চেন্নাইর বাইরে ম্যাচ হলেই ভীষণ খরুচে মোস্তাফিজ

Mustafizur Rahman

আইপিএল চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে এবার শুরুতেই ঝলক দেখান মোস্তাফিজুর রহমান। হয়ে উঠেন দলটির একাদশের নিয়মিত মুখ। তবে তার পারফরম্যান্সের দুটো চিত্র দেখা গেছে। চেন্নাইর মন্থর উইকেটে তিনি যতটা কার্যকর, বাকি মাঠগুলোতে ততটাই যেন মলিন।

এবার আইপিএলে ৬ ম্যাচ খেলে ২০.৫৪ গড়ে মোস্তাফিজের শিকার চতুর্থ সর্বোচ্চ ১১ উইকেট, ওভারপ্রতি তিনি রান দিয়েছেন ৯.৪১ করে।

ছয় ম্যাচের তিনটি চেন্নাইতে খেলেছেন মোস্তাফিজ। এই তিন ম্যাচে তার পারফরম্যান্স একদম আলাদা। প্রথম ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ৪ ওভার বল করে ২৯ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট, হন ম্যাচ সেরাই। পরের ম্যাচে গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে একই মাঠে ৩০ রান খরচায় পান ২ উইকেট।

চেন্নাইর বাইরে তৃতীয় ম্যা খেলতে গিয়েই মোস্তাফিজ হয়ে যান খরুচে। বিশাখাপত্তমে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ৪ ওভারে ১ উইকেট পান ৪৭ রান দিয়ে। আবার চেন্নাইতে ফিরতেই দেখা যায় তার ঝলক। কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে ২২ রানে পান ২ উইকেট।

সর্বশেষ দুই ম্যাচ বাঁহাতি পেসার খেলেছেন চেন্নাইর বাইরে, দুই ম্যাচেই তিনি ভীষণ খরুচে। ওয়াংখেড়েতে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে মোস্তাফিজের ৪ ওভার থেকে ৫৫ রান নেন রোহিত শর্মারা, কাটার মাস্টার পান ১ উইকেট।

গত রাতে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টারের মাঠে ১ উইকেট পেলেও মোস্তাফিজের ৪ ওভার থেকে আসে ৪৩ রান। অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে চেন্নাইর বাইরে খেলা পড়লেও ওভারপ্রতি কমপক্ষে ১০ করে রান দিচ্ছেন তিনি।

এর পেছনে অবশ্য যুক্তিও আছে। উইকেটে বল গ্রুপ করলেই কাটার দিয়ে সাফল্য পান মোস্তাফিজ। চেন্নাইর চিপকের বাইশগজে মিরপুরের মতই আছে তেমন সুবিধা। মন্থর উইকেটে বল থেমে আসে, মোস্তাফিজের বোলিং খেলাও ব্যাটারদের জন্য হয় কঠিন। তবে বাকি মাঠের উইকেটগুলো গতিময় হওয়ায় ভুগছেন বাংলাদেশের পেসার।

ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে অবশ্য ধারণা করেছিলেন লক্ষ্ণৌতে ভালো করবেন মোস্তাফিজ। ক্রিকেটবাজের আলোচনায় তিনি বলেন, 'প্রথম ইনিংস দেখে মনে হয়েছিলো উইকেটে বল ধরছে, মোস্তাফিজের ভালো করার কথা এই উইকেটে। তবে পরে ব্যাটারদের জন্য উইকেট ভালো হয়ে যায়।।'

এবার আইপিএল ১ মে পর্যন্ত খেলার এনওসি পেয়েছেন মোস্তাফিজ। তাই আরও তিন ম্যাচে মাঠে দেখা যাবে তাকে। মোস্তাফিজের জন্য আশার কথা হলো এই তিন ম্যাচের সবগুলোই চেন্নাইর ঘরের মাঠে। সহায়ক উইকেটে নিজেকে মেলে ধরার সুযোগ তাই পাচ্ছেন তিনি শেষটাতেও।

Comments

The Daily Star  | English

Eid meat: A day of sharing for some, a day of struggle for others

While the well-off fulfilled their religious duty by sacrificing cows and goats, crowds of people -- less fortunate and often overlooked -- stood patiently outside gates, waiting for a small share of meat they could take home to their families

1h ago