-০ ব্যবধানে।

শুরুর নড়বড়ে অবস্থা কাটিয়ে বাংলাদেশের অধিনায়কের ব্যাট থেকে আসে ১২৯ বলে ১২২ রান। ওয়ানডেতে এটি তার তৃতীয় সেঞ্চুরি, অধিনায়ক হিসেবে প্রথম। এই সংস্করণে এটি তার ক্যারিয়ারসেরা ইনিংসও বটে। অবধারিতভাবে ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠেছে তার হাতেই। মুশফিক অপরাজিত থাকেন ৮৪ বলে ৭৩ রানে। মাহমুদউল্লাহ করেন ৩৭ বলে ৩৭ রান।

সময়োপযোগী জুটিতে ১৭৫ বলে অবিচ্ছিন্ন ১৬৫ রান যোগ করেন শান্ত ও মুশফিক। ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পঞ্চম উইকেটে এটি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জুটি। সব উইকেট মিলিয়ে লঙ্কানদের বিপরীতে টাইগারদের এর চেয়ে বেশি রানের জুটি আছে আর কেবল একটি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ: ৪৪.৪ ওভারে ২৫৭/৪ (লিটন ০, সৌম্য ৩, শান্ত ১২২*, হৃদয় ৩, মাহমুদউল্লাহ ৩৭, মুশফিক ৭৩*; মাদুশঙ্কা ২/৪৪, মাদুশান ১/৫৩, কুমারা ১/৩৫, থিকশানা ০/৪৭, হাসারাঙ্গা ০/৫৪, লিয়ানাগে ০/২২)।

ফল: বাংলাদেশ ৬ উইকেটে জয়ী।

সিরিজ: তিন ম্যাচের সিরিজে বাংলাদেশ ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে।

দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে শান্তর তৃতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরি

শ্রীলঙ্কার পেসার লাহিরু কুমারার করা ৩৮তম ওভারের শেষ ডেলিভারিতে কভার দিয়ে চার মারলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ওই শটের পর সেঞ্চুরি পূরণের উল্লাসে মাতলেন বাঁহাতি ব্যাটার। হেলমেট খুলে দুহাত উঁচিয়ে করলেন উদযাপন। ওয়ানডেতে এটি তার তৃতীয় শতরানের ইনিংস, অধিনায়ক হিসেবে প্রথম।

তিন অঙ্কে পৌঁছাতে শান্তর লাগল ১০৮ বল। তার ইনিংসে এখন পর্যন্ত ১১ চারের সঙ্গে রয়েছে ১ ছক্কা।

ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ৪ উইকেটে ২১৮। মুশফিকুর রহিম খেলছেন ৬৫ বলে ৫৭ রানে। জয়ের জন্য ১২ ওভারে আর স্রেফ ৩৮ রান চাই টাইগারদের।

বাংলাদেশের দুইশ

বাজে শুরুর পরও ১৬.৫ ওভারে দলীয় একশ রান পূরণ হয়েছিল বাংলাদেশের। এরপর দলীয় দুইশ তারা স্পর্শ করল ৩৫.৩ ওভারে। মাঝে ৬০ বলে কোনো বাউন্ডারি না এলেও সিঙ্গেল-ডাবলের কারণে রানের চাকার গতি তেমন কমেনি।

৩৬ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২০৪ রান। ক্রিজে সেঞ্চুরির সুবাস জাগিয়ে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ৯৯ বলে ৮৮ রান ও মুশফিকুর রহিম ৬২ বলে ৫৬ রানে খেলছেন।

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

জুটির শতক ও মুশফিকের হাফসেঞ্চুরি

শ্রীলঙ্কার পেসার প্রমোদ মাদুশানের শর্ট ডেলিভারি সজোরে পুল করলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ডিপ মিডউইকেট দিয়ে বুলেট গতিতে বল চলে গেল সীমানার বাইরে। এই চারে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে বাংলাদেশ অধিনায়কের জুটির শতরান পূর্ণ হলো। সেজন্য লাগল ১১৭ বল।

একই ওভারের শেষ বলটি ছিল লেগ স্টাম্পে। ডিপ স্কয়ার লেগ দিয়ে সেটাতে চার মারলেন মুশফিক। তিনি স্পর্শ করলেন ফিফটি, ৫৯ বলে। ওয়ানডেতে এটি তার ৪৯তম হাফসেঞ্চুরি।

