কামিন্দুর ব্যাটে পাঁচশর পথে শ্রীলঙ্কা

দ্বিতীয় সেশন শুরুর প্রথম ওভারেই উইকেটের দেখা মিলল বাংলাদেশের। তাতে লেজ বেড়িয়ে আসে শ্রীলঙ্কার। কিন্তু লেজের ব্যাটারদের নিয়েও দারুণ লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন সিলেট টেস্টের নায়ক কামিন্দু মেন্ডিস। তার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে বাড়ছে লঙ্কানদের পুঁজিও।
রোববার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশন শেষে ৭ উইকেটে ৪৭৬ রান তুলেছে শ্রীলঙ্কা। কামিন্দু ৪ ও বিশ্ব ফার্নান্ডো ০ রানে ব্যাটিং করছেন।
সিলেট টেস্টের মতো এদিনও ভালো জুটি গড়ার ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন ধনাঞ্জয়া ও কামিন্দু। ৩৬ রানের জুটিও গড়েছিলেন তারা। তবে দ্বিতীয় সেশনে বল হাতে নিয়ে তৃতীয় বলেই ধনাঞ্জয়াকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন সৈয়দ খালেদ আহমেদ। তাকে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলেন। রিভিউ নিয়েছিলেন। তবে আম্পায়ার্স কলে টিকে থাকে মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত। ১১১ বলে ৭০ রান করে ফিরেছেন ধনাঞ্জয়া।
এরপর জয়াসুরিয়াকে হাল ধরেন কামিন্দু। সপ্তম উইকেটে গড়েন ৬৫ রানের জুটি। তবে এ জুটি আগেই ভাঙার বেশ কিছু সুযোগ এসেছিল টাইগারদের। জয়াসুরিয়া তখন ব্যাটিং করছেন ৬ রানে। খালেদের বলে ব্যাটের কানায় লেগে প্রথম স্লিপে সহজ ক্যাচ গেলেও ধরতে পারেননি অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তার হাত ফসকে দ্বিতীয় স্লিপে শাহাদাত হোসেন দিপু, এমনকি তৃতীয় স্লিপে জাকির হাসানের সুযোগ ছিল। কিন্তু তিন জন মিলে মিস করেন সেই ক্যাচ।
মাঝে রিভিউ থাকার কারণে একবার বেঁচে যান কামিন্দু। মেহেদী হাসান মিরাজের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে পরাস্ত হলে উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে বল জমা পড়তেই জোরাল আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। তবে রিভিউ নিয়ে ব্যক্তিগত ৩৫ রানে বেঁচে যান কামিন্দু। রিপ্লেতে দেখা যায় বলে ব্যাটে সংযোগ হয়নি।
এরপর ব্যক্তিগত ২৩ রানে আরও একবার জীবন পান জায়াসুরিয়া। তাইজুল ইসলামের গুড লেন্থে রাখা বলে ব্যাটের ভেতরের দিকের কানায় লাগলেও গ্লাভসে জমাতে পারেননি উইকেটরক্ষক লিটন। তবে শেষ পর্যন্ত তাকে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলে বিদায় করেছেন সাকিব। তবে এর আগে খেলেছেন ক্যারিয়ার সেরা ২৮ রান।
তবে এক প্রান্তে আগলে রেখে বাংলাদেশের হতাশা বাড়িয়ে যাচ্ছেন কামিন্দু। এরমধ্যেই তুলে নিয়েছেন আরও একটি ফিফটি। আগের টেস্টের দুই ইনিংসেই করেছিলেন সেঞ্চুরি। ১১২ বলে ৫৪ রানে অপরাজিত রয়েছেন তিনি। তার সঙ্গে শূন্য রানে অপরাজিত আছেন বিশ্ব ফার্নান্ডো।
সকালে দিনের প্রথম সেশনে শুরুটা বেশ সাবলীলভাবেই করেন আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটার ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ও দিনেশ চান্দিমাল। পঞ্চম উইকেট জুটিতে স্কোরবোর্ডে ৮৬ রান যোগ করেন এই দুই ব্যাটার। চান্দিমালকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন সাকিব আল হাসান। টার্ন ও বাউন্সে তাকে উইকেটরক্ষক লিটন দাসের গ্লাভসবন্দী করেন তিনি। আউট হওয়ার আগে খেলেন ১০৪ বলে ৫৯ রানের ইনিংস।
Comments