লোয়ার অর্ডারের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে তাইজুল-খালেদদের উদাহরণ টেনেছিলো শ্রীলঙ্কা
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ১৮৮ রানের বেশিরভাগই করেছিলেন বোলাররা। সর্বোচ্চ রান এসেছিলো তাইজুল ইসলামের ব্যাটে। তৃতীয় সর্বোচ্চ করেছিলেন খালেদ আহমেদ। শ্রীলঙ্কার ছিলো ভিন্ন অবস্থা। তাদের দুই সেঞ্চুরিয়ান ধনঞ্জয়া ডি সিলভা আর কামিন্দু মেন্ডিস ছাড়া রান খুঁজে পাওয়া যায়নি। দ্বিতীয় ইনিংসে আরও বড় কিছু করতে বাংলাদেশের লোয়ার অর্ডারের উদাহরণ খেলোয়াড়দের দিয়েছিলেন লঙ্কান ব্যাটিং কোচ থিলিনা কান্ডাম্বি।
শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংসে করেছিলো ২৮০ রান। ৫৭ রানে ৫ উইকেট পড়ার ২০২ রানের জুটি গড়েন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিস। দুজনেই করেন ১০২ রান করেন। তাদের বড় জুটির পর টেল এন্ডাররা দাঁড়াতেই পারেননি। বাকি ৪ জুটি মিলিয়ে এসেছে স্রেফ ২১ রান।
অন্য দিকে বাংলাদেশের ৬ বিশেষজ্ঞ ব্যাটার মিলে করেছিলেন ৭৪ রান, তিন বোলার তাইজুল ইসলাম, খালেদ আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম মিলে করেন ৮৪ রান।
দ্বিতীয় ইনিংসে এটা থেকে প্রেরণা নিয়েছে লঙ্কানরা। ছয় বিশেষজ্ঞ ব্যাটার নিয়ে খেলা দলটি তৃতীয় দিনে টেল এন্ডারদের কাছ থেকে অবদান প্রত্যাশা করেছিলো। কারণ ধনঞ্জয়া ও কামিন্দু ছাড়া বাকি সবাই ছিলেন টেল এন্ডার।
দিনের শুরুতে বিশ্ব ফার্নেন্দো আউট হলেও কামিন্দু-ধনঞ্জয়ার জুটিতে ১৭৩ যোগ করে নেয় লঙ্কানরা। দুজনেই আবার করেন সেঞ্চুরি।
তবে এই জুটি ভাঙার পর এবার আর হুট করে ইনিংস থামেনি তাদের। এবার ৮ম উইকেট জুটিতে কামিন্দুর সঙ্গে ৬৭ যোগ করেন প্রভাত জয়াসুরিয়া। শেষ উইকেট জুটিতে কাসুন রাজিতা কামিন্দুর সঙ্গে ৫২ রান করে সঙ্গ দেন। নয়ে নামা জয়সুরিয়ার কাছ থেকে আসে ২৫ রান।
দিনের খেলা শেষে কথা বলতে এসে কান্ডাম্বি জানান, লোয়ার অর্ডারকে তাইজুলদের উদাহরণ দিয়েছিলেন তিনি, 'আমি আজ সকালে তাদের সঙ্গে এটাও আলাপ করেছিলাম যে তাদের ব্যাটিংয়ের অবদানও কত গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। তাদের বলেছি দেখ বাংলাদেশের লোয়ার অর্ডার কীভাবে খেলেছে। তারা ১৩০টার মতন বল খেলেছে। আমি তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে এটা উদাহরণ হিসেবে ব্যবহার করেছি।'
আগের দিন শ্রীলঙ্কা জানিয়েছিল তিনশো ছাড়া লিড পেতে চায় তারা। সেই লিড যে পাঁচশো ছাড়িয়ে যাবে এতটা ভাবনায় ছিলো না। এক্ষেত্রে কামিন্দু ও ধনঞ্জয়ার ম্যাচের দুই ইনিংসের সেঞ্চুরিকেই কৃতিত্ব দিলেন তিনি, 'আমাদের ছোট ছোট পরিকল্পনা ছিলো কিন্তু কখনো চিন্তা করিনি লিড পাঁচশো ছাড়াবে। আমরা প্রথমে তিনশোর কাছাকাছি লিড পাওয়ার আশা করেছিলাম। কারণ মনে করেছি এটাই আমাদেরকে ভালো অবস্থানে নিয়ে যাবে পেস বোলারদের কৃতিত্ব দিতে হবে। তারা ১৫ উইকেটের সবগুলোই নিয়েছে।'
'কিন্তু হ্যাঁ, এই খেলায় মূল তফাত করে দিয়েছে চার সেঞ্চুরি।'
Comments