৩৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ৪ উইকেটে ১৯৯। ক্রিজে শান্ত ৯৬ বলে ৮৭ ও মুশফিক ৫৯ বলে ৫২ রানে অপরাজিত। বাকি ১৫ ওভারে জয়ের জন্য আর মাত্র ৫৭ রান চাই দলের। হাতে রয়েছে ৬ উইকেট।

শান্ত-মুশফিকের জুটিতে শক্ত অবস্থানে বাংলাদেশ

নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিম এগিয়ে নিচ্ছেন বাংলাদেশকে। তাদের দারুণ জুটিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে লক্ষ্য তাড়ায় শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে স্বাগতিকরা। অথচ শুরুতে এক পর্যায়ে ২৩ রানে ৩ উইকেট খুইয়ে ভীষণ চাপে ছিল দল।

৩০ ওভার শেষে টাইগারদের রান ৪ উইকেটে ১৬৭। অধিনায়ক শান্ত ৭৭ বলে ৭২ রানে অপরাজিত। মুশফিক খেলছেন ৪৮ বলে ৩৫ রানে। বাকি ২০ ওভারে হাতে ৬ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের দরকার ৮৯ রান।

এবার শান্ত-মুশফিকের জুটিতে পঞ্চাশ

৯২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল বাংলাদেশ। এরপর নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গী হয়েছেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম। আরেকটি সময়োপযোগী জুটি গড়েছেন তারা। দুজনের জুটির পঞ্চাশ পূর্ণ হলো ৫৫ বলে।

২৫ ওভার শেষে টাইগারদের রান ৪ উইকেটে ১৪৬। শান্ত খেলছেন ৬৩ বলে ৬৩ রানে। মুশফিক অপরাজিত ৩২ বলে ২৫ রানে। বাকি ২৫ ওভারে জয়ের জন্য স্বাগতিকদের আর চাই ১১০ রান। হাতে রয়েছে ৬ উইকেট।

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

দায়িত্বশীল ইনিংসে শান্তর ফিফটি

দলের প্রয়োজনের মুহূর্তে ব্যাট হাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ২২তম ওভারের প্রথম ডেলিভারিতে মাহিশ থিকশানাকে চার মেরে ফিফটি স্পর্শ করলেন তিনি। ওয়ানডেতে এটি তার নবম হাফসেঞ্চুরি, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টানা তৃতীয়। লাগল ৫২ বল। তার ইনিংসে এখন পর্যন্ত চার আটটি ও ছয় একটি।

পুল করেছিলেন শান্ত। বল চলে যাচ্ছিল ডিপ স্কয়ার লেগে। সহজেই তা লুফে নেওয়ার কথা ছিল আভিশকা ফার্নান্দোর। কিন্তু শ্রীলঙ্কার ফিল্ডার গড়বড় করে ফেললেন। তার হাত গলে বল বেরিয়ে যাওয়ায় সিঙ্গেলের বদলে এলো বাউন্ডারি।

ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ৪ উইকেটে ১২৮। ক্রিজে শান্ত ৫৫ বলে ৫৫ ও মুশফিকুর রহিম ২২ বলে ১৫ রানে খেলছেন। তাদের জুটি যত সামনে এগোবে, ততই বাড়বে টাইগারদের ২৫৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় সফল হওয়ার সম্ভাবনা। 

বাংলাদেশের একশ

শুরুর আঘাত পেছনে ফেলে ধীরে ধীরে রানের গতি বাড়িয়েছে বাংলাদেশ। ইনিংসে ১৭তম ওভারে দলীয় একশ রান পূরণ হলো তাদের।

ওভার শেষে স্বাগতিকদের রান ৪ উইকেটে ঠিক ১০০। থিতু হয়ে ক্রিজে আছেন নাজমুল হোসেন শান্ত ৪০ বলে ৩৮ রানে। প্রথম দিকে নড়বড়ে থাকলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সাবলীল হয়ে উঠেছে তার ব্যাট। মুশফিকুর রহিম খেলছেন ৭ বলে ৫ রানে।

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

মাহমুদউল্লাহর বিদায়ে ভাঙল গুরুত্বপূর্ণ জুটি

ভানিন্দু হাসারাঙ্গার করা আগের ওভারে ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। লং-অনে দিয়ে বল চলে গিয়েছিল সীমানার বাইরে। এবার আর সীমানা পার করতে পারলেন না ডানহাতি ব্যাটার। লাহিরু কুমারাকে ওড়ানোর চেষ্টায় টপ এজ হয়ে বল উঠে গেল ডিপ মিডউইকেটে। দিলশান মাদুশঙ্কা ঝাঁপিয়ে পড়ে লুফে নিলেন দারুণ ক্যাচ।

