বিশ্বকাপ নয়, তানজিদ চেষ্টা করছেন বর্তমানে থাকতে

Tanzid Hasan Tamim
ফিফটির পর তানজিদ হাসান তামিম। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

বিশ্বকাপের প্রথম অডিশনে পাশ মার্ক পেয়েই গেছেন তানজিদ হাসান তামিম। নাটকীয় কিছু না হলে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লাইটে চড়া তার অনেকটাই নিশ্চিত। এই নিশ্চয়তা পাওয়ার পথে ভাগ্য তাকে করেছে সহায়তা। সেটা মাঠে ও মাঠের বাইরে।

সৌম্য সরকার ফিট থাকলে হয়ত এখনই একাদশে সুযোগ মিলত না তানজিদের। ওয়ানডে বিশ্বকাপে সবগুলো ম্যাচ খেলে তেমন কিছু করতে না পারার ব্যর্থতায় জায়গা হারিয়েছিলেন। সৌম্য ওয়ানডেতে ফিরে বিস্ফোরক সেঞ্চুরিতে সাদা বলের দুই সংস্করণেই প্রথম পছন্দে চলে আসেন।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজেও সৌম্যই ছিলেন নিয়মিত ওপেনার। শেষ ম্যাচে সৌম্য ফিল্ডিংয়ে চোট পান। তার কনকাশন সাব হিসেবে নেমে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে আলো কাড়েন তানজিদ। এবার সেই চোটেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম তিন ম্যাচে নেই সৌম্য। সুযোগটা আসে তানজিদের।

ভাগ্য সহায় থাকলে যা হয়। ১২৫ রানের লক্ষ্যে একই ওভারে ৩ ও ৪ রানে থাকার সময় দুবার ক্যাচ দেন তানজিদ। জিম্বাবুয়ের ফিল্ডাররা দুবারই তা ফসকালে টি-টোয়েন্টি অভিষেকেই বাঁহাতি তানজিদ করেন ফিফটি। ফিফটির পর আবার জীবন পান। পরে ৪৭ বলে ৬৭ করে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন তিনি। টি-স্পোর্টসের সঙ্গে আলাপে এমন ভাগ্য নিয়ে জানালেন, 'আমি এভাবে চিন্তা করি না। এটা খেলার মাঝে হয়ে থাকে (জীবন পাওয়া)। আল্লাহ আমাকে দিছে, বাকিটা হয়ে গেছে।'

চট্টগ্রামের মাঠটাও তানজিদের জন্য পয়মন্ত। গত বিপিএলে এই মাঠে সর্বশেষ যে ইনিংস খেলেছিলেন সেটা ছিল তার ক্যারিয়ার সেরা। ৬৫ বলে করেছিলেন ১১৬ রান। তবে মাঠ নিয়ে কোন সংস্কার রাখছেন না মনে,  'সে রকম নয়। যেকোনো মাঠে ভালো খেললেই সেটা বিশেষ হয়ে যায়। তাই আমি সেভাবে চিন্তা করি না। চিন্তা করি, যে মাঠেই খেলি না কেন, যেন দলের জন্য ভালো কিছু এনে দিতে পারি।'

বিশ্বকাপ স্কোয়াডে তৃতীয় ওপেনার হিসেবে গতরাতের ইনিংস তানজিদের নাম অনেকটা পাকা করে ফেলেছে। তৃতীয় ওপেনার হিসেবে তার লড়াই যুব বিশ্বকাপজয়ী দলের সতীর্থ পারভেজ হোসেন ইমনের সঙ্গে। ইমন সুযোগ পাওয়ার আগেই তানজিদ নিজের দাবিটা সমুন্নত করেছেন। যদিও এই বাঁহাতি ব্যাটারের দাবি এমন চিন্তায় নাকি তিনি খেলেননি, 'সামনে বিশ্বকাপ না কী আছে, তা নিয়ে চিন্তা করি না। সব সময় বর্তমানে থাকার চেষ্টা করি। আমি শুধু আমার স্বাভাবিক ব্যাটিংটাই করেছি। আমি আমার স্বাভাবিক খেলাটা খেলেছি। আমি সাধারণত যে জায়গায় বল পেলে শট খেলি, ঠিক তা–ই করেছি। ইতিবাচক থাকার চেষ্টা করি।'

এমনিতে আগ্রাসী ব্যাটার হিসেবে ঘরোয়া ক্রিকেটে পরিচিতি তানজিদের। তবে সেটা করতে গিয়ে পরিস্থিতির দাবিও ভুলতে চান না, 'আমি সব সময় ইতিবাচক মানসিকতায় খেলার চেষ্টা করি। স্ট্রাইকরেট আমার বেশি হলো কিনা কম হলো এটা ভাবি না। কোনো উইকেটে স্ট্রাইকরেট বেশি নিয়ে খেলা ভালো, কোনো  উইকেটে আবার স্ট্রাইকরেট কম নিয়ে খেলা ভালো। এটা কন্ডিশন বিবেচনায় করতে হয়।'

Comments

The Daily Star  | English

Students to resist AL event today

The student movement against discrimination will hold a mass gathering at Zero Point in the capital’s Gulistan today, demanding trial of the Awami League.

3h ago