দুঃস্মৃতির যুক্তরাষ্ট্রেই বাংলাদেশ গড়ল তিনটি রেকর্ড

যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সদ্য শেষ হওয়া সিরিজে ফিরে তাকালে দুঃস্মৃতিই উঁকি দিবে বাংলাদেশের মনে। তবে রেকর্ডবুকে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি আলাদা জায়গা দখল করে নিয়েই থাকবে টাইগারদের জন্য। বাংলাদেশের ক্রিকেটে এতদিন যা ঘটেনি, এই এক ম্যাচেই সেরকম তিনটি রেকর্ডের দেখা পেয়েছে নাজমুল হাসান শান্তর দল।
একটি উইকেটও না হারিয়ে বাংলাদেশ কোনো টি-টোয়েন্টিতে জিতেছে, তা হয়নি কখনোই। সৌম্য সরকার ও তানজিদ হাসান তামিমের ব্যাটে গতকাল শনিবার ১০ উইকেটের প্রথম জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। বাকি দুটি রেকর্ড হয়েছে বোলিংয়ে।
টি-টোয়েন্টিতে মেডেন ওভারের দেখা মিলে কালেভদ্রেই। ম্যাচের পর ম্যাচ হয়ে যায় মেডেন ওভার ছাড়া। একটি মেডেন দেখলেই তাই আলাদা করে বাহবা দিতে হয় বোলারকে। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে একবার নয়, তিনবার সেক্ষেত্রে বাহবার প্রয়োজন। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো ম্যাচে তিন ওভার মেডেন করেছেন বোলাররা। এই রেকর্ডের সাথে কিপটে বোলিংয়ে আরেকটি প্রথমের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ।
১০ উইকেটে জয় পাওয়া ম্যাচে মোস্তাফিজুর রহমান চার ওভার করে রান দিয়েছেন ১০। রিশাদ হোসেনের ২৪ বলে যুক্তরাষ্ট্র এনেছে মাত্র ৭ রান। বাংলাদেশের সব বোলাররা ভালো করলেও রিশাদ ও মোস্তাফিজ- এই দুজন চার ওভার করেও ১০ রানের বেশি দেননি। কোনো ম্যাচে বাংলাদেশের দুজন এভাবে বোলিংয়ের কোটা পূরণ করেছেন, কিন্তু ১০ রানের বেশি দেননি, এমন ঘটনা এর আগে কখনোই দেখার সৌভাগ্য হয়নি সমর্থকদের।
এই দুই বোলার মেডেন ওভারও করেছেন দুটি। তার সঙ্গে বাংলাদেশের যে আরও একজন রান ছাড়া ওভার করেছেন গ্র্যান্ড প্রেইরি ক্রিকেট কমপ্লেক্সে, তিনি হচ্ছেন তানজিম হাসান সাকিব। ষষ্ঠ ওভার করতে এসে ম্যাচের প্রথম মেডেন করেন কাটার মাস্টার মোস্তাফিজ। এরপর নবম ওভারে রিশাদও কোনো রান দেননি। দ্বাদশ ওভারে তানজিমের ওভার থেকেও স্কোরবোর্ডে রান যোগ করতে পারেননি যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাটাররা।
টি-টোয়েন্টিতে এক ম্যাচে কোনো দলের সবচেয়ে বেশি মেডেন ওভার করার বিশ্বরেকর্ড জানলে অবশ্য চমকে যেতে পারেন। ২০২৩ সালে কেনিয়ার বোলাররা মালির বিপক্ষে এক ম্যাচেই নিয়েছিলেন নয়টি মেডেন! আর কোনো দেশই এক ম্যাচে পাঁচটির বেশি মেডেন ওভার করতে পারেনি।
Comments