স্বাচ্ছন্দ্যে খেলার পর ৩৭ বলে ৩৭ রানে আউট হলেন মাহমুদউল্লাহ। তার ব্যাট থেকে এলো চারটি চার ও একটি ছক্কা। তার বিদায়ে ভাঙল ৬২ বলে ৬৯ রানের জুটি। ম্যাচের পরিস্থিতি বিবেচনায় এই উইকেট হয়ে উঠতে পারে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।

১৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ৪ উইকেটে ৯৪। ক্রিজে অধিনায়ক শান্ত আছেন ৩৮ বলে ৩৭ রানে। মাত্রই নামা আরেক অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম ৩ বল খেলে এখনও রানের খাতা খুলতে পারেননি।

শান্ত-মাহমুদউল্লাহর জুটির পঞ্চাশ

২৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়েছিল বাংলাদেশ। সেই চাপ সামাল দিয়ে দলকে টানছেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তাদের দ্রুত গতির জুটির পঞ্চাশ পূর্ণ হলো ৪৭ বলে।

১৩ ওভার শেষে টাইগারদের রান ৩ উইকেটে ৭৩। শান্ত খেলছেন ৩১ বলে ২৬ রানে। মাহমুদউল্লাহ ক্রিজে আছেন ২৯ বলে ২৯ রানে।

প্রথম পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশের রান ৩ উইকেটে ৫৫

দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ার পর জুটি গড়ার চেষ্টায় আছেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। অবশ্য খোলসে বন্দি না থেকে পাল্টা আক্রমণের পথে হাঁটছেন তারা। দুজনের ব্যাটে চড়ে দশম ওভারে দলীয় পঞ্চাশ পূর্ণ হলো বাংলাদেশের।

দিলশান মাদুশঙ্কার ওপর চড়াও হয়েছেন তারা। শ্রীলঙ্কার পেসারের করা সপ্তম ওভারে দুটি চার মারলেন অধিনায়ক শান্ত। মাদুশঙ্কা আক্রমণে ফিরলে ইনিংসের নবম ওভারে তিনটি চার হাঁকালেন অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ।

ফলে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়ে প্রথম পাওয়ার প্লে শেষ করল বাংলাদেশ। ১০ ওভার শেষে তাদের রান ৩ উইকেটে ৫৫। ক্রিজে আছেন শান্ত ২৩ বলে ১৫ ও মাহমুদউল্লাহ ১৯ বলে ২২ রানে।

বোল্ড হলেন হৃদয়

মোকাবিলার জন্য কঠিন কোনো ডেলিভারি ছিল না। কিন্তু তাওহিদ হৃদয়ের ব্যাট-প্যাডের মাঝে ছিল বড় ফাঁক। সেটা ভেদ করে শ্রীলঙ্কার পেসার প্রমোদ মাদুশানের ভালো লেংথের বল আঘাত করল স্টাম্পে।

৮ বল খেলে ডানহাতি ব্যাটার হৃদয় করলেন ৩ রান। ২৩ রানে ৩ উইকেট খুইয়ে ভীষণ চাপে পড়ল বাংলাদেশ।

ক্রিজে আছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তাদের কাঁধে এবার দলকে খাদ থেকে টেনে তোলার বড় দায়িত্ব। ৬ ওভার শেষে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ২৭ রান।

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

উইকেট ছুঁড়ে ফিরলেন সৌম্য

ব্যর্থ হলেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার। লিটন দাসের পর সৌম্য সরকারও টিকলেন না। নিজের পরপর দুই ওভারে তাদেরকে সাজঘরের পথ দেখালেন লঙ্কান পেসার দিলশান মাদুশঙ্কা। বাজে শটে উইকেট ছুঁড়ে ফিরলেন বাঁহাতি সৌম্য।

অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের শর্ট ডেলিভারি জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনলেন সৌম্য। কাট করার বদলে ডিপ মিডউইকেট দিয়ে মারতে গিয়ে হলেন কুপোকাত। টপ এজ হয়ে অনেক ওপরে উঠে যাওয়া বল স্কয়ার লেগে অনায়াসে লুফে নিলেন মাহিশ থিকশানা।

