শরিফুল-তাসকিনের পেসে বিধ্বস্ত শেখ জামাল, টানা ১১ জয় আবাহনীর

Shoriful Islam, Taskin Ahmed

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জেতার দৌড়ে এই ম্যাচ মনে করা হচ্ছিলো ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। তবে শক্তিশালী আবাহনীর বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বিন্দুমাত্র লড়াই করতে পারল না শেখ জামাল ধানমন্ডি। শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদদের পেসের ঝাঁজে একশোর নিচে গুটিয়ে বিধ্বস্ত হয়েছে তারা।

বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শেখ জামালকে ১০ উইকেটে উড়িয়ে দিয়েছে আবাহনী। আগে ব্যাটিং পেয়ে নুরুল হাসান সোহানদের ইনিংস শেষ হয় স্রেফ ৮৮ রানে। ৩৫ রানে ৪ উইকেট নিয়ে আবাহনীর সফলতম বোলার শরিফুল। ৫ ওভারের স্পেলে ১৬ রান দিয়ে দুই উইকেট নিয়েছেন তাসকিন। ৭ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার তানভীর ইসলাম। একটি করে উইকেট পেয়েছেন তানজিম হাসান সাকিব ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।

৮৯ রানের লক্ষ্যে নেমে কোন উইকেটই হারায়নি আবাহনী। দুই ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও নাঈম শেখ আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ১০.২ ওভারেই তুলে নিয়েছেন জেতার রান। নাঈম ৪০ বলে ৫৩ আর বিজয় ২২ বলে ৩৭ রানে অপরাজিত থাকেন।

এই জয়ে প্রথম রাউন্ডের ১১ ম্যাচের সবগুলোই জিতল আবাহনী। সুপার লিগ রাউন্ডে বাকিদের থেকে অনেক এগিয়ে থেকে শুরু করবে তারা। শিরোপা জেতার দৌড়েও তাই আকাশি-নীল দল অনেকটাই এগিয়ে গেল।

 

সকালে টস জিতে শেখ জামালকে ব্যাট করতে পাঠিয়েই চেপে ধরে আবাহনী। তৃতীয় ওভারে সাইফ হাসানকে তুলে উইকেট নেওয়া শুরু করেন শরিফুল। 

সপ্তম ওভারে রবিউল ইসলামকে বোল্ড করে দ্বিতীয় উইকেটও তার। খানিক পর ফজলে মাহমুদ রাব্বিকে বোল্ড করে দেন তাসকিন। সৈকত আলি কিছুটা টিকে থাকার চেষ্টায় ছিলেন, তাকে ছাঁটেন তানজিম হাসান সাকিব। শেখ জামাল অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানকেও আউড় করে ৫৭ রানে ৫ উইকেট ফেলে দেন তাসকিন। 

পেসারদের ঝাঁজে উড়ন্ত শুরুর পর স্পিনাররাও এসে চেপে ধরেন। তানভির, মোসাদ্দেকদেরও সামলাতে পারেনি শেখ জামালের ব্যাটাররা। মাত্র ২২.৪ ওভার টিকতে পারে তাদের ইনিংস। দুই দল মিলিয়ে ১০০ ওভারের ওয়ানডে ম্যাচ শেষ হয়ে যায় ৩৩ ওভারেই। 

Comments

The Daily Star  | English
future of bangladesh after banning awami league

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

15h ago