আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থাকে আপাতত স্বাধীনতা দেবে না বিসিবি

প্রতিটি অ্যাডহক কমিটিকে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট পরিচালনার জন্য ২০ লাখ টাকা করে দেবে বিসিবি। তারা সেটা সফলভাবে আয়োজন করতে পারে কিনা তা যাচাই করে দেখা হবে।
ছবি: সংগৃহীত

ক্রিকেটে বিকেন্দ্রীকরণের লক্ষ্যে আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা তৈরি করা হলেও তাদেরকে স্বাধীনতা দেওয়ার পথে হাঁটছে না বিসিবি। বার্ষিক সাধারণ সভা শেষে বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেছেন, এই সংস্থাগুলোকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করবেন তারা।

রোববার রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে অনুষ্ঠিত হয় বিসিবির বার্ষিক সাধারণ সভা। এতে গঠনতন্ত্রে আর্থিক কাঠামোগত একটি সংশোধনী আনা হয়েছে। এছাড়া আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থার ব্যাপারে নেওয়া হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত।

বরিশাল ছাড়া দেশের বাকি ছয়টি বিভাগে আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থার অ্যাডহক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি নির্বাচনের ভিত্তিতে স্থায়ী কমিটি নিয়ে আসবে। বোর্ড প্রধান বলেন, 'বড় আলোচনা যেটা হয়েছে, সেটা আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা নিয়ে। আমরা কিন্তু বরিশাল ছাড়া সব বিভাগে করে ফেলেছি। বরিশাল করতে পারছি না আমাদের পরিচালক (আলমগীর হোসেন) আলো ভাই অসুস্থ দেখে। এটা নিয়ে একটা কিছু করব।'

'বাকিগুলো যেহেতু হয়ে গেছে, আমরা কমিটি করে দিয়েছি। অ্যাডহক কমিটি এখন সকলকে নিয়ে নির্বাচন করবে। নির্বাচনের মাধ্যমে একটা নির্বাচিত কমিটি লাগবে। সেই কমিটি হবে আমাদের প্রকৃত আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা।'

প্রতিটি অ্যাডহক কমিটিকে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট পরিচালনার জন্য ২০ লাখ টাকা করে দেবে বিসিবি। তারা সেটা সফলভাবে আয়োজন করতে পারে কিনা তা যাচাই করে দেখা হবে। পাপন বলেন, 'প্রথম কাজ ওদের দিয়েছি একটা টুর্নামেন্ট চালু করতে। পরীক্ষামূলক ধাপ হিসেবে, দেখার জন্য। এই টুর্নামেন্ট চালাবে তারা, যে কয়টা কমিটি করা হয়েছে। ২০ লক্ষ টাকা তাদের দেওয়া হবে।'

তবে এই সংস্থাগুলোকে আপাতত স্বাধীনতা দেওয়ার ইচ্ছা নেই বোর্ডের। তারা সক্ষম কিনা সেটা আগে বুঝতে চায় তারা, 'এটা কেন্দ্রের হস্তক্ষেপমুক্ত হবে না। আপনারা ভুল বুঝছেন। একদম ঠিকভাবে আমি বলে দিচ্ছি। এটা হবে না, যতদিন পর্যন্ত আমরা সন্তুষ্ট না হব যে তারা স্বাধীনভাবে চালাতে পারবে, ততদিন না। আমরা যে ২০ লাখ টাকা দিচ্ছি, সেটা পরীক্ষামূলক হিসেবে। সেটা দেখতে হবে কীভাবে খরচ হয়।'

'সক্ষমতা আগে দেখতে হবে আমাদের। না দেখে দিচ্ছি না। অন্ধভাবে দিয়ে দেব না। আপনি যদি এখনি ঢালাওভাবে বলে দেন যে, তারা স্বাধীন, যা খুশি তা করতে পারবে, তা না। আমরা আগে বুঝে নেই, দেখে নেই। তারপর ঠিক করব।'

বছর দশেকেরও আগে বিসিবি প্রধান হিসেবে পাপন দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম অগ্রাধিকার ছিল আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থার বাস্তবায়ন। সেই পথে বড় একটি পদক্ষেপ নেওয়া হয় ২০২২ সালের জুলাইতে। বিসিবির সেবারের বার্ষিক সাধারণ সভায় ক্রিকেটে বিকেন্দ্রীকরণের এই উদ্যোগের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল গঠনতন্ত্রে সংশোধন এনে।

যদিও প্রকৃতপক্ষে সময় গড়ানোর সঙ্গে বেড়েছে শুধু অপেক্ষা। অবশেষে গত বছরের জুনে আঞ্চলিক ক্রীড়া সংস্থার কার্যক্রম শুরুর কথা জানিয়েছিলেন পাপন।

Comments