৯ বলে সৌম্যের রান ৩। দলীয় ১৪ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ল বাংলাদেশ। ৩ ওভার শেষে তাদের রান ২ উইকেটে ১৫। ক্রিজে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গী তাওহিদ হৃদয়। তাদের সামনে এখন শুরুর ধাক্কা সামলে জুটি গড়ার চ্যালেঞ্জ।

শ্রীলঙ্কার ব্যর্থ রিভিউ

নাজমুল হোসেন শান্তর বিপক্ষে রিভিউ নিয়ে অসফল হলো শ্রীলঙ্কা। প্রমোদ মাদুশানের করা ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলটি লাগল বাংলাদেশের অধিনায়কের বুটে। আবেদনে আম্পায়ার সাড়া না দিলে রিভিউ নিলেন লঙ্কান দলনেতা কুসল মেন্ডিস।

টিভি রিপ্লেতে দেখা গেল, বলের ইমপ্যাক্ট ছিল অনেক সামনে। পাশাপাশি তা চলে যেত স্টাম্পের বাইরে দিয়ে। ফলে বেঁচে গেলেন তখন শূন্য রানে থাকা শান্ত।

এই ওভারে এলোমেলো বোলিংয়ে ভীষণ খরুচে ছিলেন মাদুশান। তিনটি ওয়াইড দিলেন তিনি, যার দুটিতে আবার হলো চার। সব মিলিয়ে এলো ১৪ রান। ২ ওভারে বাংলাদেশেরও সংগ্রহ দাঁড়াল ১ উইকেটে ১৪ রান।

প্রথম বলেই আউট লিটন

লক্ষ্য তাড়ায় বাংলাদেশের শুরুটা হলো না প্রত্যাশিত। ইনিংসের প্রথম বলেই আউট হয়ে সাজঘরে ফিরলেন লিটন দাস। শ্রীলঙ্কার পেসার দিলশান মাদুশঙ্কার ভালো লেংথের বল স্টাম্পে টেনে বোল্ড হলেন ডানহাতি ওপেনার।

গোল্ডেন ডাকের তেতো স্বাদ পেলেন লিটন। ফলে স্কোরবোর্ডে কোনো রান যোগ করার আগেই বিপদ ঘটল স্বাগতিকদের। তারা প্রথম ওভার শেষ করল রানের খাতা খোলা ছাড়াই। ক্রিজে আছেন আরেক ওপেনার সৌম্য সরকার ও তিনে নামা অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।

২৫৫ রানে অলআউট শ্রীলঙ্কা

দুই ওপেনার আভিস্কা ফার্নান্ডো ও পাথুম নিশাঙ্কার ব্যাটে কী দারুণ সূচনাই না করেছিল শ্রীলঙ্কা। ওপেনিং জুটিতেই আসে ৭১ রান। কিন্তু উইকেটে দারুণ সেট হয়েও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি কেউই। তানজিম হাসান সাকিবের তোপে এ দুই ব্যাটারের সঙ্গে ফিরে যান সাদিরা সামারাবিক্রমাও। এরপর কুশল মেন্ডিস ও জেনিথ লিয়ানাগের ব্যাটে প্রতিরোধ গড়ে শ্রীলঙ্কা। তবে ফিফটির পর তাদের খুব বেশি আগাতে দেননি টাইগাররা। তাতে আড়াইশ তুলেই অলআউট হয়ে যায় শ্রীলঙ্কান দলটি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

শ্রীলঙ্কা: ৪৮.৫ ওভারে ২৫৫ (নিসাঙ্কা ৩৬, আভিস্কা ৩৩, মেন্ডিস ৫৯, সামারাবিক্রমা ৩, আসালাঙ্কা ১৮, লিয়ানাগে ৬৭, হাসারাঙ্গা ১৩, থিকশানা ১, মাদুশান ৮, কুমারা ৫*, মাদুশাঙ্কা ০; শরিফুল ৩/৫১, তাসকিন ৩/৬০, তানজিম ৩/৪৪, তাইজুল ০/৫৪, মিরাজ ১/৩৩, সৌম্য ০/১১।)

