কলকাতার বিপক্ষে ২৬১ রান তাড়ায় জিতে পাঞ্জাবের বিশ্বরেকর্ড

সফল রান তাড়ায় নিজেকে হারিয়ে খুঁজতে থাকা জনি বেয়ারস্টোর সেঞ্চুরি যেমন গুরুত্বপূর্ণ ছিল, তেমনি কার্যকর ছিল প্রভসিমরান সিং ও শশাঙ্ক সিংয়ের আগ্রাসী ইনিংস।
ছবি: আইপিএল

২০ ওভারে জয়ের জন্য লক্ষ্য ২৬২ রান। ভীষণ কঠিন সমীকরণ হলেও এবারের আইপিএলে যেভাবে রান উৎসব হচ্ছে, তাতে কোনোকিছুই আর যেন সীমার বাইরে নয়! কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে পাঞ্জাব কিংস ফের সেই প্রমাণ রাখল। অবিশ্বাস্য ব্যাটিংয়ে ৮ উইকেট আর ৮ বল হাতে রেখেই বিশ্বরেকর্ড গড়ে ফেলল তারা। দলটির সফল রান তাড়ায় নিজেকে হারিয়ে খুঁজতে থাকা জনি বেয়ারস্টোর সেঞ্চুরি যেমন গুরুত্বপূর্ণ ছিল, তেমনি কার্যকর ছিল প্রভসিমরান সিং ও শশাঙ্ক সিংয়ের আগ্রাসী ইনিংস।

শুক্রবার ইডেন গার্ডেন্সে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৬ উইকেটে ২৬১ রান তোলে স্বাগতিক কলকাতা। জবাবে ১৮.৪ ওভারে ২ উইকেটে ২৬২ রান করে স্মরণীয় জয়ের আনন্দে ভাসে পাঞ্জাব।

এর আগে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার দখলে। ২০২৩ সালে সেঞ্চুরিয়নে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২৫৮ রান তাড়া করে জিতেছিল তারা। আইপিএলে এই রেকর্ড এতদিন ছিল রাজস্থান রয়্যালস নামের পাশে। একবার নয়, দুবার রেকর্ড গড়ে জিতেছিল তারা। গত ১৬ এপ্রিল ইডেনেই কলকাতার বিপক্ষে ২২৩ রান তাড়ায় বিজয়ী হয়েছিল দলটি। এর আগে ২০২০ সালে শারজাহতে তৎকালীন কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে একই রান তাড়া করে শেষ হাসি হেসেছিল রাজস্থান।

৪৮ বলে ৯ ছক্কা ও ৮ চারে অপরাজিত ১০৮ রানের ইনিংস খেলে এদিন পাঞ্জাবের মূল নায়ক বেয়ারস্টো। ধুন্ধুমার এই ব্যাটিংয়ের আগে রানখরায় ভুগছিলেন ইংলিশ তারকা। এবারের আইপিএলে আগের ছয় ইনিংসে তার রান ছিল স্রেফ ৯৬। উদ্বোধনী জুটিতে বেয়ারস্টোর সঙ্গী প্রভসিমরান ২০ বলে ৫ ছক্কা ও ৪ চারে করেন ৫৪ রান। ৮ ছক্কা ও ২ চারে ২৮ বলে ৬৮ রানের ইনিংস খেলে বেয়ারস্টোর সঙ্গে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন শশাঙ্ক।

রানবন্যার ম্যাচে দুই দল মিলিয়ে ছক্কা মেরেছে মোট ৪২টি। কোনো টি-টোয়েন্টি ম্যাচে এতগুলো ছক্কা আগে কখনও দেখা যায়নি। এবারের আইপিএলেই সানরাইজার্স হায়দরাবাদ-মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু-হায়দরাবাদ ম্যাচের সমান ৩৮টি করে ছক্কা ছিল আগের রেকর্ড। এছাড়া, পাঞ্জাবই হাঁকিয়েছে আইপিএলের ইতিহাসে এক ইনিংসের সর্বোচ্চ ২৪টি ছয়। ফলে ভেঙে গেছে চলতি আসরে বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে হায়দরাবাদের মারা ২২টি ছক্কার রেকর্ড।

কলকাতার ফিল সল্টের ৩৭ বলে ৭৫ রান (৬টি করে চার ও ছক্কা) ও সুনিল নারাইনের ৩২ বলে ৭১ রানের (৯টি চার ও ৪টি ছক্কা) বিধ্বংসী ইনিংস তাই বিফলে গেছে। ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার নারাইনের আক্ষেপ বেশিই হওয়ার কথা। কারণ ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়েও তিনি ছিলেন উজ্জ্বল। ৪ ওভারে মাত্র ২৪ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট।

Comments