লিটন-শান্তদের মারার বল চিনতে বললেন ব্যাটিং কোচ

টেস্ট ক্রিকেটকে বলা হয়ে থাকে ধৈর্যের খেলা। কিন্তু সেই খেলায় তেড়েফুঁড়ে খেলতে পিছ পা হন না বেশির ভাগ বাংলাদেশি ব্যাটাররা। তা দলের অবস্থা যেমনই থাকুক। কেউ কেউ তো প্রথম বল থেকেই আগ্রাসী হন। আক্রমণাত্মক মেজাজে খেলায় দোষের কিছু দেখছেন না বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং কোচ ডেভিড হেম্প। তবে কোনটা মারার বল সেটা বুঝেই মারতে বললেন এই কোচ।
সিলেট টেস্টে অবিশ্বাস্য এক শটে আউট হয়েছেন লিটন কুমার দাস। প্রথম বলেই উইকেট ছেড়ে বেড়িয়ে ছক্কা হাঁকাতে যান। অথচ ৫১২ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে মাত্র ৩৭ রানেই তখন চার উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল টাইগাররা। এর আগে অহেতুক শট খেলতে গিয়ে আউট হয়েছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও। এমন মেজাজে খেলতে গিয়ে দুই ইনিংসের একটিতেও দুইশ স্পর্শ করতে পারেনি বাংলাদেশ।
এবার চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ইনিংসে ৫৩১ রানের বিশাল পুঁজিই পেয়েছে শ্রীলঙ্কা। তাদের দ্বিতীয়বার ব্যাটিংয়ে নামাতে হলেও কমপক্ষে ৩৩২ রান করতে হবে। সেখানে টাইগারদের আগ্রাসী ব্যাটিং আবারও আত্মঘাতী হতে পারে। তাই শান্ত-লিটনদের বুঝেশুনেই ব্যাটিং করতে বললেন হেম্প, 'তারা ভালো খেলোয়াড়। মূল বিষয়টি হলো তাদের একাগ্রতা এবং সিদ্ধান্ত নেওয়া। আক্রমণ করার জন্য বল বুঝতে পারা। কোন বলটি খেলতে হবে, কোনটা ছাড়তে হবে সেটা বোঝা।'
তবে আধুনিক ক্রিকেটে লাল বলেও মেরে খেলার প্রবণতা বাড়ছে ক্রিকেটারদের মধ্যে। ইংল্যান্ডের 'বাজবল' তারই উদাহরণ। এছাড়া আরও অনেক ব্যাটারই আগ্রাসী মেজাজে খেলেন। তবে তাদের বল নির্বাচনের বিষয়টিও তুলে ধরে এই কোচ বলেন, 'বিশ্বের সেরা দলগুলোতে যে সকল ব্যাটাররা রয়েছে বেশিরভাগ সময় ভালো সিদ্ধান্ত নেয়। তাই আপনি এটা থেকে দূরে যেতে পারবেন না। আপনি বোলারের উপর চাপ তৈরি করার চেষ্টা করতে হবে।'
আর ব্যাটাররা দেখে শুনে খেলতে পারলে এখনও জয় সম্ভব বলে মনে করেই হেম্প, 'আমরা এখনও ম্যাচ জেতার কথা ভাবছি। আমরা ৪৮০ রান পিছিয়ে রয়েছি, সে বিবেচনায় এটা কিছুটা উদ্ভট মনে হতে পারে। ...ব্যাটিংয়ের দৃষ্টিকোণ থেকে, আপনি কখনোই জানেন না কী হতে পারে। প্রথম জিনিস, আমাদের নিশ্চিত করতে হবে আগামীকাল তিন সেশন আমাদের ভালো ব্যাটিং করতে হবে।'
Comments