মাদুশান ও মাদুশাঙ্কাকে ফিরিয়ে লঙ্কানদের গুটিয়ে দিলেন শরিফুল

নিজের শেষ ওভারে জোড়া শিকার করে লঙ্কানদের গুটিয়ে দেন শরিফুল ইসলাম। প্রমোদ মাদুশানকে ফেরানোর পর দিলশান মাদুশাঙ্কাকেও ফেরান তিনি। তার লেন্থ বলে জায়গায় দাঁড়িয়ে পুল করতে চেয়েছিলেন মাদুশান। তবে টপএজ হয়ে বল আকাশে উঠলে উইকেটের পেছনে সহজ ক্যাচ লুফে নেন মুশফিকুর রহিম। ১৫ বলে ৮ রান করেন মাদুশান। এরপর তানজিম হাস্না সাকিবের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান মাদুশাঙ্কা। ৩ বলে কোনো রান করতে পারেননি তিনি।

লিয়ানাগেকে ফেরালেন শরিফুল

এক প্রান্ত আগলে রেখে দারুণ ব্যাটিং করছিলেন জেনিথ লিয়ানাগে। বাংলাদেশের বাঁধা হয়ে শেষ স্বীকৃত ব্যাটার হিসেবে দলকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। তবে বোলিংয়ে ফিরে তাকে ফিরিয়েছিলেন শরিফুল ইসলাম। তার বলে জায়গায় দাঁড়িয়ে স্ল্যাশ করতে চেয়েছিলেন। তবে ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের হাতে। তবে আউট হওয়ার আগে ৬৯ বলে খেলেন ৬৭ রানের ইনিংস। ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় সাজান নিজের ইনিংস।

৪৭ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৮ উইকেটে ২৪৯ রান। প্রমোদ মাদুশান ৫ ও লাহিরু কুমারা ৪ রানে ব্যাটিং করছেন।     

রিভিউ নিয়ে বাঁচলেন মাদুশান

প্রমোদ মাদুশানের বিরুদ্ধ মেহেদী হাসান মিরাজের এলবিডাব্লিউর আবেদনে সাড়া দিয়েছিলেন আম্পায়ার। তবে রিভিউ নিয়ে বেঁচে গেলেন এই ব্যাটার। তার মিডল ও লেগ স্টাম্পের মাঝে রাখা বলে সুইপ করতে গিয়ে লাইন মিস করলে প্যাডে লাগে মাদুশানের। তবে রিপ্লেতে দেখা যায় স্টাম্প মিস করছে বল।

৪৪ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২৩০ রান। জেনিথ লিয়ানাগে ৫৯ ও প্রমোদ মাদুশান ০ রানে ব্যাটিং করছেন।    

তাসকিনের তৃতীয় শিকার থিকশানা

আগের বলেই এক্সট্রা বাউন্সে মহেশ থিকশানাকে চমকে দিয়েছিলেন তাসকিন আহমেদ। ভাগ্য সঙ্গে থাকায় ব্যাটের কানায় লাগেনি। তবে অফস্টাম্পের বাইরে রাখা পরের বলেই জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলতে যাওয়ার খেসারৎ দিলেন থিকশানা। ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় স্লিপে দাঁড়ানো লিটন দাসের হাতে। ৭ বলে ১ রান করেন থিকশানা।

৪৩ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২২৫ রান। জেনিথ লিয়ানাগে ৫৪ ও প্রমোদ মাদুশান ০ রানে ব্যাটিং করছেন।   

হাসারাঙ্গাকে ফিরিয়ে দ্বিতীয় শিকার তাসকিনের

উইকেটে নেমেই বোলারদের উপর চড়াও হওয়ার চেষ্টা করছিলেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। তাসকিনের আগের ওভারেই টানা দুই বলে একটি চার ও ছক্কা মেরেছিলেন তিনি। তবে পরের ওভারেই প্রতিশোধ নিলেন বাংলাদেশি পেসার। হাসারাঙ্গাকে সীমানায় তাওহিদ হৃদয়ের শিকারে পরিণত করেছেন তাসকিন। ১৪ বলে ১টি করে চার ও ছক্কায় ১৩ রান করেন হাসারাঙ্গা।

৪১ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২২৩ রান। জেনিথ লিয়ানাগে ৫২ ও মহেশ থিকসানা ১ রানে ব্যাটিং করছেন।   

লিয়ানাগের হাফসেঞ্চুরি

অসাধারণ ব্যাটিংয়ে ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি তুলে নিয়েছেন জেনিথ লিয়ানাগে। টানা তৃতীয় ফিফটি তার। এক প্রান্ত আগলে দলকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে নিচ্ছেন এই ব্যাটার। ৫০ বলে ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় নিজের ফিফটি স্পর্শ করেন তিনি।

