ছোট লক্ষ্যের কারণেই এমন আড়ষ্ট ব্যাটিং!

বাংলাদেশ প্রত্যাশিতভাবেই জিম্বাবুয়েকে হারিয়েছে। তবে ম্যাচ জিতলেও মন ভরানোর মতন পারফরম্যান্স কি হলো? বোলাররা তাদের কাজটা করলেন ঠিকঠাক, ফিল্ডিং হলো জুতসই। তবে রান তাড়ায় আড়ষ্ট ব্যাটিং জন্ম দিল কিছু প্রশ্নের। ইনিংসের বেশিরভাগ সময় জুড়েই ব্যাটাররা থাকলেন জড়সড়। তাওহিদ হৃদয়ের দায়িত্বশীল ইনিংসে ম্যাচ বের হলো বটে তবে সাবলীলভাবে খেলতে না পারা তৈরি করল অস্বস্তি।
জিম্বাবুয়ের ১৩৮ রান ৯ বল আগে টপকেছে বাংলাদেশ, জিতেছে ৬ উইকেটে। পরিসংখ্যান দিবে একপেশে আরেকটি লড়াইয়ের ছবি। তবে অতটা আসলে একপেশে ছিলো না ম্যাচ।
১৪তম ওভারে ৯৩ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর তো দোলাচল ছিলো যথেষ্ট। শেষ পর্যন্ত ১৬ বলে ২৬ রান করলেও ক্রিজে এসে শুরুতে বেশ ভুগছিলেন মাহমুদউল্লাহও। প্রতিপক্ষের বাজে বোলিং, ফিল্ডিংয়ে আর চিন্তার পরিস্থিতি আসেনি।
রান তাড়ায় যদিও লিটন দাস এনেছিলেন সাবলীল শুরু। চার-ছয়ে ছন্দে ফেরার আভাস দিয়েছিলেন তিনি। এক পর্যায়ে ৯ বলে ১৭ রান ছিলো তার স্কোর। কিন্তু বৃষ্টি বিরতি আর পাওয়ার প্লের পর খোলস বদলে সতর্ক হয়ে পড়েন। তার সঙ্গে আরেক পাশে থাকা ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম শুরু থেকেই ভুগেছেন। শেষ পর্যন্ত ফেরেন ১৯ বলে ১৮ করে।
তিনে নেমে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তরও একই দশা। এক ছয় মারার পরও ১৫ বলে ১৬ করে বিদায় তার। লিটন ৯ বলে ১৭ থেকে আউট হন ২৫ বলে ২৩ করে। স্লোয়ার বলে তুলে দেন সহজ ক্যাচ। জাকের আলি অনিক পাঁচে নেমে সুযোগ হারান ম্যাচ শেষ করার। এক ছয় মারার পরও তিনিও আউট হন ১২ বলে স্রেফ ১৩ করে। এমনকি ম্যাচ জয়ের হৃদয় ক্রিজে এসে শুরুতে টাইমিং করতে ভুগেছেন।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে আসা রিশাদ হোসেনের কাছে এমন অবস্থার কারণ জানতে চাওয়া হয়। তিনি জানান লক্ষ্য ছোট দেখেই সতর্ক পথে হাঁটতে গিয়ে এমন খেলেছেন তারা, 'স্কোর বোর্ডে যেহেতু খুব বেশি রান ছিল না, মানে ১৪০ (আসলে ১৩৯) যেহেতু তো অতি ঝুঁকি নেয়ার কিছু ছিল না। বাড়তি কোন শট খেলার প্রয়োজন হয় না। এমনিতে একটা বাউন্ডারি আসেই। ওটা হিসেব করে খেললে সাধারণত বের হয়ে যায় আরিক।'
জিম্বাবুয়ের পুঁজি হতে পারত আরও ছোট। ৪২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিলো তারা। এরপর ৪৩ বলে ৭৩ রানের জুটি গড়েন ব্রায়ান বেনেট-জোনাথন ক্যাম্পবেল। ওই সময়ের বোলিংয়ের কিছুটা ঘাটতি দেখছেন তিনি, 'মাঝে দেখবেন ওদের ৪-৫ উইকেট খুব দ্রুত পড়েছে। ওই জায়গায় যদি আমরা আরও ২-১টা উইকেট নিতাম, তাহলে ওদের রান ১৪০ এর রান ১২০ হতো। এই জায়গাটায় আমাদের আরও ভালো করতে হবে।'
Comments