বাংলাদেশকে ৩২৮ রানে হারাল শ্রীলঙ্কা

মুমিনুল কেবল লঙ্কানদের অপেক্ষাই বাড়িয়েছেন

ম্যাচটা ছিল লাল বলের। মুমিনুল হক ছাড়া সেই কথাটা ভুলেই গিয়েছিলেন বাংলাদেশের বাকি সব স্বীকৃত ব্যাটাররা। তাই তো চড়াও হতে সময় নেননি কেউ। কেউ তো আবার নেমেই উইকেট ছেড়ে বেড়িয়ে খেলতে গিয়েছেন। তাতে যা হবার তাই হয়েছে। বিশাল ব্যবধানেই হেরেছে বাংলাদেশ দল।

সোমবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টেস্ট ম্যাচের চতুর্থ দিনে এসে শ্রীলঙ্কার কাছে ৩২৮ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। ৫১১ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ১৮২ রানেই গুটিয়ে গেছে টাইগাররা। প্রথম ইনিংসে ১৮৮ রানে অলআউট হয়েছিল দলটি। শ্রীলঙ্কা তাদের দুই ইনিংসে যথাক্রমে ২৮০ ও ৪১৮ রান করে।

আগের দিন যেভাবে কাণ্ডজ্ঞানহীন সব শট খেলেছেন টাইগার ব্যাটাররা, ম্যাচের ভাগ্য এক অর্থে তখন নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল। বিশেষকরে লিটন দাসের শটের ক্রিকেটীয় কোনো ব্যাখ্যাই দিতে পারেননি কেউ। সেখানে এদিন শ্রীলঙ্কার অপেক্ষাটাই কেবল বাড়িয়েছেন মুমিনুল হক। তাকে অবশ্য দারুণ সহায়তা করার চেষ্টা করেন শরিফুল ইসলাম।

কিছুটা চেষ্টা করেছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজও। আগের দিন সতীর্থদের আক্রমণাত্মক সব শটের ব্যাখ্যাই যিনি দিতে পারেননি। এদিন তিনি নিজেও আউট হয়েছেন অহেতুক একটি শট খেলতে গিয়ে। অফস্টাম্পের বেশ বাইরের বল মারতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ তুলে দিয়েছেন। তবে মুমিনুলের সঙ্গে ৬৬ রানের জুটি গড়েছিলেন তিনি।

ধৈর্য ধরে খেললে যে ভালো কিছু হতে পারতো এদিন তা সতীর্থদের আঙুল দিয়েই দেখিয়ে দিয়েছেন মুমিনুল। ধারার বিপরীতে এক প্রান্তে মাটি কামড়ে থেকে খেলেছেন হার না মানা ৮৭ রানের ইনিংস। ১৪৮ বলের ইনিংসটি ১২টি চার ও ১টি ছক্কায় সাজান তিনি। এর আগে সিলেটের এই মাঠে লঙ্কানদের হয়ে দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি পেয়েছে কামিন্দু মেন্ডিস ও অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা।

সকালে স্ট্রাইক পেয়ে প্রথম বলেই সাজঘরে ফেরেন প্রথম ইনিংসে সর্বোচ্চ রান করা তাইজুল ইসলাম। কাসুন রাজিথার ভেতরে ঢোকা বলে লাইন মিস করে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়েন। এরপর মিরাজের সঙ্গে দলের হাল ধরেন মুমিনুল। সপ্তম উইকেটে ৬৬ রানের জুটি গড়ে প্রতিরোধ গড়ার ইঙ্গিত দেন এ দুই ব্যাটার।

মিরাজের প্রতিরোধ ভাঙে আগ্রাসী হতে গিয়ে। রাজিথার অফ স্টাম্পের বাইরে রাখা বলে জায়গায় দাঁড়িয়ে ড্রাইভ করতে গেলে ব্যাটের কানায় লেগে বল চলে যায় স্লিপে। সেই ক্যাচ ধরতে কোনো ভুল করেননি ধনাঞ্জয়া। ৫০ বলে ৬টি চারের সাহায্যে ৩৩ রান করেন এই অলরাউন্ডার।

এরপর শরিফুল ইসলামের সঙ্গে ৪৭ রানের আরও একটি জুটি গড়েন মুমিনুল। রাজিথার বলে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে মাঠ ছাড়েন শরিফুল। ৪২ বলে ১২ রান করেন তিনি। রাজিথার পরের বলেই কটবিহাইন্ড হয়েছেন সৈয়দ খালেদ আহমেদ। আর লাহিরু কুমারার বলে ব্যাটের কানায় লেগে স্লিপে ধনাঞ্জয়া হাতে গেলে শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস।

শ্রীলঙ্কার পক্ষে ৫৬ রানের খরচায় ৫টি উইকেট তুলে নেন রাজিথা। ৩৬ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট পান বিশ্ব ফার্নান্ডো। এছাড়া ২টি উইকেট নেন কুমারা।   

Comments

The Daily Star  | English

DMCH doctors threaten strike after assault on colleague

A doctor at Dhaka Medical College Hospital (DMCH) was allegedly assaulted yesterday after the death of a private university student there, with some of his peers accusing the physicians of neglecting their duty in his treatment

5h ago