৪০ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২২০ রান। জেনিথ লিয়ানাগে ৫০ ও ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ১৩ রানে ব্যাটিং করছেন।  

লঙ্কানদের দলীয় দ্বিশতক

দলীয় দুই শত রান পূর্ণ করেছে শ্রীলঙ্কা। ৩৭.১ ওভারে (২২৩ বলে) আসে তাদের দলীয় দ্বিশতক। ১১২ বলে প্রথম একশ রান করেছিল দলটি।

৩৮ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২০৪ রান। জেনিথ লিয়ানাগে ৪৪ ও ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ৩ রানে ব্যাটিং করছেন।    

মেন্ডিসকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙলেন তাসকিন

জেনিথ লিয়ানাগের সঙ্গে আরও একটি দারুণ জুটি গড়ে প্রতিরোধ গড়েছিলেন লঙ্কান অধিনায়ক কুশল মেন্ডিস। নিজেও পেয়েছেন ফিফটি। তবে এরপর আরও ক্ষতি করার আগে তাকে বিদায় করেছেন তাসকিন আহমেদ। তার লেন্থ বলে মিডঅফের উপর দিয়ে বাউন্ডারি মারতে চেয়েছিলেন মেন্ডিস। তবে ধরা পড়েন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে। ৭৫ বলে ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় ৫৯ রান করেন মেন্ডিস।

৩৭ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৯৯ রান। জেনিথ লিয়ানাগে ৪১ ও ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ১ রানে ব্যাটিং করছেন।   

মেন্ডিস-লিয়ানাগের জুটিতে পঞ্চাশ

৭১ রানের দারুণ ওপেনিং জুটির পর দ্রুত ৩ উইকেট নিয়ে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। এরপর আরও একটি উইকেট তুলে লঙ্কান শিবিরে চাপ প্রয়োগ করে টাইগাররা। তবে জেনিথ লিয়ানাগেকে নিয়ে দারুণ প্রতিরোধ গড়েছেন অধিনায়ক কুশল মেন্ডিস। এরমধ্যেই এ জুটি ছাড়িয়েছে পঞ্চাশ রান। ৫২ বলে জুটির ফিফটি স্পর্শ করেন এ দুই ব্যাটার।

৩৫ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৮৬ রান। কুশল মেন্ডিস ৫৭ ও জেনিথ লিয়ানাগে ৩১ রানে ব্যাটিং করছেন।    

মেন্ডিসের হাফসেঞ্চুরি

দারুণ সূচনার পর চার উইকেট হারিয়ে কিছুটা ব্যাকফুটে ছিল শ্রীলঙ্কা। তবে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে দলকে টেনে নিচ্ছেন অধিনায়ক কুশল মেন্ডিস। এরমধ্যেই তুলে নিয়েছেন ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরিও। তানজিম হাসান সাকিবের বলে সিঙ্গেল নিয়ে ক্যারিয়ারের ২৯তম ফিফটি স্পর্শ করেন ৬৭ বলে। এ সময়ে ৪টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন তিনি।

৩৩ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৭৪ রান। কুশল মেন্ডিস ৫০ ও জেনিথ লিয়ানাগে ২৭ রানে ব্যাটিং করছেন।   

আসালাঙ্কাকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙলেন মিরাজ

দ্রুত তিন উইকেট হারানোর পর সাবধানী ব্যাটিংয়ে লঙ্কানদের এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন অধিনায়ক কুশল মেন্ডিস ও চারিথ আসালাঙ্কা। ৭৩ বলে ৪৪ রানের জুটিও গড়েছিলেন। তবে আসালাঙ্কাকে ফিরিয়ে এই জুটি ভেঙেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তার অফ ও মিডল স্টাম্পের মাঝে রাখা বলটি কিছুটা স্পিন করে বেরিয়ে যাচ্ছিল। অনে ঘোরাতে চেয়েছিলেন আসালাঙ্কা। তবে লাইন মিস করে বোল্ড হয়ে যান এই ব্যাটার। ৩৭ বলে ২টি চারের সাহায্যে ১৮ রান করেন তিনি।

২৬ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৩০ রান। কুশল মেন্ডিস ১৩ ও জেনিথ লিয়ানাগে ১ রানে ব্যাটিং করছেন।     

