‘রিয়াদ ভাইয়ের ফিরে আসাটা তরুণদের জন্য অনুপ্রেরণা’

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সবগুলো আসরে খেলা মাত্র দুজন ক্রিকেটারকেই দেখা যাবে যুক্তরাষ্ট্র ও ক্যারিবিয়ানে। রোহিত শর্মা ও সাকিব আল হাসানের সঙ্গে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদেরও নাম থাকতে পারত। কিন্তু এর আগে সব আসরে অংশ নেওয়া মাহমুদউল্লাহর যে জায়গাই হয়নি ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে।

২০২১ বিশ্বকাপের অধিনায়ক যখন ঘরে বসে দেখছিলেন বাংলাদেশকে, ক্যারিয়ারের শেষ বলেই ধরে নিয়েছিলেন অনেকে। সেখান থেকেই যেভাবে ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর এবার ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে জায়গা করে নিলেন, তার ফিরে আসার সেই গল্প থেকে এখনকার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত তরুণদের অনুপ্রেরণা নিতেই বললেন। ফিরে আসাকে শক্তিশালী বলে দলের কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে তার ব্যাটিংয়ের ধরন পরিবর্তনের জন্যও করলেন প্রশংসা।

বুধবার দেশ ছাড়ার আগে সংবাদ সম্মেলনে নাজমুল বলেন, 'রিয়াদ ভাই যেভাবে ফিরে এলেন, এবং সবথেকে বড় কথা উনি এখন যেভাবে খেলছে। উনার যে দায়িত্ব আছে, তা যেভাবে তিনি পালন করছেন, দল অনেক দূরে এগিয়ে যাচ্ছে। ৫, ৬ নাম্বারে ব্যাটিং করছেন। ফিনিশিংয়ের দায়িত্ব পালন করছেন, এটা অবশ্যই আমাদের জন্য বাড়তি একটা সুযোগ যে আমরা ভালো স্কোর দাঁড় করাব। তরুণদের জন্য অবশ্যই অনুপ্রেরণার জায়গা এটা, যে কীভাবে এরকম একটা পরিস্থিতি থেকে ফিরে আসা যায়।'

ফিরে আসার পর মাহমুদউল্লাহর ব্যাটিংয়ের ধরনেও পরিবর্তন লক্ষ করা গিয়েছে। আগ্রাসনের মাত্রা বাড়িয়ে খেলতে দেখা যাচ্ছে তাকে। ২০২২ সালের এশিয়া কাপের পর দীর্ঘদিন টি-টোয়েন্টি দলের বাইরে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। এবছরের মার্চে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ দিয়েই ফিরেছিলেন আবার। এরপর ৫ ইনিংসে ব্যাট করে ১৪৩ রান করেছেন এই ডানহাতি ব্যাটার, স্ট্রাইক রেট ছিল তার প্রায় ১৪৯। ব্যাটিং এপ্রোচে বদলের কথা উল্লেখ করে দলে তার ভূমিকা নিয়ে হাথুরুসিংহে বলেন, 'সে নিয়মিত খেলছে কিন্তু তার ফিরে আসা ছিল বেশ শক্তিশালী। সাম্প্রতিককালে সে তার সেরা খেলাটা খেলছে। সে অনেক পরিবর্তন এনেছে যেভাবে সে তার ব্যাটিং এপ্রোচ করত। সে ভালো ফর্মে আছে। তার ভূমিকা মিডল অর্ডারে ব্যাটিং করাই হবে, সম্ভবত মিডল অর্ডারে আক্রমণের ভূমিকায় থাকবে ফিনিশারের পাশাপাশি। যে ভূমিকাটায় সে দারুণ করেছে বিগত সময়ে। ঘরোয়া ক্রিকেটেও।'

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

5h ago