শ্রীলঙ্কার দলীয় শতরান

দুই ওপেনার আভিস্কা ফার্নান্ডো ও পাথুম নিসাঙ্কার ব্যাটে প্রথম পঞ্চাশ রান খুব দ্রুতই পেয়ে গিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। ৪০ বলেই ফিফটি স্পর্শ করেছিল দলটি। তবে তানজিম হান সাকিবের তোপে পড়ে পরের পঞ্চাশ রান তুলতে বেগ পেতে হয়েছে তাদের। ৭২ বলে এসেছে পরের পঞ্চাশ রান। অর্থাৎ ১৮.৪ ওভারে দলীয় সেঞ্চুরি পূরণ করেছে শ্রীলঙ্কা।

১৯ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১০২ রান। কুশল মেন্ডিস ১৩ ও চারিথ আসালাঙ্কা ১৩ রানে ব্যাটিং করছেন।  

মুশফিকের দারুণ ক্যাচে ফিরলেন সামারাবিক্রমা

দুই ওপেনারের ব্যাটে কী দারুণ সূচনাই না পেয়েছিল বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লেতেই ৭১ রান সংগ্রহ করে তারা। তবে এরপর তানজিম হাসান সাকিবের দুর্দান্ত বোলিংয়ে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে টাইগাররা। অসাধারণ বোলিংয়ে দুই ওপেনারকে ফেরানোর পর এবার সাদিরা সামারাবিক্রমাকেও ফিরিয়েছেন তিনি।

তানজিমের ভেতরের দিকে ঢোকা বলে ব্লক করতে চেয়েছিলেন সামারাবিক্রমা। তবে ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের হাতে। ঝাঁপিয়ে দারুণ ক্যাচ লুফে নেন এই উইকেটরক্ষক। ৫ বলে ৩ রান করেন সামারাবিক্রমা।

১৪ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৮৮ রান। কুশল মেন্ডিস ৯ ও চারিথ আসালাঙ্কা ৪ রানে ব্যাটিং করছেন।  

আভিস্কার পর নিসাঙ্কাকেও ফেরালেন তানজিম

আগের ওভারেই আভিস্কা ফার্নান্ডোকে ফিরিয়ে জুটি ভেঙেছিলেন তানজিম হাসান সাকিব। পরের ওভারে ফিরিয়েছেন আরেক সেট ব্যাটার পাথুম নিসাঙ্কাকেও। তার শর্ট বলে পুল করতে গিয়েছিলেন এই ওপেনার। কিন্তু ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় স্লিপে দাঁড়ানো সৌম্য সরকারের হাতে। ২৮ বলে ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় ৩৬ রান করেন নিসাঙ্কা।

১২ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ২ উইকেটে ৭৪ রান। কুশল মেন্ডিস ও সাদিরা সামারাবিক্রমা দুইজনই ১ রানে ব্যাটিং করছেন।   

আভিস্কাকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙলেন তানজিম

তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলামকে সামলে দারুণভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন দুই লঙ্কান ওপেনার। ৭১ রানের দারুণ জুটিও গড়েন তারা। তবে অবশেষে এই জুটি ভাঙতে পেরেছে টাইগাররা। আভিস্কা ফার্নান্ডোকে ফিরিয়েছেন তানজিম হাসান সাকিব। তার অফস্টাম্পের বেশ বাইরে রাখা বলে খেলতে গেলে ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের হাতে। ৩৩ বলে ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় ৩৩ রান করেন আভিস্কা।

পাওয়ার প্লের ১০ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ১ উইকেটে ৭১ রান। নিসাঙ্কা ২৬ বলে ৩৫ রান এবং নতুন ব্যাটার কুশল মেন্ডিস ১ বলে ০ রানে ব্যাটিং করছেন।    

শ্রীলঙ্কার দলীয় হাফসেঞ্চুরি

শুরুতে কিছুটা দেখে খেলেছেন দুই ওপেনার পাথুম নিসাঙ্কা ও আভিস্কা ফার্নান্ডো। তবে দুই পেসার তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলামকে সামলে দারুণ সব শটে দলকে এগিয়ে নিচ্ছেন দুই ওপেনারই। এরমধ্যেই দলীয় হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়েছে দলটি। সপ্তম ওভারের চতুর্থ বলে শরিফুলকে ছক্কা হাঁকিয়েই দলীয় ফিফটি পূরণ করেন আভিস্কা।

৭ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ বিনা উইকেটে ৫২ রান। নিসাঙ্কা ১৫ বলে ২০ রান এবং আভিস্কা ২৭ বলে ২৯ রানে ব্যাটিং করছেন।   

শ্রীলঙ্কার দারুণ সূচনা

বাংলাদেশের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে বেশ সাবধানী ব্যাটিংয়ে ভালো সূচনা করেছে শ্রীলঙ্কা। এখন পর্যন্ত কোনো বিপদ হয়নি। উইকেটে মানিয়ে নিয়ে ধীরে ধীরে খোলস ভাঙছেন দুই ওপেনার পাথুম নিসাঙ্কা ও আভিস্কা ফাররান্ডো। মাঝেমধ্যে বাউন্ডারি মেরে সচল রাখছেন রানের চাকাও।

৫ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ বিনা উইকেটে ৩২ রান। নিসাঙ্কা ১৫ ও আভিস্কা ১৫ রানে ব্যাটিং করছেন।  

বাংলাদেশের একাদশে নেই মোস্তাফিজ

তিন পেসার ও দুই স্পিনার নিয়ে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে নেমেছে বাংলাদেশ। চট্টগ্রামের উইকেটের কথা বিবেচনা করে এদিন একাদশে রাখা হয়নি মোস্তাফিজুর রহমানকে। তার জায়গায় তরুণ তানজিম হাসান সাকিবে আস্থা রেখেছে টিম ম্যানেজমেন্ট। তার সঙ্গে যথারীতি রয়েছেন তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম। মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে স্পিন আক্রমণে থাকছেন তাইজুল ইসলাম।

বাংলাদেশ একাদশ: লিটন দাস, সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহিদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব, তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম।

শ্রীলঙ্কা একাদশ: পাথুম নিসাঙ্কা, আভিষ্কা ফার্নান্ডো, কুসল মেন্ডিস, সাদিরা সামারাবিক্রমা, চারিথ আসালাঙ্কা, জেনিথ লিয়ানাগে, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, মহেশ থিকশানা, প্রমোদ মদুশান, দিলশান মাদুশাঙ্কা ও লাহিরু কুমারা।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে শ্রীলঙ্কা

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক কুশল মেন্ডিস। ফলে আগে ফিল্ডিং করতে হবে টাইগারদের। বাংলাদেশ সময় বেলা আড়াইটায় শুরু হবে ম্যাচটি।

ঘুরে দাঁড়াতে প্রস্তুত বাংলাদেশ

২০১৪ সালের শেষ দিক থেকেই ওয়ানডে সংস্করণে দারুণ খেলছে বাংলাদেশ। তবে গত বছরটা সে অর্থে ভালো যায়নি টাইগারদের। নতুন বছরে ঘুরে দাঁড়াতে চায় মরিয়া তারা। সেই চ্যালেঞ্জটাও নিচ্ছেন তারা। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর ভাষায়, 'সব সময় চ্যালেঞ্জ থাকবে। আন্তর্জাতিক যেকোনো দলের বিপক্ষে খেলার আগে চ্যালেঞ্জ থাক। যেটা বললেন ২০১৫ থেকে ২০২২ পর্যন্ত আমরা খুব ভালো ক্রিকেট খেলেছি। কাজেই একটা বছর খারাপ যেতেই পারে। কিন্তু  দল হিসেবে ঘুরে দাঁড়িয়ে এই বছরটা ভালোভাবে ফেরাটা গুরুত্বপূর্ণ। এরজন্য ভালোভাবে প্রস্তুত।'

দেশের জন্য খেলবে লঙ্কানরা

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য চলতি বছরটা এই সংস্করণের আমেজেই কাটছে। সব দলগুলোর নজর এই বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করেই। তবে ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও নজর অনেক দলের। বাংলাদেশের লক্ষ্যও সেই আসর। তবে সেখানে নেই শ্রীলঙ্কা। তবে দেশের জন্য খেলাকেই গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন দলটির প্রধান কোচ ক্রিস সিলভারউড, 'আমার মনে হয় প্রেরণা হচ্ছে দেশের জন্য খেলা। আপনি দুটি তীব্র ভাবাবেগ সম্পন্ন জাতিকে লড়তে দেখবেন। আমার মনে হয় জার্সি পরে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করা প্রেরণার জন্য যথেষ্ট। এটাই আমাদের ড্রেসিংরুম অনুভব করছে।'  

Comments